ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে ৬ মাস বয়সী শিশু জুনায়েদ হোসেনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতের নাম নার্গিস বেগম। সে ওই এলাকার শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্বামী-স্ত্রী দুইজনে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে। এরপর স্বামী শাহাদাত বাড়ী থেকে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে নিজের ৬ মাসের শিশু জুনায়েদকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ধ্যায় সদর থানার (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মা নার্গিসকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
২০১২ সালের সৌদির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতো। আজকের চুক্তির পর শুধু এই চারেই সীমাবদ্ধ থাকলো না আকাশপথ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪৯টি যাত্রীবাহী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। নতুন চুক্তিতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে সারা দেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম এভিয়েশন হবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।
সৌদি আরবের মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এ দেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় চল্লিশা এলাকায় হাবিবুর রহমান নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চল্লিশা স্টেশনের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এ ব্যাপারে জি আর পি পুলিশের এস আই সুরঞ্জন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তারা গৌরিপুর স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করে কথা বলেছেন। রেলে কাটা পড়লে যথাযথ আইন অনুযায়ী লিখিত দিয়ে নিতে হয়। পরে সে অনুযায়ী লাশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম জানান, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কানে কম শুনতেন। তার লাশ যাতে ময়নাতদন্ত না করে সেজন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকটি দেশ বন্ধু হলে শত্রু লাগে না, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা চায়, বাংলাদেশে এমন সরকার আসুক, যারা তাদের পদলেহন করবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কেউ কেউ চায়, এখানে এমন একটা সরকার আসুক যারা তাদের পদলেহন করবে।
তিনি বলেন, বড় দেশ মোড়লিপনা সব জায়গায় করে থাকে। এরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের তো আর শত্রু লাগে না। ইউক্রেন বন্ধু হয়েছিল, আজ ইউক্রেনের অবস্থাটা কী দাঁড়িয়েছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, সেখানকার (ইউক্রেন) মেয়েরা, বাচ্চারা আজকে কষ্ট পাচ্ছে। এমনই বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বের কারণে তাদের দেশও শেষ এবং সেখানে নারী-শিশু, তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তৎপর দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী কিছু আছে, কয়েকটি দেশ, তারা নাকি খালি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের শুনতে হয়, তারা গণতন্ত্রের খোঁজ করে, ভোটের অধিকার খোঁজ করে। এই ভোটের যে অবস্থা ছিল, সেটা তো তারা দেখেনি। এরা দেখতেও পারে, জানতেও পারে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার, গুম-খুনের কথা বলে। আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী সেই খুনি রাশেদ এখনও আমেরিকায়। বার বার অনুরোধ করি যে তাকে ফেরত দেন, কারণ আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় সে সাজাপ্রাপ্ত। সেখানে তাদের হাত দেওয়ার কী অধিকার আছে? এই খুনিকে তারা লালনপালন করে কেন? আরেকজন নূর, সেই নূর তো এখন কানাডায়। তাদের তারা ফেরত দেয় না।
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগেরই উদ্যোগে আমরা মহাজোট করি। আমাদেরই প্রস্তাব ছিল ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, নির্বাচন স্বচ্ছ করা।
তিনি বলেন, আইন করে নির্বাচন কমিশন আমরা করেছি। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে।
নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা, জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। রক্ত দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রক্ত দিয়েই এই অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম বজলুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আাবেদনে কোনো ভুল হলে এখন থেকে সেটা শোধরানোর কোনো সুযোগ পাবেন না সেবাগ্রহীতারা। এক্ষেত্রে সেই আবেদন বাতিল করে আবার ফি দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস হতে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট হতে issue (Category Pending) করার এখন হতে আর কোনো সুযোগ নেই।
কোনো আবেদন NIDW থেকে ক্যাটাগরি অ্যাস্যাইন করার পর অফিসার অপারেটর কোনো পর্যায়েই Issue Incomplete করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড Edit করার আর কোনো সুযোগ থাকছে না।
নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এনআইডি উইং হতে Online Adjudication Pending Adjudication Pending স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে।
তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো। কারণ এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আর নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আবেদন Approve Cancel Reject করার পর কোনো আবেদনের স্টেটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে নাগরিকদের সংশোধনের আবেদনগুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ক, খ, গ ও ঘ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে ক ক্যাটাগরিতে ছোটখাটো ভুলের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংশোধনের এখতিয়ার দিয়েছে ইসি। এভাবেই গুরুত্ব বিবেচনায় খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালককে। এনআইডি মহাপরিচালকও কোনো সংশোধনের আবেদনকে স্পর্শকাতর মনে করলে সেটা কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কমিশন অনুমোদন দিলেই কেবল সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে নতুন করে ফের আবেদন করেন। এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকলো না। তাই আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে আবেদনের ধরণ ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয়।