অনলাইন ডেস্ক :
আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার মোহাম্মদপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মন্টু।
তিনি জানান, গরুর মাংসের এই দাম আগামী এক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পরে সেটিকে আবার বসে পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং সন্মানী বিতরণ করা হয়েছে । আজ ২৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপত্র বিতরণ কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।
একাডেমি মোড়স্থ বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে থেকে এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সনদপত্র বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন সং¯হার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেসমিন জাহান মুন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুলাহ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড সাইফুল হক।
প্রধান অতিথি এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে । এই কারনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রফিক রহমান, জামান আকতার, রিফাত রহমান, এ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ, আব্দুস সালাম, জামান আকতার, হামিমুজ্জামান সুমনসহ অনেকে।
যেসব শিক্ষার্থী দুই মাসব্যাপী কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিক্স কোর্স সফলভাবে শেষ করেছেন তাদের হাতে সনদপত্র ও সন্মানী তুলে দেন অতিথিরা। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কম্পিউটার ৪ ব্যাজে ১২০ জন ও ড্রাইভিং এ ২ ব্যাজে ৬০ শিক্ষার্থী সনদপত্র গ্রহণ করেন।
দুলাল মিয়া :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী দোসর ও ১৪ দলের শরীক দলগুলোকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় ভিপি নুর বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পরও তার দোসরদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রেখেছিল ১৪ দলের শরীকরা। তাদের একটি ছিল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও জাতীয় পার্টির আস্ফালন এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই এই জাতীয়পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার দলবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি মাথা তুলছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে, আমাদের সর্বনাশ হবে এবং নির্বাচনও যথাসময়ে হবে না।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের আবু হানিফ, গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিউর রহমান তানভীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিবির আহমেদ, ছাত্র-অধিকার পরিষদ পরিষদের সভাপতি সোহেল রানা রাফি, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জসিম আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় হারানো ১৪৩টি মোবাইল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে সাতক্ষীরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
আজ ২৫ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মোবাইল ও উদ্ধারকৃত টাকা ফেরত দেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার এএমজে সোহেল, ডিআইও ওয়ান ইয়াসিন আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মে-জুন মাসে ১৪৩টি হারানো মোবাইল প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া বিকাশে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ১০ জন গ্রাহকের খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইল ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের এই সেবা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবা অব্যহত থাকবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেই উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন। আমরা আজ শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমরা নতুন নতুন স্কুল করেছি। ২৬ হাজার নতুন প্রাইমারি স্কুল সরকারীকরণ করেছি। আজ আমাদের সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলা হয়। তখন অনেক মানুষ মারা যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওদের ক্ষমতায় থাকা মানেই দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ময়মনসিংহকে বিভাগ করে দিয়েছি। প্রতিটি বিভাগের মতো এ বিভাগে ময়মনসিংহে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে, একটি পৃথক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো। আমরা অনেক কিছু করতে পারতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কিছু সম্ভব হয়নি।’
দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত আছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখনো ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রেখে গেছি। ২০০১ সালে আসলো লুটেরা, সন্ত্রাসীর দল বিএনপি। তারা আবার বাংলাদেশকে খাদ্যে ঘাটতির দেশে পরিণত করে। ২০০৯ সালে আবার যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখি সেই ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আল্লাহর রহমতে দেশে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য এখন মজুত আছে।’
আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাদি জমির পাশাপাশি আমাদের জলাভূমিকেও ব্যবহার করতে হবে। মাছ চাষের মাধ্যমে জলাভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
যুবসমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে উন্নয়নের অংশীদার হতে হবে। আমরা যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা করেছি। যুবকরা এসব সুযোগ নেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য—আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য তা বাস্তবায়ন করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহে আমি আপনাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। এসময় উদ্বোধন করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প পড়ে শুনিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসে ৭৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করে দিয়ে গেলাম, সেগুলো স্বযত্নে রাখবেন। এরপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ৩০টি প্রকল্প পড়ে শুনিয়ে বলেন, এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জনসভাস্থল সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে একযোগে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় দুই হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহেতাশেমুল আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মির্জা আজম এমপি, শফিউল আজম চৌধুরী নাদেল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ দলে দলে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠ। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জনসভাস্থল। সকাল থেকে সড়কজুড়ে নাচ-গান আর বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে জনসভায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩৮ জনের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদেরকে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি বলেন, একটা সময় ছিল যখন পুরুষেরা কাজ করতো, আর নারীরা সংসারের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকাল বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলেও মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতে নারীদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ সময় বদলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের নারীরা সবদিক থেকেই এগিয়ে গেছেন। যদি ঘরে ফেলে না রেখে কাজ করেন, তবে এই সেলাই মেশিনটির মাধ্যমেও আপনারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আর নিজে যখন স্বাবলম্বী হবেন, তখন আপনাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনারা সেই বিশ্বাস নিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটান। তাহলে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান রুবেল, গোপদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, কেওয়ারজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, বৈরাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।