চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী এলাকায় সভা করার দায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী জামাল রানাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জামাল রানা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এর প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাল রানা আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের মিতালী ফুটবল খেলার মাঠে নামেন।
এ সময় তার কর্মী- সমর্থকেরা জড়ো হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং গলায় ফুলের মালা পড়ান। পরে তিনি কোড্ডা রেললাইন এলাকায় নিজের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কোড্ডা এলাকায় ভূইয়া বাড়িতে এলাকার লোকজনের সাথে সভা করেন। সভায় এলাকায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জামাল রানা সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল বদল করে বিএনএম থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধির ৮ (গ) ধারায় যানবাহান ব্যবহার সংক্রান্ত বাঁধা নিষেধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার কার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোন আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না।
এ ব্যাপারে বিএনএমের প্রার্থী জামাল রানা বলেন, আমার ভাই আলমগীর গত মঙ্গলবার ইতালী থেকে দেশে আসে। তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে এলাকায় আসি। আমার ভাই হেলিকপ্টারে ভাড়া করেছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করায় ওই প্রার্থীকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রার্থী আর আচরণবিধি লঙ্ঘণ করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশা আয়োজিত জেলা মৎস্য অফিস হলরুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা এর এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ফিসারিজ) সবুজ কুমার চৌধুরী।
আশা’র সিনিয়র জেলা ম্যানেজার মো: আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা টেকনিক্যাল অফিসার (কৃষি) সোহাগ আলম এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, জেলা খামার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল।
উপজেলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: ছায়েদুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আশা’র জেলা রিজিওনাল ম্যানেজার মো: আব্দুল হাকিম, সাংবাদিক খন্দকার আলমগীর হোসেন সহ আরো অনেকেই।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাডিয়া সদর, নবীনগর, কসবা ও আখাউড়া উপজেলার মোট ৩০ জন মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের উদ্দেশে নিজ হাতে চিঠি লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দুই পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে লিফলেট আকারে ওই চিঠি বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
চিঠির শুরুতেই তিনি সদর ও বিজয়নগর উপজেলাবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কতটা সফল হয়েছেন সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তবে যেহেতু মানুষ, ভুলত্রুটি হতেই পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এ আশা রইল।’ করোনাকালীন তিনি ও স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরামহীন প্রচেষ্টায় সদর ও বিজয়নগরের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা আজ দৃশ্যমান।’ চিঠিতে তিনি দুই উপজেলাতে হওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেন।
চিঠির শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমত আর আপনাদের ভালোবাসা আমার জীবনের পাথেয়। আপনাদের দোয়া চাই, খেদমত করার সুযোগ চাই। ভালো থাকুন সকলে। মঙ্গল হউক আপনাদের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। খোদা হাফেজ।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন,বিএনপি-জামাতের রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা। কিন্তু ওরা জানে না জ্বালাও-পোড়াও করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবেনা। ২০১৩-১৪ সালেও দিনের পর দিন জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ খুন করেও শেখ হাসিনারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর একমাত্র পথ নির্বাচন আর জনরায়। নির্বাচনে জনরায় আমাদের বিরুদ্ধে গেলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবো। কেউ সরানোর দরকার পড়বেনা। তিনি দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকালে সদর উপজেলার বটতলী বাজারে ৮ নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহবায়ক হাজি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, যুগ্ম-সম্পাদক মোমিন মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসির উদ্দিন মাস্টার, সোহেল মিয়া, যুবলীগ নেতা আবু কাউসার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শাহজাহান (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে ৩টি গরু মারা গেছে। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় কাঞ্চনপুর গ্রামে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার ৩টি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বজ্রপাত মাছিহাতা ইউনিয়নে এক ব্যক্তি ও ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন-জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শেখা এবং জানার মধ্যে দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগোষ্ঠিকেও আমরা এমন ভাবে দেখতে চাই যারা দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে চেনে মারামারি, কাটাকাটি, দুর্ণীতি-লুটপাটের কারনে। একটা ভালো কোন জায়গায় আমাদের নাম নেই। ক্রীড়া বা অন্য যেকোন ব্যাপারেই বলি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ছোট দেশ আন্তর্জাতিকভাবে ভালো অবদান রাখছে।
আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা,যুব ঋনের চেক-সনদপত্র এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন ও আত্মকর্মী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনজুর রহমান,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুর রহমান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি মো: আরজু মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আমীর আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদ্যােক্তা আবু হানিফ তালুকদার, নাঈমা আক্তার উর্মি,আফসানা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন, পান্না বেগম এবং ছাত্র প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়াম ও মেহেরুন্নেছা মুনিয়া প্রমুখ।