চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি ১৫ নভেম্বর এমপি হিসেবে শপথ নেন। একইদিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাই শপথ নেওয়ার পরও তিনি সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশেই এর অবস্থান। সড়ক ও জনপদের (সওজ) গাছে বন্দি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে গাছ কাঁটার অনুমতি। ফিরে যাচ্ছে নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ। গাছে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আহত হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আগত অতিথিরা। ওই ৮টি কাঠের গাছ এখন ৩ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের গলার কাটা। বছরের পর বছর ঘুরে এই কাটা খুলতে পারছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গাছ গুলি আকস্মিক বড় ধরণের দূর্ঘটনার কারণ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। তাই আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেষে কয়েকটি কাঠের গাছের চারা রোপন করেছিলেন সওজের লোকজন। দেখতে দেখতে গাছ গুলি বড় হয়ে গেছে। প্রধান ফটকের দুই পাশে ৬টি আর ফটকের প্রবেশদ্বারে দুটি গাছ চলাচলের পথ প্রায় বন্দি করে ফেলেছেন। গাছ গুলোর গুল যত বড় হচ্ছে ততই ছোট হয়ে আসছে প্রবেশের রাস্তা। বর্তমানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছ ঘেষে ফটকের বক্স গেইটে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এর চেয়েও বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক অভিভাবক ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসা অতিথিদের। দ্রুত গতিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নিয়মিত আহত হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। মাঝে মধ্যে মনের অজান্তে মাথায় আর শরীরে আঘাত পাঁচ্ছেন শিক্ষক ও অতিথিরা।
নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ আসলেও ওই গাছের জন্য কাজ করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ গুলি কাঁটার অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে কাঁটার অনুমতি।
মৌখিক পরামর্শ পেলেও মিলছে না লিখিত অনুমতি। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না শিক্ষক ও এসএমসি। এখন তারা অনেকটাই নিরূপায় ও হতাশ।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল ও তামিম বলেন, শিশু শ্রেণি থেকেই গাছের জন্য বাঁকা তেড়া হয়ে প্রবেশ করছি। গাছ গুলি কেটে ফেললে শান্তি পাব। অভিভাবক মো. ইফতেহারূল ইসলাম, নুরজাহান বেগম, মো. আনোয়ার হোসেন ও জহুরা বেগম বলেন, শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করতে খুবই কষ্ট হয়। বাচ্চারা অনেক সময় ব্যাথাও পায়। প্রবেশ পথের মাঝখানের গাছ দুটি কাটতে স্যারদের অনেক অনুরোধ করছি। কেন কাটছেন না উনারাই জানেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, টিকার কাজ পরিদর্শনে গেলে গাছ আমাকে আটকে দেয়। গাছের জন্য গেইট কোন দিকে? ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিলাম না। পরে আকাঁ বাঁকা হয়ে ব্যায়াম করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জন্যই তো আইন। তাহলে সামান্য কারণে কেন শিশু ও অভিভাবকরা এত কষ্ট করবেন? দ্রুত এর একটা সমাধান দরকার। সমন্বয় সভায় আমি গুরূত্ব সহকারে বিষয়টি তুলে ধরেছি। বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. রূহুল আমীন রুবেল বলেন, গত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই সমস্যা।
গত ২/৩ বছর আগে তখনকার এসএমসি গাছ কাঁটার ব্যবস্থা করতে সভার রেজুলেশন দিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। গাছের জন্য নিরাপত্তা দেওয়ালটিও করতে পারছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নৌসাদ মাহমুদ বলেন, সওজের কাছ গুলো প্রধান ফটক থেকে অপসারণ করা খুবই জরুরী। গাছ গুলো কাটতে বিদ্যালয়ের আবেদনটি আগের ইউএনও মহোদয়ের কাছে দিয়েছিলাম। তিনি সওজের বরাবরে এ বিষয়ে লেখার কথা। দেখি বর্তমান ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করব। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, গাছে ফটক বন্দি হলে তো বড় সমস্যা। আমি বিষয়টি ভালভাবে জানি না। দেখে জরূরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিব।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে খাদিজা বেগমের (৪৫) পরিবারের দুই ছেলে প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আশেক মিয়া (২২) শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। মেজ ছেলে লাদেন মিয়া (১৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। মিথ্যা মামলায় স্বামী দুলাল মিয়া (৫০) জেলখানায়। মেয়ে একটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। বইখাতা ও বেতনের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে।
বড় ছেলে আশেক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিছুটা চলাফেরা করতে পারলেও লাদেন ঘরের বাইরে যেতে পারে না। লাদেনের যখন আট বছর বয়স তখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে সময় লাদেনের বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেশের নামিদামি বহু হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সেই থেকে লাদেনের হৃদয় যেন বেদনার বালুচর।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলা করা ছোট্ট লাদেন এখন হয়ে গেছেন প্রতিবন্ধী। তখন থেকে বাইরে বের হয়ে দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ কিছুই দেখা হয় না তার। ছোটবেলার ছোটাছুটি আর বন্ধুদের সঙ্গে মাতামাতি এখন কেবলই স্মৃতি। সবই বিধাতার খেলা। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুস্থ হওয়ারও। এখন আর চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। কোথায় পাবেন অত টাকা? কোথায় করাবেন চিকিৎসা? প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে কোনোরকমে অর্ধাহার-অনাহারে চলে তাদের সংসার।
সকালে খেলে বিকালের খাবার থাকে না। ক্ষুধায় ছটফট করে কাটে সারারাত। তাদের শেষ সম্বল যেটি ছিল, সেই ভিটেবাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। অসুস্থ ছেলেমেয়েদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় খাদিজা আশ্রয় নিয়েছেন লাদেনের চাচার বাসায়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী খাদিজার স্বামী ফেঁসে গেছেন মিথ্যা মামলায়। জেলখানায় রয়েছেন ছয় মাস ধরে। একদিকে দুই সন্তান অসুস্থ, মেয়ের পড়ার খরচ, স্বামী জেলখানায়। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। চারবার করিয়েছেন বেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন। তাতেও সফল হয়নি। ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে গেছে পুরো শরীরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেলা থাকতেও যেন আঁধার এসে গ্রাস করেছে তাকে। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তার।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যান এ প্রতিবেদক। তার কাছে নিজের এ ভাগ্যবিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন মৃত্যুশয্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীর। জানান বাঁচার আকুতি। বাঁচাতে চান ছেলেমেয়েদেরও। দুই ছেলের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে চান। পড়াতে চান মেয়েকে। আর এ জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। চাইছেন তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াক। আর এ জন্য দিয়েছেন বিকাশ নম্বর। খাদিজার বিকাশ নম্বর ০১৭৭২২৯৪৬৮৪।
অনলাইন ডেস্ক :
জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন বা পক্ষপাতদুষ্ট হয় এমন কোনো কাজ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কমিশন।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ৩০০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমন কাজ করবেন না, যার দ্বারা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় এবং তাদের মধ্যে যেন পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চত করতে আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
ভোটারের সংখ্যা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এলাকার জনগণের যৌথসভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে বিশেষ কোনো মহলের কোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন না করতে পারে তা আইন, বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার আলোকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে নিশ্চয়তামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা আর ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত-বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি, জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, বিরাসার মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, রেলস্টেশন চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, হাসান সারোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা তাতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
এসময় সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগ, সদর উপজেলা, পৌর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পৌর, সরকারি কলেজ ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্বামীর ওপর অভিমান করে শারমিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শারমিন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে শারমিন আক্তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের ওপর অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা গৃহবধূ শারমিনকে উদ্ধার করে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।