অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা- ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিমি.। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, টাঙ্গাইল, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুষ্টিয়া থেকে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ। ঢাকার আগারগাঁও ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। আবহাওয়া অফিস বলছে এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প।
সর্বশেষ ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে ভূ-কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, রংপুর, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, রাজশাহী, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, শেরপুর, সাভার, গাজীপুর, পঞ্চগড়, কক্সবাজার, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ, নাটোর ও কুড়িগ্রামে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়।
চলতি বছর যত ভূমিকম্প
চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বছর প্রথম ভূকম্পন অনুভূত হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলাও। ৩ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্পে জানমালের তেমন ক্ষতি হয়নি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে মাঝারি মাত্রার জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির আয়াবতি ও রাখাইন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও থেকে ৩৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
চট্টগ্রামে গত ৩০ এপ্রিল ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল অক্ষাংশ ২২ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমা ৯৪ দশমিক ১৯ ডিগ্রি পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাইকে। রাজধানীর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার।
গত ৫ মে রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে।
গত ৫ জুন ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে বঙ্গোপসাগরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের কাছে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে।
গত ১৬ জুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।
গত ১৪ আগস্ট সিলেটে ফের ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায়ও এটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের মেঘালয়, গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ২২৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে।
ঠিক ১৬ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৯ আগস্ট সিলেট মহানগরীর আশপাশে ফের মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জৈন্তাপুরে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হানে। আসামে আঘাত হানা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সিলেট জেলাও। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ২৬৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের আসামের কাছাড়ে।
১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
অনলাইন ডেস্ক :
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম-২০২৪ আয়োজিত মিনিস্টারিয়াল রাউন্ড টেবিল বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সম্ভব না। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যায়ক্রমের সবার ওপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে অধিক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। আর এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্যতম বলে জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ফোরামকে অবহিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে মুজিব প্রস্পারেটিভ প্লান (২০২২-২০৪১) এর আওতায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছেন বলে মন্ত্রী সভাকে অবহিত করেন।
এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স দুর্যোগ সহনীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে নিত্য নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। সমীক্ষা মতে, প্রতিবছর দুর্যোগে গড়ে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় দুই শতাংশ সমপরিমাণ কমে যায়।
বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের জন্য এ ধরনের সেমিনার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও সহায়ক ভূমিকা পালনের সক্ষম বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সরকার জিটুজি, বিজনেস টু বিজনেস এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যেকোনো সহযোগিতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ২০২১ সালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ৩৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রতিনিধি দল।
আজ ১ সেপ্টম্বর শুক্রবার দুপুরে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় গমন করেন। আগরতলা প্রেসক্লাবের আমন্ত্রনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আগরতলায় যান। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব ও আগরতলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্থলবন্দরে পৌছলে জিরো পয়েন্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে। এ সময় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল-আমিন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আগরতলার সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিবো। আগরতলায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এলাকা ঘুরে দেখবো। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও আলোচনা করবো।
আগামী চার সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সাংবাদিকগন দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের দরিদ্র ও অসহায় বাসিন্দাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার নৌ-বাহিনীর কমান্ডার বিএন ফ্লিটের তত্ত্বাবধানে বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজের মেডিকেল টিম সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিএন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে।
এ ক্যাম্পেইনে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কয়েকশো দ্বীপবাসী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এসময় চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন। এসময় কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিও ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫তম কারামুক্তি দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে শেখ হাসিনা ১১ মাস বন্দি থাকার পর, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেল থেকে মুক্তি পান।
২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। একই বছরের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দিদশায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল শেখ হাসিনাকে জেলমুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তোলে। বিভিন্ন মহল থেকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও ধারাবাহিক চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিশাল জয় অর্জন করে ও শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।