ডেস্ক রিপোর্ট :
কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের শত শত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকঢোলসহ মিছিল নিয়ে হাজির সভাস্থলে। উচ্চ শব্দে বাজতে থাকে মাইক। পাশের তিনটি বিদ্যালয়েও এর শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পাঠদান। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে জানালা-দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিয়েছেন। এ সমাবেশ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এভাবে চলেছে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ। ২২ জানুয়ারি রবিবার উপজেলার চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজসহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহূত মাঠে এ আয়োজন করা হয়। কলেজ ছাড়াও চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে মাঠটি।
কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সভাপতিত্ব ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সমাবেশে হৃদয় আহমেদকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক শব্দদূষণ ও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ব্যাহত হয় তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিবোধ করে। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শব্দদূষণের কারণে তাঁরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারেননি। বেশি শব্দ হওয়ায় শিক্ষকরা দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঠে সমাবেশ হবে জানা ছিল তাঁদের। আয়োজক কমিটি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ভাবেনি। সরকারি দলের হওয়ায় তারা ছিল অসহায়। নিয়ম রক্ষার কারণে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হয়েছে। তবে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান দস্তগীর দাবি করেন, ক্লাস নিতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয়নি।
কলেজ খোলা অবস্থায় মাঠে কর্মী সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার সরকার বলেন, ‘ফোনে এ ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। সরাসরি এসে দেখা করেন।’ এ সময় তিনি কল কেটে দিলে পরে চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহেলা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা এভাবে প্রোগ্রাম করি না। কিন্তু এটা হয়ে গেছে।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘সহকারী প্রধান হিসেবে আমি বক্তব্য দিতে পারি না। আপনি প্রধানকে কল দেন।’ তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পাঠদান চলার সময় মাঠে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া ঠিক হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশ সভায় ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৩ জুলাই শনিবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ১৪ জুলাই রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশী সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে মারধোর করে। নির্যাতনের এই ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানার মধ্যে সামগ্রিক কর্ম মূল্যায়ন এপ্রিল- ২০২৩ মাসে শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ৮ মে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করা হয়। মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৯টি থানার মধ্যে তার সামগ্রীক কর্মতৎপরতায় বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ পুরষ্কার বিজয়নগর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা করার কারনে সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বিজয়নগর থানার সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সামগ্রিক ভাবে আমরা জেলার সবচেয়ে ভালো করতে পারছি। আমাকে আগামিতে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট:
বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তৌফিক (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল বুধবার দুপুরের দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক (২৬) উপজেলার আদমপুর গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পত্তন ইউপির আদমপুর বাজারের পাশে সিএনজি অটোরিক্সা ও পিকআপভ্যান রেখে দুই ড্রাইভার দোকানে নাস্তা করতে যায়। এ সময় তৌফিক অটোরিক্সা ও পিকআপের ড্রাইভারকে গাড়ি সরাতে বলে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তৌফিকের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপ চালক ও অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিএনজি ও অটোরিক্সার মুখোমুখী সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আজ ৩ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার রামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
কাজী মো. মিজানুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রামপুর এলাকায় ঢাকামুখী দুটি মোটরসাইকেল ও মাধবপুর অভিমুখী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষ হয়। পরে আরেকটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশ এসে সেখান থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। পরে আরো একজন মারা যায়।
ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন জনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে একজনের লাশ তার আত্মীয়রা নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।