অনলাইন ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা পোশাকের মতোই রঙিন। বিপরীতে টেস্টে সেটি ধূসর। এর আগে ১৭ টেস্টে টাইগাররা মাত্র একটিতে জিতেছিল। সেটি তাদের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে একাধিকবার ওয়ানডেতে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্টে কোনো জয়ই ছিল না। শান্ত-তাইজুলরা আজ সেই খরা কাটালেন, ঘরের মাঠে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নিলেন কিউইদের বিরুদ্ধে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ১৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
জয়ের দৃশ্যপটটা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনেই তৈরি করে রেখেছিল। যদিও ম্যাচের আগে অনিশ্চয়তা ছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না। দুই ইনিংসেই কিউইদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনবান্ধব হয়ে পড়া উইকেটে চতুর্থ দিন তার ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার শেষ দিনে নেমে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আগেরদিন ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা ড্যারিল মিচেল। অবশ্য এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। চোখ রাঙাতে পারেননি সেভাবে।
বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষাটা যা একটু বাড়িয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাদের ২য় ইনিংসের সেরা জুটিটা উপহার দিয়ে সাউদি আউট হওয়ার পরই জয় ধরা দিল। ব্যক্তিগত ফাইফারে (৫ উইকেট) তাইজুল কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ১৮১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ৬টি ছাড়াও নাঈম হাসান ২টি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল একটি করে শিকার ধরেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৩ টেস্টে। ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিলেটের এই টেস্টে জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো কিউইদের। নিজেদের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে, ক্রাইস্টচার্চে। ৩২৪ রান তাড়া করে তারা ১৯৯৪ সালে জিতেছিল। এই ম্যাচে তাদের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ৩৩২ রানের।
চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারালেও সফরকারী স্পিনার এজাজ প্যাটেল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। লড়াই হলেও, তাদের জয়ের স্বপ্ন দেখা ছিল অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো। তবে তার আশা একেবারেই অমূলকও ছিল না, ক্রিজে ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটার মিচেল। তিনি যদি কিছু করে ফেলতে পারেন!
শেষদিনে দ্রুত কিউই ইনিংস থামাতে মিচেলের উইকেটই সবার আগে প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। সেটি পেতে লাগল ১০ ওভার। ১০ম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল। নাঈম হাসানের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে বন্দি তিনি। এর আগে মিচেল ১২০ বলে ৫৮ রান করেন। ইশ সোধির সঙ্গে ৯১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
ততক্ষণে হার প্রায় নিশ্চিত কিউইদের, ফলে শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়ে নামেন কিউই অধিনায়ক। সাউদির আগে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১২তম বারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল।
এরপর শেষ উইকেটটাও তুলে নেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার। তার বলে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো জাকির হাসানকে ক্যাচ তুলে দেন সোধি (৯১ বলে ২২)। ৩১ বছর বয়সী তাইজুল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তা-পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। অভিজ্ঞ কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে কিংবা ড্যারিল মিচেল- কে নেই সফরকারীদের দলে। অন্যদিকে, ঠিক বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিবকে ছাড়াই সিলেটে খেলতে নামে লাল-সবুজের দল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের ভার ওঠে শান্তর কাঁধে। তরুণ নেতৃত্ব ও দল নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দারুণ শুরু পেল স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩১৭। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জবাব দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
এর আগে এতবড় রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই নিউজিল্যান্ডের। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁ-হাতি পেসারের খাটো লেন্থের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম লাথাম। ডাক খেয়ে এই ওপেনার সাজঘরে ফেরায় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় সফরকারীরা।
লাথাম ফেরার পর কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এ যাত্রায় ব্যর্থ হন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি! লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর তাইজুলকে অনুসরণ করলেন মেহেদী মিরাজও। থিতু হওয়ার আগেই হেনরি নিকোলসকে বিদায় করেন এই অলরাউন্ডার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি নিকোলস। টপ এজ হয়ে বল ওঠে সোজা আকাশে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে কয়েক পা সরে বল তালুবন্দি করেন নাঈম। ২ রান করে নিকোলস ফেরায় ৩০ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দেন কনওয়ে। ২২ রান করে এই ওপেনার ফেরায় দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরে সফরকারীদের চার ব্যাটার। এভাবে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে একশ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় সাউদির দল। ৫ম দিনে এসে ‘মিরাকল’ কিছু না হলে নিউজিল্যান্ডের পরাজয় আর বাংলাদেশের জয় আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।
গত এক বছরের প্রচারিত সকল কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দীপ্ত অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’। মঙ্গলবার আয়োজনটির চতুর্থ আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তানজিন তিশা। ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’-এ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ দর্শকের ভোটে সেরা নির্বাচিত হন এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বছরের আলোচিত ওয়েব ফিল্ম হিসেবে দর্শক ভোটে সেরা হয়েছে ‘পয়জন’।
তানজিন তিশা এদিন পুরস্কার নিতে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার হাতে দর্শকদের এবং সিনেমার পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এ আসরে পুরস্কার নেওয়া ছাড়াও স্টেজ পারফর্ম করেছেন তানজিন তিশা। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশনা করেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী, দীঘি প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমি মৌ। অনুষ্ঠানটি আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দীপ্ত টিভিতে প্রচার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা আয় করে শীর্ষে রয়েছে তারা।
ক্লাবগুলোর আয়ের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর আয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। মোট ২০০ কোটি ইউরো প্রাইজমানি থেকে অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। যেখানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রিয়াল। ২০২১-২২ মৌসুমে তাদের আয় ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৫৬৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ক্লাবগুলোর এই আয় হিসাব করা হয়েছে কিছু নীতি মেনে। গ্রুপ পর্বের আয়, জয়ে পাওয়া বোনাস, সম্প্রচার স্বত্বের ভাগ এবং উয়েফার টুর্নামেন্টে অতীত ফলের ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত যে অর্থ দেওয়া হয়, সেসব হিসাব করেই এই আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বড় ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে তারতম্য ঘটবে। উয়েফা আয়োজিত টুর্ণামেন্টে অতীতের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় প্রাইজমানি। ফলে বড় দলগুলোর আয় বেশি হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
এ বছর অস্কারে ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন কোরিয়ান পপতারকা ব্ল্যাকপিঙ্কের লিসা। বিশ্ব বিনোদনের মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে প্রথম কে-পপ শিল্পী হিসাবে লিসা পারফরম করবেন। একাডেমি ঘোষণা করেছে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঞ্চে পারফরম করবেন লিসা। এর মাধ্যমে, তিনি তার একক ক্যারিয়ারে একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করবেন।
লিসার এ অভিষেক বিশ্ব কে-পপ শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসাবে চিহ্নিত হবে। কারণ লিসাই হচ্ছেন প্রথম কে-পপ তারকা, যিনি অস্কারের মঞ্চে পারফরম করতে যাচ্ছেন।
৯৭তম অস্কার অনুষ্ঠানের নির্বাহী প্রযোজক রাজ কাপুর ও কেটি মুল্যান আয়োজকদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে একা নন, ব্রিটিশ গায়িকা রেই ও আমেরিকান র্যাপার দোজা ক্যাটের সাথে তার একটি পরিবেশনা থাকছে এবারের আসরে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বর্ন অ্যাগেইন’ শিরোনামের একটি গানে একসাথে কাজ করেছেন লিসা, দোজা ক্যাট ও রেই। এটি লিসা অভিনীত ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ সিরিজের তৃতীয় মৌসুমে ব্যবহৃত হয়েছে। তার নতুন অ্যালবাম ‘অল্টার ইগো’তে থাকবে এই গান। ব্রিটিশ অভিনেত্রী-গায়িকা সিনথিয়া এরিভো ও আমেরিকান গায়িকা-অভিনেত্রী আরিয়ানা গ্র্যান্ডে তাদের ব্লকবাস্টার ছবি ‘উইকেড’-এর গানের মেডলি পরিবেশন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টারইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম তিনটি শট ঠেকিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না গোল করে সমতা আনেন। কোনো দল আর গোল করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ এ। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশ ছিল এলোমেলো। ভুল পাস ও সমন্বয়হীনতায় শুরুর দিকে ছন্নছাড়া ছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত।
মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাকমতো ডিফেন্স করতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বল বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুসকা কুমারী। তিনি বাম দিকে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে।
বিরতির বাঁশির দুই মিনিট আগে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সাথীর কর্নার রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নী । তবে ৭০ মিনিটে বদলি অনন্য মুরমু বিথীর কর্নার থেকে গোল করেন বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না।
ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, শিউলি রায়, আরিফা আক্তার, সাথী মুনদো, আলপি আক্তার, ক্রানুচিং মারমা (অনন্যা মুরমু বিথি), ফাতেমা আক্তার (মমিতা) ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশানের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। সঙ্গে সঙ্গে হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ। ধারাভাষ্যকারসহ উপস্থিত দর্শকরা বলছিলেন, ‘এই তো আমাদের চিরচেনা সেই আশরাফুল। এমন আশরাফুলকে আমরা আবারো মাঠে দেখতে চাই।’
এবার রোশানের ব্যাটিংয়ের পালা। আশরাফুলের করা প্রথম দুই বল ব্যাটে স্পর্শ করতে পারেননি রোশান। শেষ পর্যন্ত যে বলটা স্পর্শ হলো সেটা সীমানা পেরিয়ে মাঠের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আর দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রোশানের এমন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ মাঠে। ৭ মার্চ মঙ্গলবার একটি ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন এই দুই তারকা। খেলার ইনিংস বিরতিতে মাঠে নামেন তারা। এই দুই তারকার আসার খবরে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন কলেজ মাঠে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ ইউনিয়ন দলকে তিন উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড দল। ২০ ওভারের ম্যাচটি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। মাত্র এক বল হাতে রেখে জয় পায় পৌরসভার দল।
আশরাফুল তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখেছি বলেই আমরা আইসিসি কাপ জিতেছি। এখন নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলতে পারি। স্থানীয়ভাবেও অনেক ভালো ক্রিকেটার দেখা যায়। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তাদেরকে তুলে আনতে হবে।
রোশান বলেন, ক্রিকেট খেলা ছিল আমার স্বপ্ন। ক্রিকেট নিয়ে আমি ভালো কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একসময় নিজেকে অন্যদিকে গড়তে শুরু করি। নিজ এলাকার মাঠে এমন সুন্দর আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নির্জন মোশাররফ, সদস্যসচিব মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল বাবু ও সোলায়মান ইসমাইল রুমেল।
নির্জন মোশাররফ ও মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটে বড় কোনো আয়োজন দেখা যায় না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিয়মিত টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা। এখান থেকে যেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হয় সেই চেষ্টা করা।