আখাউড়া প্রতিনিধি :
প্রথম দেখায় জায়গাটিকে সড়ক বলে বোঝাই দায়। নোংরা পানি-কাদায় একাকার হয়ে আছে শতাধিক পরিবারের চলার পথটি। কয়েক মাস ধরে এমন ভোগান্তিতে আছেন আখাউড়া উপজেলার ধাতুরপহেলা গ্রামের কয়েকশ মানুষ। চলার পথের এ অবস্থার কারণে তাঁদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিয়েও ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের বাড়ির নোংরা পানি সরাসরি পড়ছে সড়কটিতে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সেখানে। ইট ফেলে হাঁটার ব্যবস্থা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এভাবে চলাচল করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, মোগড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমানের গোয়াল থেকে প্রতিদিন গরুর বর্জ্য মেশানো পানি সরাসরি এখানে পড়ে। এ ছাড়া ভুট্টো মিয়া, আমির হোসেন, সেলিম মেম্বার, নাজির মিয়া, হামদু মিয়া, বিল্লাল, আনার, হেলাল, শামিম ও মোতালিব মিয়ার বাড়ির শৌচাগারের নোংরা পানি ও কলতলার পানিও উপচে আসে এ পথে। তবে তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
আনু মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের লোকজন এ পথের জন্য আসতে পারে না। লজ্জায় পড়তে হয়।’ শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে তাঁর এক সন্তানও নোংরা পানির কারণে অসুস্থ হয়েছিল। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়।
হাবিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমার বাড়ির গোয়ালের পানিই নয়, আরো কয়েকটি পরিবারের পানি রাস্তায় পড়ে।’ তবে মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তাটি উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েকটি পরিবারের ময়লা পানির কারণে শতাধিক পরিবার ওই পথ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। বিষয়টি চেয়ারম্যানও জানেন। তিনি দ্রুতই উভয়পক্ষকে ডাকবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, রাস্তায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শোনলৌহঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল ওই গ্রামের রকিব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক সম্মতিতে ৫ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইসমাইল। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত ইসমাইল তার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হন। এতে ইসমাইলের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে দুই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
স্ত্রী ছেড়ে চলে গেলে ইসমাইল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং চরম বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন। এ সময় বিষণ্নতা কাটাতে মাদক সেবনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন ইসমাইল। এ পরিস্থিতি কাটাতে তার পরিবার দীর্ঘদিন মানসিক চিকিৎসা করালেও কোনো সুফল পায়নি। পরে রবিবার সকালে নিজ বসতবাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে জনৈক ব্যক্তির কাঁঠালগাছের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা থানাপুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার এসআই মো. এরশাদ মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে মো. মোরসালিন ভূঁইয়াকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামীদের তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশি পাহারার মধ্যেই আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পৌণে নয়টার দিকে আসামী আব্দুল্লাহ, সেলিম ও শাহদুল এর তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে পরিবারসহ হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকাতে এখনো পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত রবিবার আখাউড়ায় দেনাদারের বাড়িতে মো. মোরসালিন ভূঁইয়া (২৬) নামে এক পাওনাদারের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে মো. আব্দুল্লাহ নামে অভিযুক্ত দেনাদার পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। মোরসালিনের পরিবারের পক্ষ থেকে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানামা কয়েকজনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন দুই লাখ ৪০হাজার টাকা পেতেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাকে তালাবদ্ধ ঘরে ফেলে রাখা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ও অভিযুক্ত দু’জনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। এসব নিয়ে দেওনা-পাওনা নিয়ে বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৬টি মামলা আছে। মোরসালিনের বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। তবে তারা একসঙ্গেই চলাফেরা করতো বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
নিহত মোরসালিন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুটগ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে দাফন করা হয়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক বলেন, আগুন লাগানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি সেখানে যাবো। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে সেটি বুঝতে পারছি না।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ একটু সরে অন্যদিকে যাওয়ার সুযোগে আগুন জ্বালিয়ে তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানার চেষ্টা চলছে। তবে হত্যাকান্ড ঘটনো পরিবারটির উপর এলাকাবাসীরও ক্ষোভ ছিলো। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। আগুন লাগার ঘটনায় অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারতে মাছ রপ্তানী শুরু হয়েছে। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ১০ টি পিক-আপে করে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মূল্যমানের ৬৫ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে আগরতলা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত এক মাসের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। হঠাৎ মাছ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের রপ্তানীকারকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা। এদিকে আগরতলায় মাছের চাহিদা থাকায় সেদেশের ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। পরে রাজ্য সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অবশেষে আবারও মাছ রপ্তানী শুরু হলো। কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে এসছে বন্দরে।
স্থল বন্দর ও মাছ রপ্তানীকারক সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যটি বাংলাদেশী মাছের উপর নির্ভরশীল। এ বন্দর দিয়ে প্রচুর মাছ রপ্তানী হয় ভারতে। ১ ফেব্রুয়ারী হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার এক মাসের জন্য আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মাছ আমদানী বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গত ১, ২ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ৩ দিন এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানী বন্ধ থাকে। পরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে স্বস্তি ফিরে আসে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে। সোমবার ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। যার মূল্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। রপ্তানী হওয়ার মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, পাবদা, পাঙ্গাস, পুটি, বিগ্রেট, ও মৃগেল ইত্যাদি।
আখাউড়া স্থল বন্দরের মাছ রপ্তানীকারক মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বন্দর দিয়ে ভারতে তিন দিন মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। গতকাল ভারতের চিফ কমিশনারের কাছ থেকে মাছ রপ্তানীর অনুমতি পেয়েছি। আজ থেকে মাছ রপ্তানী শুরু করেছি। আজ প্রায় ২ কোটি টাকার মূল্যের ৬৫ মেঃ টন মাছ রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানী না হলে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হতো।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, রোববার কেন্দ্রীয় সরকার এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাছ রপ্তানী শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ এক লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মাছ রপ্তানী হয়েছে। এতে ডলারের সংকটকালে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে দু দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আজকে প্রায় ৬৫ মেঃ টন মাছ ভারতে রপ্তানী হয়েছে। মাছ রপ্তানি শুরু হওয়ায় বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দীর্ঘ ৮ মাস সাজা খেটে দেশে ফিরেছেন হৃদয় বসু (১৭) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। ১৭ আগস্ট শনিবার বিকেল ৪টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে ওই যুবককে ফেরত দেওয়া হয় তার পরিবারের কাছে। ফেরত আসা যুবকের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুড়মনি গ্রামে।
হৃদয় বসু জানান, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বোনের সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হন হৃদয়। পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নিজের অজান্তেই ভুল করে সীমানা অতিক্রম করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে সে দেশের আদালত তাকে রাজ্যের উদয়পুর অবজারভেশন হোমে পাঠায়। পরবর্তীতে ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তার স্বজনদের খোঁজে বের করা হয়।
সীমান্তের শূণ্য রেখায় হৃদয় বসুকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভিন রুহী, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনের ইনর্চাজ মো. খায়রুল আলম সহ দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফ গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো.জহিরুল হক জুরুর।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলার আখাউড়া পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো. সাকের আহমদ কবিরের মেয়ে তাবাচ্ছুম আক্তার স্নেহার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর ইতালি প্রবাসী হৃদয় হক।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফের ছতুরা শরিফ স্কুল মাঠ থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নববধূকে নিয়ে আবারো একই হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসেন।
এদিকে নববধূ ও হেলিকপ্টার দেখতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ মাঠে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিয়ের বিষয়টা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরের বাবা মো. জহিরুল হক জুরু জানান, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমার বাকি ছেলে ও এক মেয়েকেও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাব।
মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি বরের শ্বশুর সাকের আহমদ কবির। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ যেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী করেন।