স্টাফ রিপোর্টার:
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রড নিয়ে একটি জাহাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসেছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি বন্দরে নোঙর করে। ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে বন্দর থেকে রডগুলো খালাস করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড নিয়ে এমভি বোলকার নামে একটি জাহাজ গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। রডগুলো আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় পাঠানো হবে। এগুলোর সিঅ্যান্ডএফ করবে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আক্তার হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আজ রবিবার বিকেলে খালাস করতে পারলে আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে রডগুলো আগরতলায় পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, জাহাজের মালামাল লোড-আনলোড বাবদ প্রতি টনের জন্য ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা ও কার্যবেক্ষণ চার্জ হিসেবে প্রতি টন পণ্যের জন্য ১০ টাকা এবং জাহাজের বার্থিং চার্জ হিসেবে প্রতিদিন ৩১৫ টাকা পাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আজ ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু (নৌকা প্রতীক) ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক) পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ফলাফল ঘোষনা করেননি। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, শাহজাহান আলম সাজুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করায় আমি সংসদীয় আসনের ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ায় জেলা প্রশাসন, আইন-শৃংখলাবাহিনী সহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দিলেও তারা জয়লাভ করতে পারেননি । নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলার আশুগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাস হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় প্রদান করেন। রায়ে আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামের জামাল হোসেন ও আড়াইসিধা গ্রামের জমির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুইবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একই উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মো. মোস্তফা, শাহাদাৎ হোসেন ও মাসুম কবিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া স্বাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় সাদ্দাম নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) দ্বীন ইসলাম বলেন, খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সন্তোষজসক। দেশে এভাবে ন্যায় বিচার হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, আলোচিত মামলাটির আসামিদের যথাযথ সাজা হওয়ায় অন্যান্য অপরাধীররা এ ধরনের অপরাধ থেকে নিভৃত থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৮০ কেজি জিরা, ১২৬শত প্যাকেট ফুচকা, ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস মার্বেল, ৪ হাজার পিস মোবাইল ফোন ডিসপ্লেসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।
৯ নভেম্বর শনিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার সদর উপজেলার মোঃ শাহ আলম (৪৩), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার মোঃ কাশেম (৫০) ও একই এলাকার রতন মিয়া (২৯)।
আজ ১০ নভেম্বর রবিবার পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপভ্যান সহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মধু আহরণে ফুলে ফুলে নাচানাচি করছে মৌমাছি। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা দিয়েছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে। চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় ১৩৭ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে আশপাশে এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসেন এই সরিষা ক্ষেতে ফুল দেখতে। অনেকেই সরিষা ক্ষেতে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন। কেউ সেলফিতে ব্যস্ত কেউবা পরিবারের ছবি তুলতে ব্যস্ত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে। তবে গত মৌসুম থেকে চলতি মৌসুমে ১৩৭ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ৪০৫০ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ১০৯২ হেক্টর, নাসিরনগর উপজেলায় ৬০৫০ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১১২০ হেক্টর, বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ১৮৫০ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর এবং আখাউড়া উপজেলায় ৪৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা তাদের জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, টরি-৭ জাতের সরিষার চাষ করেছে।
সরজমিনে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা, সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর, মাছিহাতা ইউনিয়নের গাজারিয়া গ্রাম এবং নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হলুদের সমারোহ। দিগন্ত জোড়া ফসলী মাঠ হলুদ ফুলে শোভিত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার ফুল। প্রতিটি সরিষার জমিতে মৌমাছির গুঞ্জন। সরিষার হলুদ ফুলের হাসিতে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের পর ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। সরিষা উত্তোলন করে ফের একই জমিতে বোরো আবাদ করা যায়। সরিষা গাছের পাতা মাটিতে পড়ে জৈব সারে পরিণত হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে। সরিষা চাষে উৎপাদন ব্যয়ও কম। সরিষা চাষের পর একই জমিতে ধান চাষ করলে সারও কম দিতে হয়। তাই এখানকার কৃষকরা বর্তমানে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
সরিষা চাষী হক মিয়া, জাবেদ মিয়া ও আব্দুস সামাস জানান, আগে তারা স্থানীয় টরি সেভেন, টিএস সেভেন্টি টু, এসএস সেভেন্টি ফাইভ জাতের সরিষা চাষ করতেন। চলতি মৌসুমে তারা অধিক ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। এই জাতের সরিষা ৮৫-৯০ দিনে ঘরে তোলা যায়। ফলন হয় বেশি। সরিষা তোলার পর ওই জমিতে আবার ইরি আবাদ করা যায়।
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের সরিষা ক্ষেতে ছবি তোলতে আসা শতাব্দী চক্রবর্তী তমা জানান, রাস্তার পাশে সরিষা ক্ষেত দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই ভালো লাগা থেকে গাড়ি থামিয়ে সরিষা ক্ষেতে ছবি তোলতে নেগে গেলাম।
সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের কৃষক রজব মিয়া জানান, তিনি গত ৫ বছর ধরে তার ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে আসছেন। চলতি বছর তিনি তার জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। তিনি জানান, সরিষার চাষ করতে তার বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে সরিষার গাছগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করি এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মুন্সি তোফায়েল আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর জমিতে। তবে গত মৌসুম থেকে চলতি মৌসুমে ১৩৭ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যদি না হতো তাহলে সরিষা লক্ষ্যমাত্রার থেকে আরও বেশি চাষাবাদ হতো। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করে আসছি।