চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিননাথ দাস (৩৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কান্দাপাড়া এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন।
নিহত তিননাথ দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া গ্রামের পিছন দাসের ছেলে। তিনি লালপুর বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার ভোরে তিননাথ দাস বাড়ি থেকে লালপুর বাজারে মৎস্য আড়তে যাওয়ার সময় কান্দাপাড়া সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একদল ছিনতাইকারী তার ওপর আক্রমণ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা প্রায় এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরুণ কান্তি দাস জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ভোটের মাঠে নেমেছেন ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান।
মাইনুল হাসান গত বৃহস্পতিবার সরাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সহস্রাধিক অনুসারী-সমর্থক মোটর শোভাযাত্রাসহ উপজেলা সদরে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরাইল সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া। আবুল হাসানাতের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা সদরের দুই বাসিন্দা; যারা আবুল হাসানাতে প্রার্থিতার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী হয়েছেন। ধানের শীষের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই পুত্র বর্তমানে নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন শাহজাহান আলম। এখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মোট ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আমিনপুরের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার লালবাগে। তিনি আগে ভোটার ছিলেন আমিনপুরের। তবে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়ার বাসিন্দা হয়েছেন। তবে এখানে তাঁকে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
সদ্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দলত্যাগের আগপর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। ছয়বারের মধ্যে চারবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। পরে সাত্তার টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ৪৩ হাজার ২৬১ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি একাধিকবার এ আসন থেকে বটগাছ এবং ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাপার জিয়াউল হক মৃধার লাঙ্গল প্রতীকের কাছে ৪৯ হাজার ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ৫ নভেম্বর আবারও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে ২৪ হাজার ৪৬৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপজেলায় ইসলামী ঐক্যজোটের অবস্থান এখন খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এলাকার কওমি মাদ্রাসাপন্থী লোকজন একসময় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর অনুসারী ছিলেন। তাঁরাও এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। বড় অংশটি বর্তমান নির্বাচন বিরোধী। এ কারণে এখানে ভোটার টানতে হাসানাত আমিনীকে বেগ পেতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের সরাইল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাকিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে এখানে আমাদের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা আমাদের তুলে নেবেন (জয়ী করবে) বলেছেন।’ তিনি বলেন, সরাইল উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসা আছে। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ মাদ্রাসার লোকজন তাঁদের পক্ষে আছেন।
তবে ইসলামী ঐক্যজোটের পুরোনো কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে কওমি মাদ্রাসাপন্থীদের ৯০ শতাংশ এ নির্বাচনের বিরোধী। তাই এ নির্বাচনে ইসলামী কোনো দলই ভোট টানতে পারবে না।
বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন একসময় ধানের শীষের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যার কারণে ছয়বার সংসদ সদস্য হন বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তাঁর দল ত্যাগের পর ধানের শীষের সমর্থকেরা সাত্তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে উপজেলার প্রত্যন্ত পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নে এখনো সাত্তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা এখন মাইনুলের অনুসারী। এ কারণে এ দুটি ইউনিয়নে শক্ত ঘাঁটি হতে পারে মাইনুল হাসানের। আবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের সাবেক দু-একজন নেতা-কর্মীকে মাইনুলের পক্ষে দেখা যায়।
মাইনুল হাসান বলেন, ‘আমি তৃণমূল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য। আমাদের দলের জেলা বা উপজেলা কমিটি নেই। তবে আমার আব্বু এখানে ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর অনুসারীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া আমার এলাকার দু-তিনটি ইউনিয়ন আছে, যেখানে আমি একচেটিয়া ভোট পাব।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। বিএনপির প্রকৃত কর্মীরা বলছেন, তাঁরা উকিল সাত্তারের পরিবারে পাশে থাকবেন। তিনি আশা করছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতা-কর্মী এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। এমনকি আমাদের কোনো ভোটারও ভোট দিতে যাবে না। যাঁরা এখন তৃণমূলে যাচ্ছেন, তাঁরা বহিষ্কৃত।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এস তরুণ দে। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার একটি অনিবার্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। জনতার এ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরাজিত শক্তি নানা গুজব রটানোসহ ষড়যন্ত্র করে চলছে। তাই দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কোনো অশুভ শক্তি যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল ১১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর স্বর্গীয় সূর্য কুমার দাস চৌধুরীর বাড়ির পূজা মণ্ডপে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ও সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। একটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ভেতর দিয়ে এবার পূজা শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান। আমাদের নেতা তারেক রহমান এ সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আহবান জানিয়েছেন। আমরা সে লক্ষে কাজ করছি। তাই পূজায় ধর্মীয় আবেশ বজায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রামে পূজা মঞ্চে ইসলামী গান পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আয়োজক ও অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের অতি আবেগের কারণে হতে পারে। হয়তো কিছুটা ভুল বুঝাবুঝিও থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দায়িত্বশীলরা এটি বিচক্ষণতার সাথে হ্যান্ডেলিং করছে। এই ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত লাগানোর চেষ্টা ছিল কি না তাও যাচাই করা হচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সরাইল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব নূরে আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মেহেদী হাসান পলাশ, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মাস্টার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন মাস্টার এবং আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হুমায়ূন কবির, উজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তাফসির আহমেদ, যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম ও আব্দুর রাহীম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তরুন দে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ কমিটির হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ঘুষিতে মো. সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়াইসিধা বাজারের পাশের রঙিলা পারায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত সোহেল একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে রোকন উদ্দিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে আবুল কাশেম মিয়ার ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাশেম মিয়ার পরিবারের আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সঙ্গে রোকন মিয়ার পরিবারের লোকজনের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সোহেল মিয়াকে আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজান মিয়া ঝাপটে ধরে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। এ সময় সোহেল গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুঞ্জে বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতাদের মতবিনিময় সভা আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কার্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুঞ্জে বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো.শাহাজাহান সিরাজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, বিএনপি সমর্থতি জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.আবুল কালাম আজদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি সমর্থিত বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. মারুফুর রহমান মারুফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর বিদ্যুৎখাতকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্বারা লুটপাট হয়েছে। ফ্যাসিবাদেও লুটপাট বন্ধ করে বিদ্যূূুৎখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।যেকোন মুল্যে দেশনায়ক তাকে রহমানের নেতৃত্বে সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এনে দেশের সেবাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
এর আগে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীতে সিবিএর নির্বাচনের দাবিতে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতাদের সাথে পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।