অনলাইন ডেস্ক :
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে রেলওয়ে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রেলভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়ে রেলে সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এবার বাসের বদলে ট্রেনকে প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে ফেলা হচ্ছে।
সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের বিষয়ে যেন সহযোগিতা করা হয় এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুইটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরের তিনটি দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেলওয়ে ট্রাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যান আর ৫০ জন আহত হন। ঘন কুয়াশার জন্য ট্রেন ধীরে চলছিল, তা না হলে আরও অনেক বেশি হতাহত হতো।
এরপর আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি তেজগাঁও এলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে, এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে এমনটা হতো না।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের ও বিরোধীদলীয় উপনেতা নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের নিকট আজ দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে এবং বিরোধী দলীয় উপনেতার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নিকট পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা পত্র পৌঁছে দেন।
এছাড়া সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে তার কাছেও ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আজ ২৭ আগস্ট রবিবার ১১ জন দালাল ও আউটসোর্সিং কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগ থেকে তাদের আটক করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেসরকারি সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারি অনুমতি ছাড়াই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদেরকে ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতাল থেকেই ফোন করেছিলেন কমিশনপ্রাপ্ত ওয়ার্ড বয়। এর বাইরে বেশ কয়েকজন আউটসোর্সিং কর্মচারি রয়েছেন যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দালাল চক্রের দুই জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ দিনের কারাদণ্ড এবং বাকি নয় জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
১৫ দিনের জেলা ও এক হাজার টাকা জারিমানার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মন্ডল (৩২)। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্ত নয়জন হচ্ছেন- শিফাজুর রহমান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, ফারুক হোসেন, ওসমান শেখ, রিয়া বেগম, আরাফাত আকুঞ্জি, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গোলম রাব্বারনী।
র্যাব-৬’র কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো দালাল মুক্ত করতে চাই। এর জন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হত্যা মামলা ও হরিরামপুরে মারধর ও ভাঙচুর দু’টি পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ছয়দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ২২ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানযোগে মমতাজ বেগমকে আদালতে আনা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মমতাজ বেগমের উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
মানিকগঞ্জ কোর্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর তার নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরো একটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ০৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে মমতাজ বেগমের।
চলারপথে ডেস্ক :
মাঘ সবে শুরু। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা কাঁপলেও তীব্র শীত পড়েছে মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যেই শীতের বিদায় ঘণ্টার পদধ্বনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কিছুদিন রাতের পারদ সামান্য নামতে পারে। জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা তেমন নেই। ফেব্রুয়ারিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বিদায় নিতে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বর্ষার মতো শীত নির্দিষ্ট নিয়মে বিদায় নেয় না। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার মতো পরিস্থিতি আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় তেঁতুলিয়ায় ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ২০টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ আজ রবিবার থেকে প্রশমিত হতে পারে। আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ১৭ দিন দেশে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে এক দিন ছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই এলাকায় শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আর না কমলে এ বছর শীতে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রির তাপমাত্রাই হবে রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানলে শীতের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। তবে এ বছর শীতের মেজাজ তেমন দুর্বল ছিল না। পৌষেই হিমেল হাওয়া আর ঠান্ডায় দেশ কেঁপেছে। ফলে আগেভাগেই শীত বিদায় নিচ্ছে। তবে শীতের চরিত্রে খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে। আচমকা দু’দিনের শীতে কাবু হচ্ছে দেশ, তার পরেই এক লাফে পারদ উঠছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, জানুয়ারির শেষেই বিদায় নেবে শীত। তবে ঢাকার বাইরের জেলা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আরও কিছু দিন ঠান্ডা থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শীতের অকাল বিদায়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় দায়ী। শীতকালে সাধারণভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। ফলে দিনে ঝকঝকে রোদ পাওয়া যায়। মাটি গরম হয়। রাত হলেই সেই তাপ দ্রুত কমে ঠান্ডা হয় মাটি। তার সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার যুগলবন্দিতে কনকনে ঠান্ডা পড়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর যাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিতেন। দাবি করতেন টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আবু হানিফ তুষার ওরফে হানিফ মিয়া (৩৯) নামে এসব অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও বিভিন্ন ভিডিও ও এডিট করা ছবি উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়।
হানিফ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কারও কাছে ৫০ কোটি, কারও কাছে ১০০ কোটি, কারও কাছে ৩০০ কোটি টাকা দাবি করতেন। আর তাদের কারও সঙ্গে দামি গাড়িতে করে দামি হোটেলে সাক্ষাৎ করতেন। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেতে ১০ থেকে ১১ জন তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন বা পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করা হতো। ৩০ জনের অধিক ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আবু হানিফ দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের নিকটাত্মীয় হিসেবে মিথ্যা পরিচয় ও সুসম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন সময় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতেন হানিফ।
তিনি আরো বলেন, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপস থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য সেজে নিজ চক্রের সদস্যদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসাতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, আবু হানিফ এইচএসসি পাশ, কিন্তু একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন বলে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। ২০০৮ সালে মটরপার্টসের ব্যবসার সঙ্গে জড়ান। তুষার এন্টারপ্রাইজ পরিবহন নামে তার বেশ কয়েকটি বাস ও নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার রয়েছে।
র্যাব জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কার্যক্রম শুরু তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌশলে রাজনৈতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরিচিত হতেন। পরে সুসম্পর্ক তৈরি করে ছবি তুলতেন এবং প্রতারণার কাজে এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলাও রয়েছে।