অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানকে তার নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব এক রায়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাবাস এবং পাঁচ বছরের নির্বাচন নিষেধাজ্ঞার দণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না তা এখনো অনিশ্চিত। তার আইনজীবীরা অবশ্য নিম্ন আদালতের এই রায় স্থগিতের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। তবে সেই আপিলের ওপর এখনো শুনানি শুরু হয়নি সর্বোচ্চ আদালতে। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান।
এদিকে, সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। সেই পিটিশনে তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দলের নীতি নির্ধারণ ও কৌশল ঠিক করতে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তারা। শুক্রবার আইএইচসির এজলাসে শুনানির জন্য পিটিআইয়ের পিটিশনটি ওঠে। এ সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী দল, আদিয়ালা কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা যদি মনে করেন যে, নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করার জন্য দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান, তাহলে তা তারা করতে পারেন এবং সেজন্য পিটিআইয়ের প্রতিনিধি দল আদিয়ালা কারাগারেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। তবে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর খানের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারাই কেবল এই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। সংবাদসূত্র : ডন
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের করাচির একটি ফ্যাক্টরিতে বিনামূল্যের পণ্য নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ওই ফ্যাক্টরির পণ্য বিতরণ কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতদের সবাই নারী। এদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারা জানিয়েছেন, পণ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে থাকা একটি নালাতে পড়ে যান নারী ও শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। তখন একে-অপরের ওপর চাপা পড়েন। এছাড়া একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ওই নালার ওপর একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
এ দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ করাচির বালদিয়া শহরের আব্বাসী শাহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাছে নয়টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরো ছয়জনকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে দু’টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের সরকারি হাসপাতালে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, যে ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রতি বছর রমজান মাস উপলক্ষে বিনামূল্যের পণ্য ও জাকাত বিতরণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে এবারো অসহায়দের ডাকা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, জাকাত ও পণ্য নিতে সেখানে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন। ওই সময় ফ্যাক্টরির নালায় পড়ে যান অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে নালায় পড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
করাচির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সূত্র : খবর দ্য ডন
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় কখোনো যা ঘটেনি, সেটাই ঘটতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট-প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ দেশটির নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর শীর্ষস্থানীয় দু’জনই নারী।
আজ ২ জুন রবিবার (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
এতে ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লাউডিয়া শেইনবাম এবং ‘ফোয়েরজা ওয়াই কোরাজন ফর মেক্সিকো’র যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী। এ দুজনই জুইশ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান এবং সাম্প্রতিক সব কটি জরিপে তাদের একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা গেছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ক্লাউডিয়া হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকে নিরাপদ করতে কয়েক বছর থেকেই কাজ করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোরের সহযোগী হিসেবে।
বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে মেক্সিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার রোধে ক্লাউডিয়ার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের বিবেচনায় রয়েছে।
অপর নারী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সাবেক সিনেটর এবং ব্যবসায়ী। সব জরিপে দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী জর্জ অ্যালভারেজ ম্যাইনেজ।
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অন্যতম বৃহত্তম ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ উন্নয়নের শীর্ষে এবং মানবাধিকার নিয়ে সদা মুরব্বিয়ানায় ব্যস্ত আমেরিকা তার নেতৃত্ব নারীর কাছে সঁপে দিতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোতে নারী ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাংক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’র সিনিয়র ফেলো শ্যানন ও’নীল।
শ্যানন মনে করছেন, মেক্সিকোতে এমন কিছু বাজে কাণ্ড ঘটে-যার ফলে সুধীজনের পক্ষে দেশটিতে নিরাপদে অবস্থান করা কঠিন। তবে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রভাবিত করতেও যাচ্ছে।
মেক্সিকোর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সত্যি অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারে সাজা ভোগের পর দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশিকে আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি’ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাকের উল্লাহ (২৮), এখলাছ মিয়া (২৬), শফি আলম (২৫), পারভেজ (২৪), মিজানুর রহমান (১৮), মোবারক মিয়া (২৪), মো. মহিউদ্দীন (২২), ছালামত উল্লাহ (১৭), মং থিন (৪২), গিয়াস উদ্দিন (২২), রাকিবুল হাসান রাকিব (২২), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও মোবারক উদ্দিন (১৮)।
উখিয়া উপজেলার মো. শাহেদ(১৮), মো. তারেক (১৮) ও মো. সাবের। বান্দরবান সদরের সিন থোয়ে মং মারমা (৩২), থুইচিং প্রু (২৩), লামা উপজেলার থার তুন হ্লা (৩৬)। রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ইয়ং ছা থুই মারমা(২৬), থান হ্লা সিন/সোয়ে সিন ওরফে ইউসিচিং মারমা (৩০), বেতবুনিয়া উপজেলার ইউ তান ওয়ারা ওরফে স্যার থুই ইউ (৩৪), টেকনাফ উপজেলার মো. ইরফান (২২), মো. ইলিয়াছ(১৯), মো. জহির আহমেদ (৩১), মো. আবদুল আজিজ (২১), মো. তৈয়ব (৩২), আব্দুর সিদ্দিক (২৭) ও রুবেল(২০)।
মঙ্গলবার টেকনাফ জেটিঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক এবং ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে Maungdaw POE (Point of Entrz/Exit) নামক স্থানে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ এর অধিনায়ক মায়ানমার এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যার্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার এর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও উভয় দেশের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি দল মতামত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় আটককৃত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারের কারাগারে আটক ছিল। কারাভোগ শেষে সেই ২৯ জনকে কূটনৈতিক যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার লক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার ফলে মায়ানমার কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের নিকট পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হন্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এক রেলওয়ে কর্মী। এসময় হঠাৎ এক বিষাক্ত সাপ তাকে কামড়ে দেয়। কী করবেন বুঝতে না পেরে, সেই রেল কর্মী আক্রমণকারী সাপটিকে পাল্টা কামড় দেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে ৩৫ বছর বয়সী সন্তোষ লোহার নামে এক রেল কর্মীর সঙ্গে। তিনি বিহারের নওয়াদার রাজৌলির একজন রেল কর্মচারী এবং ঘন জঙ্গলে রেললাইন স্থাপনকারী একটি দলের সদস্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমানোর সময় হঠাৎ সাপের কামড়ে আহত হন সন্তোষ। জঙ্গলের মধ্যে সাপের কামড় খেয়ে দিশেহারা হয়ে সাপটিকেই ধরে দুইবার কামড় দেন তিনি।
স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, সাপকে পাল্টা কামড় দিলে বিষের প্রভাব কমে যায়। অলৌকিকভাবে, সন্তোষ এই বিপদ থেকে রক্ষা পান। সঙ্গীরা দ্রুত তাকে রাজৌলি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে ডা. সতীশ চন্দ্র সিনহা তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই সন্তোষ চিকিৎসায় সাড়া দেন এবং পরের দিন সকালে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ডা. সিনহা নিশ্চিত করেছেন, সন্তোষ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তবে, সাপটি এই ঘটনায় বাঁচেনি। মানুষের কামড়ে সাপটির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাটি স্থানীয় অঞ্চলে প্রচলিত লোককাহিনীর ওপর জোর দেয়, যেখানে বিশ্বাস করা হয় সাপকে পাল্টা কামড় দিলে বিষের প্রভাব সাপের মধ্যেই ফিরে যায়। সন্তোষ লোহার ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটাই ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক। এ সময় তিনি ইউনূস সরকারের কাছে জাতিসংঘের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশে হতাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষের আহত হওয়ার জন্য যারা দায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব কি তাদের বিচার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, হ্যাঁ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়ে কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেছেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করে যে ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে। সেখানে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও বিবেচনা করা হবে।
এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন মহাসচিব।