অনলাইন ডেস্ক :
জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন বা পক্ষপাতদুষ্ট হয় এমন কোনো কাজ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কাজ করবেন না, যার দ্বারা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তাদের মধ্যে যেন পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চত করতে আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ভোটারের সংখ্যা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন না করতে পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা আর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারে সাজা ভোগের পর দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশিকে আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি’ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাকের উল্লাহ (২৮), এখলাছ মিয়া (২৬), শফি আলম (২৫), পারভেজ (২৪), মিজানুর রহমান (১৮), মোবারক মিয়া (২৪), মো. মহিউদ্দীন (২২), ছালামত উল্লাহ (১৭), মং থিন (৪২), গিয়াস উদ্দিন (২২), রাকিবুল হাসান রাকিব (২২), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও মোবারক উদ্দিন (১৮)।
উখিয়া উপজেলার মো. শাহেদ(১৮), মো. তারেক (১৮) ও মো. সাবের। বান্দরবান সদরের সিন থোয়ে মং মারমা (৩২), থুইচিং প্রু (২৩), লামা উপজেলার থার তুন হ্লা (৩৬)। রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ইয়ং ছা থুই মারমা(২৬), থান হ্লা সিন/সোয়ে সিন ওরফে ইউসিচিং মারমা (৩০), বেতবুনিয়া উপজেলার ইউ তান ওয়ারা ওরফে স্যার থুই ইউ (৩৪), টেকনাফ উপজেলার মো. ইরফান (২২), মো. ইলিয়াছ(১৯), মো. জহির আহমেদ (৩১), মো. আবদুল আজিজ (২১), মো. তৈয়ব (৩২), আব্দুর সিদ্দিক (২৭) ও রুবেল(২০)।
মঙ্গলবার টেকনাফ জেটিঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক এবং ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে Maungdaw POE (Point of Entrz/Exit) নামক স্থানে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ এর অধিনায়ক মায়ানমার এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যার্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার এর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও উভয় দেশের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি দল মতামত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় আটককৃত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারের কারাগারে আটক ছিল। কারাভোগ শেষে সেই ২৯ জনকে কূটনৈতিক যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার লক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার ফলে মায়ানমার কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের নিকট পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হন্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তখনকার কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে ওই বছরের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করা হয়। এদিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর দিবসকে ‘বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী ও শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ অকুতোভয় বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা নির্যাতিত মা-বোনের প্রতি।’
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সরকারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সকাল ৯টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে এবং মুজিবনগরের আম্রকাননে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান এবং বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে দলটি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব বহিষ্কারের কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ে থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৪ নেতার মধ্যে আটজনই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন। তারা হলেন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহ-সম্পাদক রাবেয়া ভুঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একে এম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬ জন হলেন : শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও চাপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ভোট বর্জন করে আন্দোলনে আছে। তবে সরকার তাদের দাবি পাত্তা দেয়নি, ফলে ২০১৪ সালের মতোই বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ট্রেন এগিয়ে চলছে।
এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের দিন বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের পর দিন থেকে চলছে টানা হরতাল ও অবরোধ। অক্টোবরের সেই দিন থেকে সমান্তরালে চলছে গ্রেফতার অভিযানও। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে, সেখানে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে। যখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জামিন অযোগ্য ধারা পরিবর্তন করে নতুন আইনে জামিন যোগ্য করা হচ্ছে। আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন তা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে সেই ক্ষেত্রে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে কিছু বলা হলে আগে ১০ বছর শাস্তির বিধান ছিল। এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন করা হবে।
দেশে বিরোধিতার মুখে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে সরকার। বিভিন্ন মহল থেকে বিতর্কিত এই আইন বাতিল বা সংশোধনের দাবি উঠেছিল। মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের অভিযোগ, ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তার কথা বলা হলেও আইনটি গণমাধ্যম ও বিরোধীদের কণ্ঠ রোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
শাশুড়ির ওড়না চুরির অপবাদ দিয়ে স্ত্রীকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল শালগ্রামে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী ও নির্যাতিত নারীর স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার শালগ্রামের মুমিন হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের হাতেম আলীর মেয়ে হানিফার বিয়ে হয়। গেলো কোরবানি ঈদের দিন শাশুড়ি জাহেদার ওড়না চুরি হয়। তারপর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী হানিফাকে সন্দেহ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে শুক্রবার রাতে চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফাকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে হাত পা বেঁধে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেন। হানিফা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার পর হানিফা কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে আজ ২২ জুলাই শনিবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাপড় চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে হানিফার চুল কেটে নিয়ে সম্মানহানি করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।