অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোকে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গণভবনে বাংলাদেশে কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইদ আল-কাহতানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কাতারের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে কাতারের রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার কাছে আগামী ৪ থেকে ৬ মার্চ কাতারে অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) যোগদানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন। প্রদর্শনীটি প্রতি দুই বছর অন্তর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়।
গাজা ইস্যু সম্পর্কে সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ জানান, এই বছর কাতার ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি এবং জাতীয় দিবসের উৎসব অনুষ্ঠানের বাজেট ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গাজার জনগণের জন্য পাঠিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও কাপড়সহ ত্রাণসামগ্রীও পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস পাশ করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালে কাজ করছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী গাজা ইস্যুতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য কাতার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সোমবারের এই ভূমিকম্পনে এক শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ও আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুল থেকে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। ওই স্কুলটির একজন শিক্ষক ও একজন স্থানীয় অধিবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। এটি নাইজেরিয়ায় গণঅপহরণের সর্বশেষ ঘটনা।
গণঅপহরণ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটির একটি সাধারণ ঘটনা হলেও স¤প্রতি তা কমে এসেছিল। নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য স্কুল ও কলেজগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায়ই হামরা চালায়। আর এমন ঘটনা বেশি ঘটে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
কাদুনা রাজ্যের কুরিগা স্কুলে সংঘটিত অপহরণের এই ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তবে কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য জানাতে চাননি। তিনি জানান, কতজন স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
চিকুন জেলার জিএসএস কুরিগা স্কুলের একজন শিক্ষক সানি আব্দুল্লাহি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাতে অস্ত্রধারীরা যখন শূন্যে গুলি ছুড়তে থাকে তখন অনেক শিক্ষার্থীসহ স্কুলটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ঠিক কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে, আমরা এখন সে সংখ্যাটি নির্ধারণ করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
সানি আব্দুল্লাহি আরো বলেন, ‘জিএসএস কুরিগার প্রাথমিক শ্রেণিগুলো থেকে ১৮৭ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া আরও ১২৫ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এদের মধ্যে ২৫ জন ফিরে এসেছে।’
স্থানীয় একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আদম বলেন, ‘২৮০ জনেরও বেশি বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এই সংখ্যা ২০০ হবে, তবে সাবধানে হিসাব করে দেখা গেছে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছে।’
তবে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন বা পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার কাদুনা রাজ্যর গভর্নর উবা সানি ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ঠিক কতজন শিশু বা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসলেও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে জিহাদি বিদ্রোহ দমনে কাজ করছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।
গত সপ্তাহেও দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে সংঘাতের কারণে বাড়িঘর হারানো লোকজনের একটি ক্যাম্প থেকে ১০০ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে মেলা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন।
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রমের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙ্কর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ এবং তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ ও ফাইজা শেখ।
শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলা থেকে আগরতলার একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদের অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাস করে সাজা দেন। কারাভোগ শেষে আমরা একটি সেইফ হোমে ছিলাম। সেখান থেকে চার মাস পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
ফিরে আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাভোগ করি। এরপর একটি হোমে ছিলাম। তখন আমার আরেকটি সন্তানের জন্ম হয়। গত ছয় মাস আগে ওখানে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছি।
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে এক নারী ও দুটি শিশু ছাড়া বাকি ১০ জন এসেছিলেন মেলা দেখতে। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফের ১২০ মোম্পানি কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলমসহ অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার দু’দিন পরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে এক দলীয় সম্মেলনে নিজেই এ কথা ঘোষণা করলেন তিনি। ভোটে জেতার আগে এই পদে আর ফিরতে চান না তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি আর ফিরবেন না। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৬ মাস জেলে ছিলেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শুক্রবারই তিহাড় থেকে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মুক্তির দু’দিনের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
আপ প্রধান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কে বসবেন তার আসনে? কে হবেন কেজরীর উত্তরসূরি? তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দলের মধ্যে থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। তবে তিনি কে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন আপ প্রধান।
কেজরিওয়ালের এই ঘোষণাকে তার অগ্নিপরীক্ষা হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার এমপি রাঘব চড্ডা। তিনি বলেন, আজ তিনি (কেজরিওয়াল) অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিল্লিবাসী আপকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দেবে যে তিনি সৎ।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, মাস পাঁচেক পরেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন হতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তবে সেই নির্বাচন যাতে এগিয়ে আনা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন আপ প্রধান।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নিজেকে নিষ্পাপ বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি নথি নিজের কাছে রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অপরাধে অভিযোগ গঠনের পর তিনি এই দাবি করেন। খবর সিএনএনের
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রকাশিত ৪ মিনিটের ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প নিজেকে আবারও নিষ্পাপ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিষ্পাপ। আমি কোনো ভুল করিনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, গোপনীয় সরকারি নথি রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে।
আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প। মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা সর্বশেষ এই ফৌজদারি মামলা ট্রাম্পের সে স্বপ্নের প্রতি আরেকটি আইনি প্রতিবন্ধকতা।