চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।
আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের ৪৯ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ মাঠে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মরিয়ম আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি এড. মো হাবিব উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ কমিটির সদস্য এ. বি. এম. তৈমুর, সদস্য তাসমিয়া সুলতানা, সদস্য ডা. শারমিন সুলতানা, সদস্য ডা. মো. গোলাম সারোয়ার এবং সদস্য মোসলেহ উদ্দিন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল ও ব্যাংক কর্মকর্তা কুলসুম আক্তার বৃষ্টি প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ নাছরিন আক্তার। সকল অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়, এরপর জাতীয় সংগীত এবং বিদ্যালয়ের সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শকদের আকর্ষন করে।
এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫টিরও বেশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, চিত্রাঙ্কনে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক। ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে।
সপ্তাহ ব্যাপী পুরো আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সাজসজ্জ্বায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো রিয়াজ উদ্দিন মুন্সি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন ফেরদৌস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন। ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতীক পেয়েছেন আনারস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্ন্তগত ০৪ টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়াদোর্ত্তীন হওয়ায় আজ ৯ মে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সভায় সর্বসম্মতভাবে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিলুপ্ত কমিটিগুলো হচ্ছে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মজলিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও নাটাই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমসহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম বলেন, ৪টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কমিটি মেয়াদোর্ত্তীন হওয়ায় নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইউনিয়নগুলোতে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের বৈষম্য মানা হবেনা। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে জেলার সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সম্বন্বয়ক ও সূধীজনদের সাথে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দিতে হবে। কেউ পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে দিতে চায় কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি দিতে হলে তদন্ত করে বের করতে হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বকুল, সাংবাদিক ইব্রাহিম খাঁন সাদাত, সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সমন্বয়ক সিয়াম, সমন্বয়ক শাহআলম, অভিভাবক মোঃ আজিম, মাহাবুবুর রহমান অভিভাবক অ্যাডভোকেট ইমরুল মুর্শিদ, তানজিনা আক্তার, শিক্ষার্থী শাবনুম শিখার মাতা, শিক্ষার্থী তানহার মাতা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর জেলার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকগনকে বের করে দিয়েছেন। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকগন নাজেহাল হয়েছেন। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। বক্তারা বলেন, সামনে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই অবস্থায় গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকতে পারেনা। বক্তারা আগামীকাল ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে কোন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে পাঠদানের সুযোগ দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় বুধবার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার শেখ হাসিনা সড়কের ২য় ব্রিজের পাশ থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বনিক জানান, বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ শেখ হাসিনা সড়কের ২য় ব্রিজের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ব্রিজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবতির লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ২৫ হবে। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, বর্ষা মৌসুমে এই মরদেহ কোথাও থেকে ভেসে এসেছে কিনা বা আত্মহত্যা করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। সে বোরখা পরিহত অবস্থায় ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।