চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আশার পক্ষ থেকে ৪০০শত কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এই কম্বল হস্তান্তর করা হয়।
আশার পক্ষ থেকে আশার সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি সাহিত্য মেলা ও কৃষি ঋণ মেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানীয় ফারুকী পার্কে। মেলায় ২৪ জানুয়ারি মঞ্চস্থ হয়েছে আল আমীন শাহীনের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় নাটক তিতাস-ই জীবন। এতে অভিনয় করেছেন আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, ফারুক আহমেদ পারুল, নুসরাত জাহান জেরিন, নাজিম ফারুক চৌধুরী, ফরিদ আহমেদ সাগর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হুরায়রাহ, শ্যামল আহমেদ। সংগীত নির্দেশনায় আলী মোসাদ্দেক মাসুদ। ইব্রাহিম খান সাদাতের গান ও নুসরাত জাহান জেরিনের কবিতা নাটকে যুক্ত করা হয়। চিত্র ধারনে : শ্যামল আহমেদ। উপস্থাপনা পিযুষ কান্তি আচার্য। পরিবেশনায় নতুন মাত্রা।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। এ সময় নবাগত পুলিশ সুপার বলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। শক্তিশালী গণমাধ্যম আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ভিন্ন পেশার হলেও উভয়ের লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন। আমরা একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবো। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ক্লাব সদস্য মনজুরুল আলম,নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন,সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এমরানুল ইসলাম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অফিসার ইনচার্জ মো: সাহেদ উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা আজ ১৩ জুলাই শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ক্লাবের সম্মানিত সদস্য মোঃ আশিকুল ইসলামের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়। সভার শুরুতেই শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ক্লাবের সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু। পরে ক্লাবের প্রয়াত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ সম্মানিত সদস্যদের আত্মীয় স্বজন যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় ক্লাবের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন করা হয়। সভায় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাবের সভাপতি পদে উপনির্বাচন করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাক্রমে সদস্যদের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সিনিয়র সদস্যদের সমন্বয়ে সর্বসম্মতিক্রমে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করা হয়। ক্লাবের গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়নে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সাথে আরো দুইজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সভায় ক্লাবের গঠনতন্ত্রের খসড়া অনুমোদনে আগামী আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে বিশেষ সাধারণ সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় ক্লাবের বহিস্কৃত সদস্য সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু তার কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় ও তিনি কার্যকরি কমিটির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত আবেদন করায় কার্যকরি কমিটির আগামী সভায় তার সদস্য পদ পুর্নবহাল করে তাঁকে চিঠি দেয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, মোঃ সাদেকুর রহমান, খ. আ. ম রশিদুল ইসলাম, দীপক চৌধুরী বাপ্পী, পিযুষ কান্তি আচার্য্য, শেখ মোঃ শহিদুল ইসলাম, আল-আমীন শাহীন, জাবেদ রহিম বিজন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, আবদুন নূর, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, মনজুরু আলম, ইব্রাহিম খান সাদাত, মফিজুর রহমান লিমন, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, মোঃ মনির হোসেন, আ. ফ. ম কাউছার এমরান, মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে শহর ও গ্রামে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উচ্চতর আসনে পৌঁছেছে।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশেই বহুতল বিশিষ্ট অ্যাপার্টম্যান্ট নির্মাণ করা হবে। ওইসব অ্যাপার্টম্যান্টে প্রবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে একটি উপ-শহর গড়ে তোলা হবে। যার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। শহরের পূর্বপ্রান্তে তিতাস নদীর পাড় দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। যার নকশার কাজ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলীরা এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাল্টিপারপাস মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিশুপার্ক গড়ে তোলা হবে।
সম্প্রতি শহরে বেশ কয়েকটি ছিনতাই সংগঠিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ছিনতাই হয়েছে। অবশ্যই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, এসব অপকর্মের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে যাতে কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সেদিকে পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিত করার কাজ চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি বোর্ড ও পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাস্টি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আট দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ৪টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৫৫), জহিরুল মোল্লা (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. রনি (১৪), মো. শামীম (১৬), আব্দুল রাফি (১৭), মো. মানিক মিয়া (১৯), মনির হোসেন (৪২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষে চলছিল। এতে উভয় পক্ষের ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে অনেকেই গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটকসহ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ গ্রামে উমেদ গ্রুপ ও এলেম গ্রুপের জাকিরের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা।