চলারপথে ডেস্ক :
বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও বেশিরভাগ সময়ই এর চ্যাম্পিয়ন হয় ইউরোপের দলগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
সৌদি আরবে শুক্রবার রাতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইটা জমলো না একেবারেই। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। এর মধ্যে শুরু ও শেষের গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেস। তৃতীয় গোলটি ফিল ফোডেন করলেও বাকি গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
সিটির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে ইতিহাস গড়লেন গার্দিওলা। ফুটবল ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেন চারবার। রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি এই শিরোপা জিতেছেন তিনবার।
এই জয়ে সিটির হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাও জিতলেন গার্দিওলা। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এফএ কাপের শিরোপা জেতে সিটি। এই মৌসুমে ক্লাব বিশ্বকাপ ছাড়াও জেতেন উয়েফা সুপার কাপ। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে ৫টি শিরোপা জিতল সিটি।
ম্যানচেস্টার সিটি ইংল্যান্ডের চতুর্থ দল যারা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল। এর আগে এই কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও লিভারপুল।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলো না উগান্ডা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ব্রায়ান মাসাবার দল। তুলনামূলক শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি দলটি।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার গায়ানায় গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখােমুখি হয় আফগানিস্তান ও উগান্ডা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দেড়শো পার করে দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ১৫৪ রানের মাথায় জাদরানকে বোল্ড করে উগান্ডাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ব্রায়ান মাসাবা। ৪৬ বলে ৯ চার এবং ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন ইবরাহিম জাদরান। এরপর দ্রুত ফিরে যান গুরবাজও। ৪৫ বলে ৪টি করে সমান চার-ছক্কায় ৭০ রান করেন গুরবাজ। ডানহাতি এই ওপেনারকে থামান আলপেশ রমজানি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শেষ দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
১৮৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় উগান্ডা। ফজলহক ফারুকীর করা ইনিংসের প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে দুর্দান্ত শট খেলেন রোনাক প্যাটেল। কিন্তু এই ওপেনার পরের বলেই পরাস্ত হন। তিনে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি রোগার মুকাসা। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে উগান্ডা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। ধুঁকতে থাকা উগান্ডা মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ৪ ওভার বাকি থাকতেই। তাদের হয়ে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন উবোয়া। দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন রিয়াজাত আলী শাহ। তার ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এটা ফারুকীর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক ও রশিদ খান। একই ভেন্যুতে আফগানদের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ৭ জুন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ ও রোহিত শর্মা পৌঁছাবেন ৪০ বছর বয়সে। যদিও ফিট থাকলে তাদের বিশ্বকাপে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তার মতে, কোহলি-রোহিতের এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। ভারতের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।
গম্ভীর বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি হোক বা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, আমি মনে করি তারা দেখিয়েছে বড় মঞ্চে কী করতে পারে। একটা বিষয়ে আমি খুবই পরিষ্কার দুই জনের ভেতরই অনেক কিছু দেওয়ার বাকি রয়েছে। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরকে সামনে রেখে অবশ্যই যথেষ্ট অনুপ্রাণিত থাকবে তারা।’
‘এরপর আশা করি, ফিটনেস যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলতে পারে। তবে এটা একদমই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি বলতে পারব না তাদের মধ্যে কতখানি ক্রিকেট বাকি আছে। দিনশেষে এটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে, দলের সফলতায় তারা কতটা অবদান রাখতে পারবে।’
ছুটি কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরছেন কোহলি-রোহিত। তাদের যতদিন সম্ভব রাখতে চান গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘দিনশেষে দলই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি কোহলি-রোহিতের এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। তারা বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং যেকোনো দলই তাদের যতদিন সম্ভব ধরে রাখতে চাইবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তার স্বামী শাকিব খান মঙ্গলবার তার সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বুবলী তার ফেসবুক পেইজে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর হঠাৎ-হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আপনার এ রকম নিউজ দেখে খুব অবাক হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি!! শেহজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে চাই না। এড়িয়ে যাই; কিন্তু আমার ছেলের সম্মানের জন্য যদি মা হয়ে আমাকে কথা বলতে হয়, সময় হলে আমি অবশ্যই বলব…।
বুবলী আরো লেখেন, আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম। শেহজাদকে সহও একসঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসঙ্গে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি…। শেহজাদ ছাড়াও কয়েক দিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদের পরও একসঙ্গে থেকেছি, টাইম স্পেন্ড করেছি…।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর পর কী উদ্দেশ্যে আপনি আপনার স্ত্রী (এখনো আপনার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়নি) এবং আপনার সন্তানের মাকে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে সংবাদ করে ক্ষীণও চিন্তা প্রকাশ করেন?
তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু আর্কাইভে থেকে যাবে এবং শেহজাদ কিছু দিন পর বড় হয়ে এসব দেখবে এবং ভাববে কী নোংরাভাবে আপনি তাকে ক্যাশ করে তার মাকে প্রতিনিয়ত হেয় করেছেন।
বুবলী বলেন, আপনাকে তো কোথাও কখনো অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি; বরং যে কোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানাভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। আপনার সমসাময়িক এত বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছু দিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেন? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনো এ রকম করতেন না? নাকি আপনার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আর অন্য কোনো বিষয় তখন একান্ত মুখপাত্ররা পাশে থেকে কেউ ডাবিং করে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে— ভালো ভালো সিনেমা করুন, তবে মনে রাখবেন সুপারস্টারডোম জীবনের একটা অংশ; কিন্তু এটাই পুরো জীবন নয়।
শাকিব খানের উদ্দেশে বুবলী আরও লেখেন, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে নিজের জীবনটাকে গোছান, সেটি যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিনশেষে আপনারই ছিল।
সবশেষে তিনি শাকিবের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো আপনার কোনো কিছু মনে হলে সেই সিদ্ধান্তও একান্তই আপনার, সেটা যেই সিদ্ধান্তই হোক আমি অবশ্যই শুভকামনা জানাব; কিন্তু বিনীত অনুরোধ করব— আবারও কোনো লুকোচাপা করে আর কোনো বাজে কনফিউশন তৈরি করবেন না। শেহজাদের বাবা হিসেবে আমি যেমন আপনাকে সম্মান দিই, আপনিও সেটি করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এটা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি, বলেছেন মুশফিক। এ জয়ের জন্য সব খেলোয়াড়কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে এ সিরিজের জন্য তাঁরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য। ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
২০০৩ সাল। মুলতানে পরাক্রমশালী পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ এসেছিল। টেস্টে তখন বাংলাদেশ ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। মোহাম্মদ রফিক ‘অনৈতিক’ ভেবে মানকাডিং না করায় সেবার ১ উইকেটে হেরেছিলেন হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদরা। ২১ বছর পর এবার ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-মেহেদী মিরাজরা। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে টাইগাররা।
টেস্টে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক এই জয় পেয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস ও মুমিনুল-লিটনের পর মিরাজের ফিফটিতে। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে মিরাজ ও সাকিব অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। যে রান তুলতে পেতে হয়নি বেগ।
সিরিজের প্রথম এই টেস্টের টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। প্রায় দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর হওয়া টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ১৬ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদরা। কিন্তু সূদ শাকিলের ১৪১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৭১ রানের সঙ্গে সাইম আইয়ূবের ৫৬ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ হয়তো ভেবেছিলেন বাংলাদেশ রানের চাপায় পিষ্ট হবে। কিন্তু চোখে চোখে রেখে শুধু জবাব দেননি মুশফিক-সাদমানরা। বরং তুলে নেন ১১৭ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সাদমান সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া মুমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ ও মেহেদী মিরাজ ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দেড়শ’ রানের আগে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। টেস্টে বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭০৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের রিজওয়ান ৫১ রান করেন। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭ রান যোগ করেন। জবাবে জাকির ১৫ ও সাদমান ৯ রান করে জয় তুলে নেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এছাড়া টেস্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শুধু নয় ফিল্ডিংয়েও কর্তৃত্ব করে খেলেছে। লিটন উইকেটের পেছনে বাবর আজমের ক্যাচ ফেললেও সফরকারীরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংস্কার কাজের শুরুতে পাওয়া জয়ের মাহাত্ম্য তাই একটু বেশিই।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান ক্রিকেট দল কখন কি করে তা যেমন বলা যায় না, তেমনি এবার তাদের নারী ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেও এই প্রতিয়মান হলো। যে নারী ক্রিকেট দল বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলো সেই দল এবার হারিয়ে দিয়েছে নিউজজিল্যাণ্ডের মতো শক্তিশালী দলকে।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। যেটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিউেইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম জয়। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের মেয়েরা। এতে করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা। এখন লক্ষ্য শেষ ম্যাচে পরাজিত করে নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয়া।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান মুনিবা আলীর ৩৫ ও আলিয়া রিয়াজের ৩২ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে গিয়ে থেমে যায়। এতে করে পাকিস্তান ১০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
২০১৮ সালের অক্টোবরের পর দেশের বাইরে এটিই পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়। এশিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়ও এটিই। অথচ ইতিহাস গড়া এই পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এ সময় ৭ রান করে ফেরেন সাওয়াল জুলফিকার। দলীয় ৫৬ রানে ওপেনার মুনিবা আলীর ২৮ বলের ৩৫ রান করে ফেরেন। ৮৪ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক নিদা দার। তবে আলিয়া রিয়াজ ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেললে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
জবাবে পাকিস্তানের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউই মেয়েরা। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। এরপর দলীয় ৬২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গিয়ে থামে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন হান্নাহ রোয়ী।
পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার ফাতিমা সানা ৩টি ও বাঁহাতি স্পিনার সাদিয়া ইকবাল ২টি উইকেট নিয়েছেন। এ ম্যাচে চোট নিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান খরচায় ১ উইকেট নেন পাকিস্তান অধিনায়ক নিদা দার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩০ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার মেগান শাটের সঙ্গে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এখন পাকিস্তান অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, শনিবার সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে কুইন্সটাউনে। এরপর হবে ওয়ানডে সিরিজ।