চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে আগামী দিনে কারা দেশ পরিচালনা করবে। আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার দরিয়াদৌলত গ্রামের উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা, নৌকা এবং দেশের জনগণ একটি সুসম্পর্কের বন্ধন। বাংলায় একজন নেত্রীই আছে শেখ হাসিনা। যার জীবনে চাওয়া একটাই বাংলার জনগণের কল্যাণ সাধন করা।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, জনবিচ্ছিন্ন জামায়াত-বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই এখন মাঠে নেমেছে নির্বাচন বানচাল করতে। বিদেশিদের কাছে এমনভাবে ঘুরছে যেন বললে কালই তারা ক্ষমতায় বসে যাবে। তারা কিভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে যারা ক্ষমতার লোভে মানুষকে পুড়িয়ে মারে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইলসাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ মো. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম.এস. রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রথমে জমায়েত ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর পর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নিউমার্কেট মোড় ও লালদীঘির পাড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানীং কিছুদিন পর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে আসছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন। যদি বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসারে ফেলে দেওয়া হবে। কেউ রক্ষচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। দেশে সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে। আমাদের দেশ চলবে আমাদের আইনে। কারও প্রেসক্রিপশনে নয়। বিএনপির অনেক আশাই ছিল– যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা কিছু বলেনি। এ জন্য তারা (বিএনপি) হতাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর অনেক মানুষকে দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের (বিএনপি) হাঁটা কর্মসূচি, দৌড় কর্মসূচি থাকে। তবে রাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দেয়। সঙ্গে থাকে তাদের নারীনেত্রী রুমিন ফারহানা। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে ধরনা দিয়ে আর লাভ নেই। তাই মির্জা ফখরুল কথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সঞ্চালনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আজ ১ জানুয়ারি বুধবার বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকের পাড়) মোড়ে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর থেকে লড়াই সংগ্রামে আন্দোলন করে গেছে। যত ফ্যাসিস্ট সরকার ছিলো সব সরকারকে বিতাড়িত করেছে। গত জুলাই অভ্যুত্থানেও জনতার সাথে ছাত্রদল নেতৃত্ব দিয়েছে বলেই শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। আমরা আহবান জানাই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের প্রতি বাংলাদেশে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার না আসতে পারে।
এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য গত ১৭ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি এবং আমরা সফল হয়েছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই দ্রুত যেন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় আমরা আবারো ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। র্যালিতে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরকার উন্নয়নের নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আগামীদিন বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে সেই লুটের টাকার হিসেব নেয়া হবে।
তিনি আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০দফা দাবিতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।
স্টেশন রোডের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচীতে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, বর্তমান সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকার ১৫ বছরের দুঃশাসনের মাধ্যমে মানুষকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছে তাতে আগামী ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোঃ জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য মুমিনুল হক, উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন, তালশহর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন আহমেদ, শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রওয়াজ আহমেদ, তারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামদু মিয়াজী, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাবুল আহমেদ, চর-চারতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নীলফামারী প্রতিনিধি :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, কোনো নির্বাচন হতেও দেবে না।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্থানীয় টাউন হলে ৯ বছর পর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরে বলেন, চুরি আর পাচার ছাড়া কিছুই করছে না বর্তমান সরকার। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ খেতে পারছে না। ভণ্ডামির রাজনীতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আওয়ামী লীগ ভিন্নভাবে বাকশাল কায়েম করছে।
৭২ এ নিজেদের করা সংবিধান কেটেছেটে নিজেদের মতো করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে আগের মতো দেশ গড়তে তারেক রহমানে নির্দেশে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে টেকব্যাক বাংলাদেশ শ্লোগান তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ১০ টাকার চাল এখন ৮০ টাকা। আদানী গ্রুপের বিদ্যুৎ আনছে। ৮ টাকার বিদ্যুৎ এখন ১৬ টাকা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আওয়ামী লীগ ৭৩ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছিলো। প্রথমে রাজি না হলেও মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া মেনে নিয়েছিলেন। ৪ বার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, এখন তারা আর ভোটে জিতবে না বলে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।
এসময় সৈয়দপুর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ এসএম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকারসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ভূমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের সরকার। এই প্রথম ভূমিহীন ঘরহীন লোকগুলো সামনের ঈদটিতে নিজ ভূমি ও ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবে। বাংলার সাধারণ মানুষের আশার এবং ভরসার শেষ আশ্রয় হিসেবে শেখ হাসিনাকেই পাশে পায়।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি স্মাট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।