চলারপথে রিপোর্ট :
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফিরোজুর। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তী সময়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোজুর রহমান।
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে ইসি। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
টানা কয়েকদিন থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রিক্সা চালকরা রিকশা চালাচ্ছেন। তাদের রিকশা চালাতে যেন কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয় এজন্য গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করেছেন মানবিক ছাত্রনেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
শোভন বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ক্যাপ বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তু বিল্লাহ, উবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, জসিম আহমেদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, আজহারুল হাসান মিঠু সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আশার পক্ষ থেকে ৪০০শত কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এই কম্বল হস্তান্তর করা হয়।
আশার পক্ষ থেকে আশার সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি ও জামাতের ডাকা তিনদিনের অবরোধে নাশকতা এড়াতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত সোমবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী টহল শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
এ সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত আরো অনেক পুলিশ আহত হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও জামায়াত। হরতাল শেষে রাতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। জামায়াতও পৃথকভাবে একই সময়ে অবরোধ ঘোষণা করে।
এর প্রেক্ষিতে নাশকতারোধ ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ শুরু করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অবরোধকে সামনে রেখে যে কোন প্রকার নাশকতা এড়াতে আমরা কাজ করছি। তাই সোমবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ন স্থান ও মহাসড়কে টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠে কাজ করছে। তিনি বলেন, গত তিনদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার অভিযোগে ১২১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে খেলাপী হ্রাস ও ঝুঁকি নিরসনে বিএম’র করণীয় শীর্ষক কর্মশালা আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় আশার সকল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগণ অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আশার হবিগঞ্জ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ফ্যাসিলিটেটর সহায়ক একে.এম তারেক, সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
কর্মশালায় খেলাপী বৃদ্ধকরণ, ঝুঁকিমুক্ত ঋণ বিতরণে করনীয়, ব্রাঞ্চ টেকসই উন্নতিকরণ, মানি লন্ডারিং, সার্বিক উন্নতি করণীয় ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করে দেবার প্রতিবাদে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে জেলা সিএনজি অটোরিকশা পরিবহন মালিক সমিতি।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিআরটিএ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
মালিক সমিতির নেতারা সাংবাদিকদের জানান, ২০২৩ সালে সরকারিভাবে জেলার প্রায় তিন হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা হয়। এরমধ্যে ২১০০ অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার পর কোনো ঘোষণা ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে সিএনজি চালকেরা সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এ সময় তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকৃত বাহনের রেজিস্ট্রেশন প্রদানের দাবি জানান। অন্যথায় অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন মালিক নেতারা।
এ বিষয়ে জেলা রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দালাল ও মালিক সমিতির একটি চক্র মালিকদের কাছ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। তাই এই কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। অচিরেই সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হবে।