চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত, সরাইল থানা পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও সরাইল ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার আন্ত: ইউনিয়ন পর্যায়ে কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: এমরানুল ইসলাম, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন, সরাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ছায়েদ হোসেন ও সরাইল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদসহ সরাইল থানা পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা ও ক্রীড়ামোদী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এর আগমন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার পক্ষ থেকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামে- বুড্ডা মৃধা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আজ ৭ জুলাই রবিবার বিকেলে বুড্ডা মৃধাবাড়ি সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, এ এম টিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সময়ের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনসুর আহমেদ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমজাদ মৃধা, মো: অলি আহাদ মৃধা মেম্বার, মো: সোহাগ মেম্বার, মো: মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী মো: বকুল মেম্বার, মো: আহাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: সাদেক মিয়া, মো: বিল্লাল মিয়া, মো: সাইকুল মিয়া, মো: আরমান মিয়া, মন্নাফ মৃধা প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, আনিছ মৃধা, ফরিদুল ইসলাম মৃধা, বিছু মিয়া, অলি মৃধা, আলী আজ্জম মৃধা, জাহার মৃধা, রুফন মৃধা, খালেক মৃধা, হামিদ মৃধা, শামিম মিয়া, স্বপন মৃধা, জাহার আলী মিয়া, লাল মিয়া, আলী রহমান, দ্বীন ইসলাম মৃধা, আল আমিন উল্লাহ প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন জীবন মৃধা, রিপন মৃধা, জুম্মান মৃধা, রঙিণ চন্দ্র দাস, কানু চন্দ্র দাস, শহিদ মিয়া, আবু উল্লাহ, হারুনুর রশিদ মাষ্টার,তারা মিয়া, শিল্প চন্দ্র দাস, স্বপন চন্দ্র দাস, নান্টু চন্দ্র দাস, নারু চন্দ্র দাস, নুরু মিয়া প্রমুখ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো: হানিফ মিয়া।
ফুটবল খেলায় বুড্ডা একাদশ বনাম শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব অংশগ্রহন করে। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব জয়লাভ করেন। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে বিজয়ী দল ও অন্যান্য খেলোয়ারদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের যুবসমাজকে সুস্থ রাখতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যারা সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে আছি, আমাদের উচিৎ খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি অত্র এলাকায় শিক্ষা ও খেলাধুলার প্রসারে তাঁর সকল প্রকার সহযোগিতার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা আমাদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বৃষ্টিস্নাত বিকেলে হাজার হাজার দর্শক এই ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু।
৫ নভেম্বর রবিবার রাত সোয়া ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৬ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ পেয়েছেন। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ থাকায় ভোট বাতিল হয়েছে ১৩০৮টি।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জয়লাভ করলো। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর সরাইল-আশুগঞ্জ নিয়ে গঠিত এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। তাহের উদ্দিন ঠাকুরের পর ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। পরবর্তীতে একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল হুদা ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করেন।
১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুমায়ুন কবির লাঙল প্রতীকে জয়লাভ করেন। বিএনপিতে যোগদান করলে ১৯৯১, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৯৬-এর ১২ জুন নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফজলুল হক আমিনী জয়লাভ করেন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয়পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা জয় পান।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ফের বিজয়ী হন। এরপর তিনি জাতীয় সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কলারছড়ি প্রতীকে উকিল আব্দুস সাত্তার আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে রোববার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করলেন।
৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করায় উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর খণ্ডখণ্ড আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আমরা নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘদিন পর এ আসনে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। এতে দলের সবাই আনন্দিত-উৎফুল্ল। আমরা দীর্ঘদিন পর নৌকা উদ্ধার করতে পেরেছি।
জয়ের পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি বলেছিলাম দীর্ঘদিন আমরা যে বঞ্চনার শিকার হয়েছি, এর থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবের সফল যেন হতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন ব্যক্তি, দালাল ও প্রতারকচক্রের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারী করেছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ২টার দিকে নিজের (ইউএনও সরাইল) ফেসবুক ভেরিফাইড আইডি থেকে তিনি এ বিজ্ঞাপ্তি প্রচার করেন। আর বিজ্ঞপ্তিটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ইউএনও’কে বাহবা জানাতে থাকেন। সর্বত্র আলোচনা হতে থাকে দালাল ও প্রতারকচক্রের নেপথ্যের নানা কাহিনী।
অনুসন্ধান, বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সরাইল উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে কেন্দ্র করে ভিন্ন পরিচয় ও লেবাচে রয়েছে দালাল/প্রতারকচক্র। এদের কাজই হচ্ছে ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে আসা লোকজনের বৈধ অবৈধ সকল কাজেই দালালি করে টুপাইস কামানো। দালাল চক্রের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের কথিত নেতা, কথিত সংবাদ কর্মী, সুশিল সমাজের কথিত সদস্য, অমুক ভাই তমুক আপার লোক পরিচয় দিয়ে নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। এই গ্রুপের সদস্যদের নজর থাকে ইউএনও’র দপ্তর, থানা, হাসপাতাল, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, ভূমি অফিসসহ গুরূত্বপূর্ণ অফিস সমূহের দিকে। ইউএনও’র সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পরই উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লোকজন এমন সব আলোচনায় মেতে ওঠেছেন। অনেকে বলছেন, বর্তমান ইউএনও স্যার সৎ মানুষ। উনি যোগদানের পরই ঘুষখোর লোকজনের মন খারাপ। তিনি সুযোগ পেলেই ঠিকাদারদের ডেভেলপমেন্ট কাজ গুলো সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করছেন। কাজের মান ভাল না হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। স্বল্প সময়ে তিনি হয়ত বুঝে গেছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে দালাল/প্রতারকচক্র অবৈধভাবে অর্থ কামাই করছে। তাই তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এই বিজ্ঞপ্তিটি ফেসবুকে আসার সাথে সাথে কমেন্সে সাধারণ মানুষ ইউএনওকে ধন্যবাদ ও বাহবা জানাচ্ছেন। সেই সাথে ইউএনও’র প্রশংসা করে নানা ধরণের কমেন্স করছেন। সরাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম কমেন্সে লিখেছেন-‘এবার সরাইলের সাধারণ মানুষের শান্তির বার্তা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়। আশা করি বাস্তবায়নও হবে। নির্বাহী অফিসের নাম দিয়ে প্রতারনার মানে কি!!! উপজেলার কর্ণধার এ রকম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রশংসার দাবিদার, যদি চিহ্নিতদের আইনের আওতায় আনেন। আমার সাংবাদিকতা জীবনে মনে হয় প্রথম দেখলাম এমন বিজ্ঞপ্তি। আমরা যাব কোথায়!!!…..’। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ কমেন্সে লিখেছেন-‘বিষয়টি পুরোপুরি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং প্রশংসনীয়’। সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক রূহুল আমিন রূবেল লিখেছেন, ‘যুযোপযোগী সিদ্ধান্ত। ধন্যবাদ উপজেলা প্রশাসনকে।’ সমাজকর্মী রওশন আলী লিখেছেন,‘নির্বাহী প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে দালালী করা, প্রতারণা করা, এ তো বড়ো দু:সাহসিক কাজ! আশা করি সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এসব দালাল আর প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারলে সাধারণ সেবা প্রত্যাশী মানুষের অনেক উপকার হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পোষ্ট করার কথা স্বীকার করে বলেন, কারো বিরূদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বা পাইনি। আমার ধারণা কোন ব্যক্তি বা চক্র নির্বাহী কর্মকর্তা বা দপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে পাইয়ে দিবে, নিয়ে দিবে, করে দিবে বলে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। এই ধরণের পাতানো ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয় সচেতন করার জন্যই এই পোষ্ট দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১২ জুন বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচে কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতক দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে একদিনের মেয়ে বাচ্চার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, কেউ হয়তো অবৈধ গর্ভপাত করে বাচ্চার মরদেহ কার্টনে করে ফেলে যায়। বাচ্চার পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভূমি দখলে চলছে জালজালিয়াতির তেলেসমতি। ৩৫ বছর আগে পিতার বিক্রি করে যাওয়া বিভিন্ন দাগে ০.৫২০ একর জায়গা তথ্য গোপন করে নামজারি ও একটি সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেন হারু মিয়া গংরা। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য মূল তথ্য গোপন করে নাম খারিজ করেন। ক্রেতার উত্তরাধিকারীদের আপত্তির শুনানী শেষে গত ১০.০৯.২৩ খ্রি. তারিখে ১০৩১/২৩-২৪ নম্বর নামজারি মোকদ্দমা মূলে সৃজিত ১০৭৩ নম্বর খতিয়ান বাতিল ও নামঞ্জুর করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। ব্যর্থ হয়ে অভিযোগকারী হযরত আলী গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা ও উচ্চ আদালতে রীট করে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।
হারু মিয়া উপজেলার গোগদ গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে। দলিল, দখল, কাগজপত্র ও এসি ল্যান্ড অফিস সূত্র জানায়, গোগদ গ্রামের হারু মিয়ার পিতা আরজু মিয়ার কাছ থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ৩৩৮২ নম্বর ও ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২১৮৩ নম্বর সাফকাবলা দলিল মূলে বিভিন্ন দাগের মোট ০.৫২০ একর জায়গা ক্রয় করেন একই গ্রামের কালু মিয়া। ক্রেতা বিক্রেতা দু’জনই মারা গেছেন। জীবিত থাকাবস্থায় জায়গার নাম খারিজ করেননি কালু মিয়া। তাই বিএস রেকর্ডে আরজু মিয়ার নাম থেকে যায়। ভূমি দস্যু একটি চক্রের সহায়তায় সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আরজু মিয়ার ছেলে হারু মিয়াসহ ওয়ারিশগণ তথ্য গোপন করে ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর মোকদ্দমা ওয়ারিশসূত্রে নামজারি করে ৮১৪ নম্বর খতিয়ান সৃজন করেন। ৮১৪ নম্বর খতিয়ানের মালিকগণ তড়িগড়ি করে গত ২০.১২.২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের ১৯২১০ নম্বর দলিলমূলে নামজারি মোকাদ্দমা নম্বর ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদনকারীদের কাছে জায়গা হস্তান্তর করেন। বিএস রেকর্ডিয় মালিক কর্তৃক প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে বিক্রয় পূর্বক স্বত্ব ত্যাগকৃত ভূমির ওয়ারিশ কর্তৃক পুনরায় নামজারি করার আইনগত কোন সুযোগ নেই। তাই কালা মিয়ার ছেলে হযরত আলীসহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. তারিখে নামজরি মোকাদ্দমা ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদন নম্বর ৫২৯৭৩০ এর বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করে অত্র মোকাদ্দমাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানার আদালতে আদেশ হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার বিধানমতে প্রথম পক্ষের/ আপত্তিকারীর আপত্তি মঞ্জুর করা হলো এবং ফাতেমা বেগম গং এর নামীয় ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর নামজারি ও জমাভাগ মামলামূলে সৃজিত ৮১৪ নম্বর খারিজ খতিয়ান বাতিল করে ওই খারিজ খতিয়ানের ভূমি পূর্বের মূল বি.এস খতিয়ান সমূহে সংযোগ করে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ প্রদান করা হলো। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) এ অফিসকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রেকর্ড সংশোধন করার জন্য বলা হলো। এই আদেশের পর আলফাজ আলী ও হযরত আলী গংরা ৩৫ বছর আগে পিতা কালু মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গার নামজারির আবেদন (নামজারি মোকদ্দমা নম্বর-৪০৭৮/২০২৩-২৪) করেন। শুনানীর জন্য তারিখ ধার্য হয়। নোটিশ জারি হয়। বাদীরা শুনানীর জন্য হাজির হন। বিবাদী অনুপস্থিত। কোন আপত্তি দাখিল হয়নি। বিধি মোতাবেক সকল পক্রিয়া সম্পন্ন ও ডিসিআর-এর মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব জমা দেয়ার পর আলফাজ আলী গংদের নামে গত ১৬.১১.২০২৩ খ্রি. তারিখে ১০৯৭ নম্বর খতিয়ান সৃজন হয়। হযরত আলী বলেন, সাফকাবলা দলিলমূলে বাবার ক্রয়কৃত জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ করে ৩৫ বছর ধরে নির্বিঘ্নে বসবাস করছি। তথ্য গোপনের মাধ্যমে নামজারি করে মালিকানা দাবী করছেন হারু ফাতেমা গংরা। আপত্তি দেয়ার পর শুনানী শেষে তাদের সৃজিত খতিয়ান বাতিল হয়ে গেছে। আমাদের নামজারি আবেদন গৃহিত হয়েছে ও অনুমোদিত হয়ে ১০৯৭ খতিয়ান সৃজন হয়েছে। ফাঁকে ঘায়েল করতে আমাদের বিরুদ্ধে মারধর, নারী নির্যাতন ও ধানকাটার অভিযোগে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলা করছেন। মামলা করার পর আর আদালতে যান না। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণ হচ্ছে। নারাজ দিচ্ছেন। খারিজ হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সৈয়দ সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি আদেশের প্রায় ২ মাস পর আর নামজারির প্রায় ৩১ দিন পর উচ্চ আদালতে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে একটি রীট পিটিশন করেছেন। গোপনে আমাদেরকে পক্ষ করে আবারও তথ্য গোপন করে গত ২৭.১২.২৩ খ্রি. তারিখে ওই জায়গার উপর ষ্ট্যাটে-টাসকো আদেশ এনেছেন। এ গুলো করছেন শুধু আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য।
এ বিষয়ে জানতে হারু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে বলেন, ঝামেলা এখনো শেষ হয়নি। আমি এখন ব্যস্ত আছি। কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব। সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, দিন তারিখ ধার্য করেছি। তাদেরকে নোটিশ করেছি। হাজির হয়ে সময়ও প্রার্থনা করেছেন। সময়ও দিয়েছি। আদেশের এক মাস পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে রীট করেছেন। আমি ষ্টে-টাসকোর অর্ডার পেয়েছি। দেখেছি।