চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী টানা দুই বারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রতীক বরাদ্দের পর ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসময় তিনি ওলী আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করেছেন। বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায় যোগদান করে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। প্রতিটি সভায় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ খেলার মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন ‘আমার মুরব্বিয়ান, আমি সত্যিকারের এতিম’। আপনাদেরকে দেখে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আপনাদের পাশে থেকে আমি আমার কষ্ট ভুলে যাই। আজকে এইটুকু দাবি করে গেলাম আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমি আবার ফিরে আসবো। আমি আপনাদের থেকে দুরে থাকতে পারি না। আমি আবার ফিরে আসবো ইনশাল্লাহ। আপনাদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। আমি আপনাদেরকে ভালোবাসি’। মন্ত্রীর এমন আবেগ তাড়িত বক্তৃতায় উপস্থিত লোকজনের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মুহুর্তেই বিশাল মঞ্চে নিরবতা নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমান করতে হবে জনগন নির্বাচন চায়। তাই সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমার দাবী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিবেন। আমি সারা বিশ্বে দেখাবো যে আমার মানুষ আমাকে কত ভালোবাসেন। এসময় উপস্থিত লোকজন দু’হাত উঁচু করে তাকে সমর্থন জানান।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সংবিধান প্রণেতা, বরেণ্য আইনজীবি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এড. সিরাজুল হক ও জাহানারা হকের সুযোগ্য সন্তুান আনিসুল হক। তাঁর এক ভাই আরিফুল হক রণী ও এক বোন সায়মা ইসলাম। তাঁর সহধর্মীনি নূর আমাতুল্লাহ রিনা হক। আনিসুল হকের মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই প্রয়াত হয়েছেন।
আনিসুল হকের ছোট ভাই আরিফুল হক ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। বড় বোন সায়মা ইসলাম মৃত্যু বরণ করেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। বিয়ের কিছু দিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লা রিনা হকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তাঁর বাবা এড. সিরাজুল হক প্রয়াত হন ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর। ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হকের মা জাহানারা হক ইন্তেকাল করেন।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী সহ তিনজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। অপর দুজন হলেন এনপিপি ও তরিকাত ফেডারেশনের প্রার্থী।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনা জেলে বসেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল, রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লিসহ এরকম কয়েকশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত। এসব দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ হলো এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের দেশ পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাদের ছিল লুটপাট ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার আহ্বান জানাই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৪ মার্চ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা পূর্বপাড়া বাদরখাল ব্রীজের পাশে ঝোপ থেকে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সকালে কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা পূর্বপাড়া বাদরখাল ব্রীজের পূর্বপাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ জসিম উদ্দিন, রমজান প্রকাশ মেছতা রমজান, মোঃ রমজান ও সজল নামে চার মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় খড়ের গাদার নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানে ৯ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৮জুলাই সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউপির কেয়াইর গুচ্ছগ্রাম থেকে গাঁজাসহ রৌশন মিয়াকে আটক করা হয়। আটক রৌশন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
কসবা থানার ওসি রাজু আহাম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খাড়েরা ইউপির কেয়াইর গুচ্ছগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুচ্ছগ্রাম থেকে রৌশন মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে গুচ্ছগ্রামের ২১৯ নম্বর ঘরের পাশে খড়ের গাদার নিচে ছোট ছোট পলিথিনে মোড়ানে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১২৫ কেজি গাঁজাসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কসবা থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এর সকালে উপজেলার পৌরশহরের ইমামপাড়া এলাকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল পৌরশহরের ইমাম পাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারী ১২৫ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রাজ হোসেন জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৩৪ কেজি কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।