নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ে ফেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা

বিজয়নগর, 20 December 2023, 926 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের বিজয়নগরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ে ফেলার দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের (কাঁচি প্রতিক) সমর্থক আক্কাছ ভূইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

banner

আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন উপজেলার আউলিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আক্কাছ ভূঁইয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মধু ভূইয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন বলেন, দুপুরে উপজেলার আউলিয়া বাজার এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান থেকে রাস্তার উপর টানানো (ঝুলন্ত) নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ছিলো কাঁচি প্রতীকের সমর্থক আক্কাছ ভূঁইয়া।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়া পোষ্টার ছিঁড়ার কথা স্বীকার করায় ৭(২) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে ১৮(১) ধারা অনুসারে আক্কাছ ভূঁইয়াকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে তা আদায় করা হয়। অভিযুক্ত আক্কাছ ভূঁইয়া ভবিষ্যতে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন মর্মে জানান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়ার ইন্তেকাল

বিজয়নগর, 30 October 2023, 996 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৬৫) বছর।

banner

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কণ্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া বেশ কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া গত কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।

এদিকে সোমবার বাদ জোহর শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ও বাদ আসর তার নিজের গ্রাম বিজয় উপজেলার চর-ইসলামপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।

গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক আশিক

বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 January 2023, 3057 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিহত সাংবাদিক ও সেচ্চাসেবক আশিকুল ইসলাম আশিকের (২৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বাদ আছর আশিকের গ্রামের বাড়ি জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর বন্দরবাজারে সংলগ্ন গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আশিকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের পর পরই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশিকের প্রিয় সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যরা শেষ গোসল করান। গোসল শেষে কাফনের পর শহরের ট্যাংকের পাড় মাঠে বাদ যোহর আশিকের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার আগে বক্তব্যে নিহত আশিকের পিতা আশরাফ উদ্দিন তার বক্তব্যে খুনিদের ফাঁসি দাবি করেন। জানাজায় ইমামতি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। এতে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবীরা অংশগ্রহণ করে। জানাজা শেষে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন আশিকের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনের সদস্য রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর একমাত্র আমরাই জেলার সব অজ্ঞাত উদ্ধার হওয়া মরদেহ কবর দিয়ে আসছি। এই পর্যন্ত শতাধিক কবর আমরা দিয়েছি। পাশাপাশি রক্তদান তো নিয়মিত বিষয়। প্রতিটি কাজেই আশিক সক্রিয় ছিল। অথচ আমাদের সংগঠনের মিটিং শেষে ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হলো। আমরা মানুষের জন্য বিনামূল্যে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়ার ফল বুঝি নির্মমভাবে নিহত হওয়া!
পরবর্তীতে আশিকের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন মনিপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় বন্দর বাজার এলাকায় বালুর মাঠে আশিকের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে আশিকের বাবা আশরাফ উদ্দিন ও পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। তারা খুনিদের ফাঁসি দাবি করেন। পরে মাঠের পাশেই কবরস্থানে আশিককে কবরে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
গত সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল পাবলিক লাইব্রেরির সামনে সাংবাদিক ও সেচ্ছাসেবী আশিকুল ইসলামকে স্থানীয় সন্ত্রাসী রায়হানের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত আশিক জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার কুয়েত প্রবাসী আশরাফ উদ্দিনের ছেলে। আশিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পর্যবেক্ষণের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও আশিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একমাত্র অজ্ঞাত মরদেহ কবর ও রক্তদানকারী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন জানান, আশিক সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল। অজ্ঞাত লাশ কবর ও রক্ত দেওয়ায় আশিক সবসময় সামনের সাড়িতে থাকতো। সোমবার বিকেলে শহরের অবকাশ পার্ক আমাদের সংগঠনের মাসিক সভা ছিল। সভা শেষে আমরা দুইটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও রিকশাযোগে ফিরে আসছিলাম। আশিক আমার অটোরিকশার পেছনে একটি রিকশায় ছিল। সামান্য যাওয়ার পর পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে রায়হান নামের একটি ছেলে সহ আরও কয়েকজন দৌঁড়ে এসে আশিকের শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, আশিককে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত রায়হান মিয়া ওরফে সোহান ও সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আশিকের বাবা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ, দুই শিশু উদ্ধার

বিজয়নগর, 2 July 2023, 1161 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিন্ন কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন বেলা ১১টায় দেওয়ান বাজারে আইসক্রিম আনতে গেলে দুই শিশুকে অটোরিক্সা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায় পাচারকারী চক্র। দুই শিশুর নাম সুবর্ণা আক্তার (৯) ও মাফিয়া আক্তার (৮)।

banner

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা ও মামুন মিয়ার মেয়ে মাফিয়া। সুবিধাজনক স্থানে শিশু দুটিকে পানিতে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পাহাড়পুর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নেয়। সেখানে একটি কুঁড়ে ঘরে তাদের আটকে রাখে। পরে জ্ঞান ফিরলে ভয়ভীতি দেখায়, যাতে চিৎকার না করে।

এদিকে দুই শিশুর বাবা-মা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানায় জানান এবং এলাকায় মাইকিং ও স্যোশাল মিডিয়ায় শিশুদের ছবিসহ প্রচার করেন।

পাচারকারীর চক্র জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন শিশু দুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দুই শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিক্সাকে পাশের সোনামোড়া গ্রামের একটি অটোগ্যারেজে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে চালককে খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালান এবং লোকজন তাকে চিনতে পারেন।

এ নিয়ে শনিবার ১ জুলাই বিজয়নগর থানায় সুবর্ণা আক্তারের বাবা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে ওই অটোরিক্সা চালক উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তকদির হোসেন প্রকাশ তছর আলীর (৪৮) নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজয়নগরে ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাত গ্রেফতার

বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 December 2022, 2980 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডাকাতির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বিজয়নগর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আবু জাহেরের পুত্র এমদাদুল হক ওরফে মিলন ওরফে রিপন (৩৪), একই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র মোঃ চুন্নু মিয়া ওরফে চুইন্না (৩০), একই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ জাফর মিয়া (২৭) ও মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র শুক্কুর আলী (৩৫) এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের ডুগাই মিয়ার পুত্র মোঃ জালাল মিয়া ওরফে জালাল ডাকাত (৩০)। পরে তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে এমদাদুল হক, মোঃ চুন্নু মিয়া ও মোঃ জালাল মিয়া আদালতের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ তারিখ জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের আড়িয়াল গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র কুয়েত প্রবাসী মোঃ মোশারফ এর বাড়িতে মধ্যরাতে হানা দেয় ডাকাত দেল। এ সময় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের বেঁেধ ফেলে। ডাকাতরা ওই পরিবারের ৭টি মোবাইল, ২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরদিন এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিজয়নগর থানার পুলিশের পাশাপাশি যৌথভাবে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা বিভাগও। তদন্তের এক পর্যায়ে ডাকাতি মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে গত শনিবার রাতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিন জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকা থেকে একজন ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে একজন ডাকাতসহ চক্রের মোট ৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে ডাকাত এমদাদুল হকের নিকট থেকে লুন্ঠিত নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্নের চেইন (ওজন ৬ আনা), ডাকাত জালাল মিয়ার নিকট থেকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা ও একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, ডাকাত চুন্নু মিয়ার নিকট থেকে একটি ভিভো মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৪০

বিজয়নগর, 19 September 2024, 539 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর চালায়।

banner

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. এর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলত বাড়ি দরবার শরিফের পীর সৈয়দ নাঈম হুজুর ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌঁছলে তাবলীগ জামায়াত নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থনে ওই গ্রামের লোকজন তাতে বাঁধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধোর করে। এরই জের ধরে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা চালায়।

এসময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরাগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে অংশ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের সহশ্রাধিক লোকজন রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৫ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাছুম মিয়া জানান, হাসপাতালে ৩০ জনের উপরে চিকিৎসা নিয়েছেন। গেরাগাঁও গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, জশনে জুলুসের র‌্যালী নিয়ে ঈদে মিলাদুন নবী সা. এর দিনের ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহষ্পতিবার ফের সংঘর্ষ হয়। সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় আমার ঘরসহ অনেকের বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। বিজয়নগর থানার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।