চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে ইমরানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী-শাশুড়ি। বুধবার রাত ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে স্বামী-শ্বাশড়িসহ ননদ-ননদী পালিয়ে যায়।
ইমরানা বেগম উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন রানীদিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল কাহারের মেয়ে ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ইমরানাকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর সংসার চলে। গত বুধবার বিকালে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি নিয়ে শ্বাশুড়ি, ননদ ইমরানাকে মারধর করে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরানা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর ইসরাইল কর্তৃক বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও ইসরাইলী পণ্য বর্জনের দাবিতে এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সরাইল উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে উচালিয়ায়াপাড়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উচালিয়াপাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও সৈয়দটুলা সুফিয়া করিম মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সহস্রাধিক আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদি মুসলিম জনতা অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আওয়মী লীগের বিশেষ কর্মীসভা আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ( সরাইল-আশুগঞ্জ) শূন্য আসনে উপনির্বাচন-২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজু এর সমর্থনে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ এ কর্মীসভা হয়।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩১২ আসনের এমপি ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো: হেলাল উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উক্ত বিশেষ কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে চেকের মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফতেহ আলী নামের এক ইউপি সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। প্রয়াত আহমদ আলীর ছেলে ফতেহ আলী উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বছিউড়া গ্রামের কুদরত আলীর বাড়ি (ঠাকুর বাড়ি) থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানার এস আই শাহীন পারভেজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ফতেহ আলী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার একটি ইটভাটার মালিক থেকে শ্রমিক দেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা এনেছিলেন। এক সময় মালিক ফতেহ আলীর কাছে অনেক টাকা পাওনা হন। ফতেহ আলী ইটভাটার মালিকের ওই টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছেন ভাটার মালিক। এক পর্যায়ে ইটভাটার মালিক নিরূপায় হয়ে ফতেহ আলীর বিরূদ্ধে সিলেটের ফেঞ্চুগজ্ঞ থানার চেকের মামলা করেন। মামলা নম্বর-৬১৬/২১। সিআর মামলা নম্বর-৩৫/২০। ওই মামলায় ফতেহ আলীর এক বছরের সাজা ও ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত হয়। সাজা নিয়েই কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে চলাফেরা করতেন ফতেহ আলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, জনপ্রতিনিধি একটা সাইনবোর্ড। নানা অপরাধের সাথে জড়িত ফতেহ আলী। নারী মদ থেকে শুরূ করে মাদকের অভিযোগও আছে তার বিরূদ্ধে। গত ১০ জানুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। প্রসেস নম্বর-৮৫/২২, তারিখ- ১৫/০১/২৩ খ্রি. মূলে পরোয়ানাটি আসে সরাইল থানায়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুদরত আলীর পাশের বাড়ি থেকে ফতেহ আলীকে গ্রেফতার করেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফতেহ আলীকে বিজ্ঞ আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১২ জুন বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচে কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতক দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে একদিনের মেয়ে বাচ্চার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, কেউ হয়তো অবৈধ গর্ভপাত করে বাচ্চার মরদেহ কার্টনে করে ফেলে যায়। বাচ্চার পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবস তথা মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউএনও বলেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সরকারি ভাবে দেয়া কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পরিবর্তন বা প্রস্তাব এসেছে। নতুন নিয়মে জাতীয় অর্ধনমিত করতে হবে ব্যবহৃত খুঁটি বা লাঠির চার ভাগের এক ভাগ নীচে। অর্থাৎ খুঁটিকে মেপে সমান চার ভাগ করে উপরের অংশের এক ভাগের শেষ সীমানায় নীচের অংশে পতাকার উপরের অংশের ফিতা বাঁধতে হবে। এরপর টান দিয়ে নীচে যতটুকু যায় বেঁধে ফেলতে হবে। শহিদ মিনারে পুষ্ফস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পূর্বের মতই আছে। সভায় সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুব খান প্রস্তাব করেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও সরাইলে কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রসা ও কলেজসহ মোট ২২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদৌ নির্মাণ হয়নি শহিদ মিনার। সরকারি/ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট করে হলেও দ্রুত শহিদ মিনার নির্মাণ করা হউক। ফলে নতুন প্রজন্ম খুবই উপকৃত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নৌশাদ মাহমুদ, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাসুদ রানা, মৎস্য কর্মকর্তা মুকসুদ হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান প্রমুখ।