চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিদের্শক্রমে তাদের সম্মতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাঁচ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইউএনওদেরকে অন্য জেলায় ও ওসিদের নিজ জেলার অভ্যন্তরে অন্য থানায় বদলি করা হয়। গত দুইদিনে এসব বদলি বিষয়ে পৃথক আদেশ হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙামাটির রাজস্থালী, সরাইলের সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, আখাউড়ার অগ্যংজাই মারমাকে চট্টগ্রামের রাউজান, নাসিরনগরের ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায়, বাঞ্ছারামপুরের একি মিত্রকে চাঁদপুরের মতলবে বদলি করা হয়।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ বিজয়নগরে, নোয়াখালী চাটখিলের মোহাম্মদ ইমরানুল হক নাসিরনগরে, কুমিল্লার মেঘনার রাবেয়া আক্তারকে আখাউড়ায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মেজবাহ উল আলমকে সরাইলে ও বান্দরবানের থানচির মুহা. আবুল মনসুরকে বাঞ্ছারামপুরে পদায়ন করা হয়।
এদিকে, চারটি থানার ওসি রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলামকে বিজয়নগর থানায়, বিজয়নগর থানার রাজু আহমেদকে কসবা থানায়, কসবার থানার ওসি মো. মহিউদ্দিনকে বাঞ্ছারামপুর থানায়, বাঞ্ছারামপুর থানার নূরে আলমকে আখাউড়া থানায় বদলি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে ডিও লেটার (আধাসরকারি পত্র) দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ৩ আগস্ট এ পত্রটি দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের পথ সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। শীঘ্রই এর অনুমোদন মিলবে বলেও আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুধী সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে স্মারকলিপি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
অর্থ উপদেষ্টা তার দেওয়া পত্রে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন জনপদ। এ জেলায় রয়েছে নয়টি উপজেলা এবং জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৮ জন। অতি প্রাচীন কাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, কারুশিল্প, কুটিরশিল্প, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশে সুপরিচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ফলে জেলার দরিদ্র ও অসহায় জনসাধারণ বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। জেলা সদরে স্থাপিত সদর হাসপাতালে ডাক্তার স্বল্পতাসহ আধুনিক চিকিৎসার তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। এলাকার জনসাধারণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকা শহরে আসতে হয়। কিন্তু দরিদ্র জনসাধারণ বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে দরিদ্র জনসাধারণ বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী উপজেলা সমূহের জনসাধারণ নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
অর্থ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবস্থান ঢাকা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। জেলার ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয়প্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর অবস্থিত। সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য গুরুতর রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা শহর ছাড়া নিকটবর্তী কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে যাতায়াত খরচসহ ঢাকা শহরে অবস্থান করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা দুরূহ।
তিনি আরো লিখেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দ্বিতীয়। এ জেলা থেকে লাখ লাখ দক্ষ, অদক্ষ এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি করছে। তাদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশ সরকারের আমদানি ব্যয় অনেকাংশে মিটানো হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম তিতাস গ্যাসফিল্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং আমদানি বিকল্প দেশীয় গ্যাস উৎপাদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদান রেখেছে। বর্ণিত অবস্থায়, উপযুক্ত তথ্যাদির গুরুত্ব এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৌশলগত অবস্থান, ঘন জনবসতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান ইত্যাদি বিষয়াদি সক্রিয় ভাবে বিবেচনা পূর্বক ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সর্নিবন্ধ অনুরোধ জানানো হয়। এ সংক্রান্ত পত্রটি শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, আমাদের জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি, প্রাণের দাবি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে অর্থ উপদেষ্টার দেওয়া পত্রের বিষয়টি জেনে ভালো লাগলো। অতি দ্রুত এর বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাবো।
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনেতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনে আমরা কাজ করছি। অর্থ উপদেষ্টার চিঠির বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফলে তাহিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার উঠেছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমান তালিকায় চারবার তার নাম উঠে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে এক শিক্ষার্থীর নাম পাঁচবার উঠে। একই ছবি ও জন্মনিবন্ধন নম্বরে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে পৃথক নাম রয়েছে তালিকায়। এ ধরণের ‘অদ্ভুত’ ফলাফলে নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে হতবাক। তবে কি কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪১ জন ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা সোমবার বিকেলে স্কুলের ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলাফল দেখতে ভীড় জমে। ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায়, তাহিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আটবার ও অপেক্ষমান তালিকায় ছয়বার রয়েছে। ফলাফলে তাহিয়ার একই ছবি রয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর ভিন্ন। তাহিয়ার বাবার নাম রুবেল মিয়া ও মা লাভলী বেগম। তাহিয়ার নাম মেধা তালিকার ৫, ১৩, ১৭, ২৪, ৩২, ৩৬, ৬৬, ৬৭, ৯৮, ১১৬ তে রয়েছে। অপেক্ষমান তালিকার ৮১, ১০৮, ১১৬ ও ১১৮ তে রয়েছে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি নামে আরেক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় তিনবার ও ফারিয়ার আরফা দুইবার রয়েছে। ফারিয়ার ক্ষেত্রে সব ছবি এক থাকলেও নামের ক্ষেত্রে কোথাও ফারিয়া জামান জেসি, ফারিয়া আরফা রয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন নম্বর ও মোবাইল নম্বর একই রয়েছে।
ফারিয়ার বাবার নাম আবু জামিল ও মায়ের নাম তানিয়া আক্তার। ফারিয়ার জামানের নাম ১, ১০৮, ১৩৩, ফারিয়া আরফা নাম মেধাতালিকার ৯৩ ও ১৩৫ এ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক পারভীন আক্তার বলেন, ‘ফলাফল দেখার সময় বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে। তাহিয়া নামে শিক্ষার্থীর নাম দুই তালিকায় ১৪ বার উঠেছে। তবে কিভাবে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৈনিক চলারপথে পত্রিকার সকল পাঠক, গ্রাহক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাক্সক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দৈনিক চলারপথে পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া (ফেরদৌস)। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সবার জীবনে বয়ে আনুক অপার্থিব সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।
দুর্নীতি-বেকারত্বের বৃত্ত ভাঙতে তারুণ্যের উত্থান ঘটানোর আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস।
আজ ১০ মে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় এ আহ্বান জানিয়ে তাপস দাস বলেন, “বাংলাদেশ আজ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পুঁজিবাদী আগ্রাসনে রাষ্ট্রযন্ত্র দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। এর ফলে যুব সমাজ বেকারত্বের যে অভিশাপে ভুগছে তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না, বরং আরো বাড়ছে। কর্মসংস্থানের পথ না খুলে উল্টো কর্মের পথ বন্ধ করছে। বাড়ছে বেকারের মিছিল। ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের খপ্পরে পড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে তারুণ্যকেই লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সেই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।”
জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মো. বাছির মিয়া, জেলা নেতা কামাল হোসেন। কর্মী সভা সঞ্চালনা করেন জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
এর আগে সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে গতকাল ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার টিয়ার ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় নাটকীয় ম্যাচে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৩ উইকেটে রাজশাহী জেলাকে পরাজিত করে টানা ৩ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চুড়ান্ত পর্বের টিকেট পেয়ে যায়।
টসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রাজশাহী ১ম ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়।
আলিফ, ফারদিন, জালাল প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক নাটকীয়তার পরে ৪৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। উদয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান, হেমায়েত ৩৯ রান, রোহান ৩৬ রান, সুমন ও ফারদীন উভয়েই ২০ রান করে উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত ১৮ ও সজিব ১৭ রান করে।
১ম ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের তারকা ক্রিকেটার বাঁমহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শামীম মিয়া খেলতে পারেনি তার ক্লাব হতে ছুটি না পাওয়ায় কিন্তু তার শুন্যস্থান পূরণ করতে ঢাকা ১ম বিভাগ লীগে লালমাটিয়ার ক্রিকেটার সজিব মিয়া ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আশফাক আহমেদ রোহান এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে খেলার আগের দিন রাতে ক্লাব হতে ছুটি নিয়ে জরুরী ভাবে দলের সাথে যোগ করায় দলের শক্তি বেড়ে যায়। এতে দল ও জয়লাভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেনজিত দাস (উইকেট কিপার ও সহ-অধিনায়ক), রোহান, ফারদীন, সজিব, জালাল, হেমায়েত, নিশাদ, আলিফ,উদয়, নাইম, রাহিম, বিজয়, অমি, পারভেজ ও শামীম কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।