অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেবী চন্দকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জকে প্রত্যাহার করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ অবস্থায় উল্লিখিত জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে, চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মাদারীপুরের ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শককেও প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
অনলাইন ডেস্ক :
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য ২২ দফা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষ থেকে পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্থিক অনিয়ম বা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পুরো চাকরিজীবনে একটি গুরুদণ্ড পেলেও তিনি ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য বিবেচিত হবেন। কোনো কর্মকর্তা একবার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তাকে একই থানায় দ্বিতীয়বার ওসি করা যাবে না।
২২ দফা নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি হিসেবে ফিটলিস্টভুক্ত হওয়ার জন্য পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদে ন্যূনতম তিন বছর চাকরি করতে হবে। ফিটলিস্টভুক্ত কর্মকর্তাকে তাঁর নিজের এবং স্ত্রী বা স্বামীর জেলা বাদে অন্য জেলায় ওসি হিসেবে পদায়ন করা যাবে। তবে ৫৪ বছরের বেশি বয়সী কোনো পরিদর্শককে ওসি করা যাবে না।
পদায়নের ক্ষেত্রে এইচএসসি/সমমান বা তদূর্ধ্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিদর্শকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পরিদর্শক পদে দুই বা ততোধিক দণ্ড এবং পুরো চাকরিকালে তিন বা ততোধিক গুরুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য হবেন।
এ ছাড়া কোনো থানায় ওসি হিসেবে পদায়নের আগের এক বছরের মধ্যে লঘুদণ্ড বা দুই বছরের মধ্যে গুরুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে তাকেও থানায় পদায়ন করা যাবে না। থানায় ফিটলিস্টভুক্ত একাধিক পরিদর্শক থাকলে জ্যেষ্ঠতমকে প্রযোজ্য শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হবে।
নীতিমালায় রয়েছে, পরিদর্শক (তদন্ত/অপারেশনস্) পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে ধারাবাহিকভাবে একই থানার ওসি করা যাবে না।
তবে অন্য কোনো থানা/ইউনিটে ন্যূনতম ছয় মাস চাকরি করার পর তাকে পদায়ন করা যাবে। কোনো কর্মকর্তা একবার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তাকে একই থানায় দ্বিতীয়বার ওসি করা যাবে না। ওসি হিসেবে দুই বছর চাকরির পর অন্যত্র বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে একই থানায় ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ তিন বছর চাকরির সুযোগ থাকবে। কোনো থানার ওসিকে ১৮ মাসের আগে অন্যত্র বদলির প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি/পুলিশ কমিশনাররা নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে বদলি, প্রত্যাহার বা সংযুক্ত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ সদরদপ্তরের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে না।
এদিকে ওসি হিসেবে সর্বোচ্চ চারটি থানা বা ছয় বছর দায়িত্ব পালন করলে (যেটি আগে ঘটে) পরবর্তীতে তিনি আর ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য বিবেচিত হবেন না। একটি থানার কর্মকাল গণনায় ন্যূনতম ছয় মাস ধারাবাহিকভাবে চাকরি করতে হবে। তবে কোনো অভিযোগ/বিচ্যুতির প্রমাণসহ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছয় মাসের আগে প্রত্যাহার হলে ওই থানা গণনার জন্য বিবেচিত হবে। সর্বশেষ কর্মস্থল/জেলা পুলিশ/ ইউনিটে ওসি হিসেবে পদায়ন বা বদলি করা যাবে না। ওসি পদায়নের লক্ষ্যে ফিস্টলিস্টভুক্ত হওয়ার পর ‘পুলিশ স্টেশন ম্যানেজমেন্ট কোর্স (পিএসএমসি)’ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো কর্মকর্তাকে ওসি হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে তার প্রশিক্ষণের ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে। পিইটিতে উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত প্রয়োজন নেই, তবে ফিটলিস্ট করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের শারীরিক সক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। ওসি পদায়নের ক্ষেত্রে বিগত পাঁচ বছরের এসিআর-এ গড়ে ন্যূনতম ৮০ নম্বর থাকতে হবে। তবে বিগত তিন বছরের এসিআর-এ কোনো ‘বিরূপ মন্তব্য’ থাকলে ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, ওসি পদে ফিটলিস্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার বিষয়ে পিএএল-এর নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। ফিটলিস্টভুক্ত কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হবে। ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য পরিদর্শক পদে গ্রুপ-৩ এর যে কোনো ইউনিট বা গ্রুপ-৪ এর ৬ থেকে ১০ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ইউনিটে ন্যূনতম ১ বছর চাকরি করতে হবে।
গ্রুপ-১ এ রয়েছে, ডিএমপি, সিএমপি, কেএমপি, আরএমপি, বিএমপি, এসএমপি, জিএমপি, আরপিএমপি ও রেলওয়ে পুলিশ।
গ্রুপ-২ এ রয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট রেঞ্জ।
গ্রুপ-৩ এ রয়েছে, বিপিএ, পিএসসি, পিটিসি টাঙ্গাইল, পিটিস খুলনা, পিটিসি নোয়াখালী, পিটিসি রংপুর, টিডিএস, এএসটিসি, আইএসটি, প্রশিক্ষণ, এপিবিএন, র্যাব ও এসপিবিএন।
গ্রুপ-৪ এ ছয় থেকে ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে, আইপি, এমআরটি, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশ।
ফিটলিস্টভুক্ত পরিদর্শককে গ্রুপ-১ বা ২ এর যে কোনো একটির ইউনিটের সর্বোচ্চ তিনটি থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন করা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মুদি দোকানীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় মুদি দোকানী বিলাস কুমার ঘোষের ৪ হাজার টাকা, সুজিত কুমার মন্ডলের ৪ হাজার টাকা ও রঞ্জন চন্দ্রের ২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই জয় দাস তার সঙ্গে ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দেওয়ান ফয়সাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীরের সামনে জবানবন্দি দেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ তাঁর নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। ফয়সাল রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
পুলিশ সুপার জানান, দেওয়ান ফয়সাল জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকের নাম বলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ও উপজেলা যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ নেতা নোমানের সঙ্গে ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টায় ফয়সালের কাছে ফোন আসে– যুবলীগ নেতা নোমানকে মারতে হবে। এর পর মোটরসাইকেল নিয়ে ফয়সাল রামগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় আসে। সেখান থেকে হেঁটে নাগেরহাট সড়কের পোদ্দার বাজার স’ মিল এলাকায় অন্য অস্ত্রধারীদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ফয়সালসহ ৮ অস্ত্রধারী নোমান ও রাকিবের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে শটগান থেকে গুলি চালায়। নোমান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়। হত্যাকাণ্ড শেষে ফয়সালসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় ঘটনাস্থল ছেড়ে রামগঞ্জের দিকে চলে যায়। সেখানে ফয়সাল তার এক বন্ধুর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন রামগঞ্জে অবস্থান করলেও এর পর গা ঢাকা দেয় ফয়সাল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হলে ফয়সাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলার এজাহারে নাম থাকা ৬ আসামিসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফয়সাল ছাড়াও মামলার এজাহারভুক্ত অন্য পাঁচ গ্রেপ্তার আসামি হলো– মশিউর রহমান ওরফে নিশান, রুবেল দেওয়ান, মো. সবুজ, আজিজুল ইসলাম ওরফে বাবলু এবং নাজমুল হোসেন। হত্যাকাণ্ডে আরও যারা জড়িত ছিল, তাদের ধরতেও অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ । এ পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা সবাই জিহাদীর ঘনিষ্ঠজন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে বিভিন্ন সংগঠন।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে ‘বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’-এর পক্ষ থেকে আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে।
তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবছরের জন্য হল ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন।
১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওয়াজেদ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ এবং ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ নামে দুটি বই লিখেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।