চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সকালে শহরের কাউতলী স্বপ্নতরী কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
“হোপ” নবীনগর উপজেলা সভাপতি মোঃ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিতে ও এডাব সভাপতি এস.এম শাহীনের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপলদ্ধির নির্বাহী পরিচালক মোঃ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালীউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু মিয়া, সুক’র পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ সাদেকুর রহমান, স্বপ্নতরীর প্রধান নির্বাহী মোঃ তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।
জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৪ দিন পর দুই মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশের জমি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, কালিসীমা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে নাইমা (১৪) ও সাদেকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে মাইমুনা (১৫)।
তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকালে তারা মাদ্রাসায় যায়। শনিবার সকালে মাদ্রাসা থেকে ফোনে জানানো হয় তারা মাদ্রাসায় নেই। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান রাতে, একটু দুষ্টামি করায় তাদের শাসানো হয়, এরপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে শিক্ষকরা তা দেখাতে গড়িমসি করেন। ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশে জমির পানি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে নিখোঁজ হয়। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যসহ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাদেকপুর রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে ও জেলা পুলিশের সহায়তায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারনা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী সেমিনারের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বে আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে “উগ্রবাদ প্রতিরোধে শিক্ষক/ শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভ‚মিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও কর্মশালার বিষয় বস্তু উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
কর্মশালায় জানানো হয়, এক সময় মানুষের মধ্যে ধারনা ছিলো উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জড়িত। কিন্তু এই ধারনা সঠিক নয়। উগ্রবাদে জড়ানোদের মধ্যে পড়াশুনা জানেন না এমন লোকের সংখ্যা শতকরা এক ভাগ। আর জড়িতদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থী ৭৪ ভাগ ও মাদরাসা শিক্ষার শিক্ষার্থী ২৩ ভাগ। জড়িতদের মধ্যে ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সিরা হলেন শতকরা ৬৮ ভাগ।
কর্মশালায় সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভায় বাসা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে জেনে শুনে ও ভাড়াটিয়ার তথ্যাবলী নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। এ সময় জানানো হয়, সারাদেশেই এ ধরণের কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যেই বরগুনায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জঙ্গীবাদের প্রতি বর্তমান সরকারের যে জিরো ট্রলারেন্স আমরা আইন-শৃংখলা বাহিনী তা বাস্তবায়ন করবো। জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করে এখন আমরা অনেকটা সফল। বাংলাদেশ এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। আমরা জঙ্গীবাদ দেখতে চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তিনি বলেন, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে জঙ্গিবাদ মাথা নুইয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ এখনো আছে। উগ্রবাদ দমনে পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াট কাজ করছে। তিনি উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ বিষয়ে সোয়াটেরটিমকে তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে তথ্য দেয়ার আহবান জানান। সেমিনারে সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সেমিনারের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিতব্য “উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইন-শৃংখলা বাহিনীর করনীয় শীর্ষক সেমিনারে জেলায় কর্মরত চৌকিদার ও দফাদার এবং দ্বিতীয় পর্বে বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিতব্য “উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভ‚মিকা শীর্ষক সেমিনারে জেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ উপস্থিত থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের (অনুর্ধ্ব ১৫) চূড়ান্ত পর্বে খেলবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিলেটের জলটোপ ফুটবল একাডেমির সাথে টুর্ণামেন্টের প্রথম ম্যাচে অংশ নেবে দলটি। এ উপলক্ষে অনুশীলনে ব্যস্ততম সময় পার করছে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির খেলোয়ার ও সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দেশের ১৯ জেলার ২৪টি জোনে ১৭০টি দল গ্রুপভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট অংশ নেয়। ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি নকআউট পর্বে অংশ নিয়ে ১২টি একাডেমি চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১২টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেবে। ৪ গ্রুপের বিজয়ীদের নিয়ে দুটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুটি দল ফাইনাল ম্যাচ খেলবে।
বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহন উপলক্ষে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। প্রেস ব্রিফিং এ ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাত্র এক বছর আগে আশুগঞ্জে কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষানুরাগী হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া ও তার ছেলে প্রয়াত প্রভাষক কামাল হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাদের একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অল্প সময়ের মধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে দলটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি এক তারকা একাডেমির মর্যাদা অর্জন করেছে। এ টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে তাদের মেধাবী ফুটবলাররা এলিট একাডেমিতে জায়গা করে নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস।
প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন, ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেনের, প্রধান কোচ রিয়াদ মেহেদী, সহকারি কোচ শাহীদ হোসেন, পরিচালক আতিকুর রহমান, গোল কিপার কোচ মুহাম্মদ আমিন ও দলের ক্যাপ্টেন অন্তর মিয়া প্রমুখ।
ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেন জানান, তাদের একাডেমিকে পৃষ্টপোষকতা করছেন, আশুগঞ্জ লাভিডা হাসপাতাল, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাইফুর রহমান মনি, হেনা মটরস, কামরুল হাসান, ডাক্তার ফাইজুর রহমান, মামুন রশিদ ও রাজভর ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের দাঙ্গাবাজরা অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি পক্ষ এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠী অপর একটি পক্ষ। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া ও অন্য একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরজু মিয়া। উভয়পক্ষের সাথে রয়েছে এলাকার বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় দাঙ্গাবাজরা কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বাড়িঘওে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০), তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাকি আহতরা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।