চলারপথে রিপোর্ট :
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুষ্পস্তক অর্পন ও বেলা ১১টায় স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তক অর্পন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে. এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহপরিচারিকার কাজ থেকে তাকে নিয়ে যেতে মাকে বলেছিলো ১৪ বছর বয়সি তামান্না আক্তার। নির্যাতন করা হয়- এমন অভিযোগ তুলে তামান্না মাকে বলেছিলো, ‘তোমরা আমারে কাজ করাইয়া খাওয়াইতে চাও। আমি মইরা বুঝামু।’ তামান্না ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌলভীপাড়ার এক চিকিৎসক দম্পতি আনিসুল হক ও ইসরাত আহমেদের বাসা থেকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তামান্না ওই দম্পতির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। সে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মো. সুমন মিয়ার বড় মেয়ে। সুমন তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকায় চিকিৎসক ইসরাত জাহানের বাবা বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেন। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও ইসরাত আহমেদ মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্মরত।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ইসরাত আহমেদের বাবা বাবুল মিয়া ঢাকা থেকে সুমনকে ফোন করে জানান তার মেয়ে তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ আছে।
এ অবস্থায় সুমন ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দিয়ে তামান্নার মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতালের লোকজন তামান্নার মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের খালু আবদুল কাদের বলেন, ‘চিকিৎসক দম্পত্তি আগে ঢাকায় থাকত। তামান্না তখন গৃহকর্মী হিসেবে তাদের সঙ্গে ঢাকায় থাকত। দুই বছর আগে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে আসে। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে মৌলভীপাড়ার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো তামান্না। তামান্নাকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বেতন দিতেন তাঁরা।’
সুমন মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে তার মরদেহ নামানোর আগে আমাদের জন্য অপেক্ষা করত। কারণ ভাদুঘর থেকে মৌলভীপাড়া যেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু তারা মরদেহ নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগেও মেয়ে জানিয়েছে তার উপর নির্যাতন করা হতো।’
মেয়ের মৃত্যুতে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন তামান্নার মা মুন্নী আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার কোল খালি কইরা মাইয়া চইলা গেছে।’ ১০-১৫ দিন আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নির্যাতন করা হতো বলে তামান্না জানায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মো. সাইফ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্য হয়েছে।
চিকিৎসক আনিসুল হক বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ সত্যটা লিখেন। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হতো না। তার বাবা-মায়ের মতো আমরাও আপসেট। তামান্না আমাদের সন্তানকে দেখতো। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার বাবা-মা প্রথমে কিছু না বললেও এখন কেন এমন বলছেন বুঝতে পারছি না।’
তিনি জানান, ঘটনার সময় তামান্নার সঙ্গে ঘরে তাদের সন্তান ছিলো। বিকেলে দায়িত্ব পালন করে বাসায় যাওয়ার পর তার স্ত্রী তামান্নাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে অন্যান্যদের সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুও প্রকৃত কারণ বলা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিপনী বিতানের দুটি দোকান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সোয়া কোটি টাকার মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এল.আর প্লাজার “মোবাইল মেলা” নামক দুটি দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
দোকান দুটির মালিক মোবারক হোসেন জিসান জানান, তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের সার্টার লাগানো, তবে তালা গুলো খোলা। পরে তিনি দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দেখেন দোকানে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুইশতাধিক মোবাইল ফোন সেট চোরেরা নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের মধ্যে আইফোন-১৪ প্রো ম্যাক্স,আইফোন-১৩ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১৩, আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১১ প্রো ম্যাক্স, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো, অপোর বিভিন্ন মডেলের, ভিভোর বিভিন্ন মডেলের, শাওমি বিভিন্ন মডেলের, ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের, স্যামসাংয়ের, স্যামসাং ফোল্ড-৩ মডেলের, ফোল্ড-৪ মডেলের, ফ্লিপ-৩ মডেলের ও ফ্লিপ-৪ মডেলের মোবাইল চুরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, তার প্রায় সোয়া কোটি টাকা মূল্যর মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, চুরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন সদস্যরা। সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ অনাস্থা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, টিআর/কাবিখার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। সরকারের কৃষি প্রণোদনা সার এবং বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ না করে নিজেই তা লুটপাট করেছেন। এছাড়া গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রাপ্ত ট্যাক্সের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ এলাকার জনগণ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ টাকা জমা না রেখে বেশির ভাগ অংশ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এলাকার অসহায়-হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন আবেদন, সংশোধন পরিবর্তন, পরিবর্ধন বাবদ বিভিন্ন অসুবিধা জটিলতা দেখিয়ে দুই হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার টাকা নিয়া জনগণের কাজ করে দেয় এমনকি চাহিদা মত টাকা না পেলে দীর্ঘদিন হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নিজ ইচ্ছায় অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে ডালিম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুদান যেমন প্রেগনেন্সি ভাতা, কৃষি প্রণোদনা, সার, বীজ, ধান বীজ, সরিষাসহ সরকারি টিউবওয়েল, টিসিবির পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাসরিন আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ নির্বাচিত হওয়ার পর নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করা সব ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে আছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাই বলেন, লিখিত অভিযোগে যা লেখা হয়েছে, তা সামান্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সবশেষ বরাদ্দ পাওয়া টিউবওয়েলও লুট করে খেয়েছেন। তার সঙ্গে আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু ছায়েদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউপি সদস্যরা অহেতুক কারণে এমন করছেন। তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রুহুল আমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসকের কাছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি তদন্ত করে বিষয়টি জানাবেন জেলা প্রশাসককে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি ইউএনওর কাছে আবেদন করতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আপলাইনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক স্লিপার ভেঙে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত এবং স্লিপার পরিবর্তন শেষে দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত ৭টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়। তবে, আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সাড়ে ১০টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও এনজিও সংস্থা প্রয়াসের আয়োজনে কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ ও আরোগ্য লাভে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় কুষ্ঠরোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিস্ট্রিক সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মফিজুর রহমান ফিরোজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এনজিও সংস্থা প্রয়াসের টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াংয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জানানো হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠরোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হলে শারীরিক ক্ষতির পরিমান কমে আসে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে কুষ্ঠরোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তাই শরীরে অনুভূতিহীন যেকোন ফ্যাকাসে দাগ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়াও কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের পাশাপাশি কুষ্ঠরোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন করণীয় বিষয় তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণসহ এনজিও সংস্থা প্রয়াসের ফিল্ড ফ্যাসেলেটেটর মোঃ আরিফুর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন।