অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতেই ভেসে গেল। কার্টেল ওভারে খেলা গড়ানোর সম্ভাবয়ান নেই জেনে প্রায় ৩০ মিনিট আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টি থামেনি এখনো। আর থামলেও এ সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত হবে না।
১১ ওভারে ২ উইকেটে কিউইরা ৭২ তোলার পর নেমেছিল বৃষ্টি। রানরেট ছিল ৬.৫৪। ফলে বাংলাদেশের সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ১০ ওভারে ৮৫ রান কিংবা নিদেনপক্ষে ৫ ওভার করা গেলেও ৪৬ তাড়া করার সুযোগ ছিল টাইগারদের।
কিন্তু অনেকটা সময় অপেক্ষার পরও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচটি আর মাঠে গড়ানো যায়নি। ফলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের সুবাদে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে ৩১ ডিসেম্বর।
মাউন্ট মুঙ্গানুইতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেখ মেহেদী হাসানের স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রথম ওভারে মেহেদী দেন ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য শরিফুল ইসলামের। এবারও বাংলাদেশকে শুরুতে ব্রেক থ্রæ এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালেন (২)।
তবে ওপেনিং সঙ্গী হারালেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে তটস্থ রাখছিলেন টিম শেইফার্ট। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঝোড়ো ফিফটির দিকে। তবে তার সে আশা পূরণ হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব।
টাইগার পেসারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শেইফার্ট। অনেক ওপরে উঠা বল দৌড়ে এসে মিডঅফে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন শান্ত। ২৩ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ রান আসে শেইফার্টের ব্যাট থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি পূর্ণশক্তির ছিল না। যেকোনো দিক বিচারেই এই সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য বেশি। সঙ্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে আছে ১০ উইকেটের জয়।
প্রস্তুত ছিল ইতিহাসের পট। যা বৃষ্টিতে ধুঁয়ে যেতে পারত। কিন্তু আবহাওয়া পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ‘বাংলাধোলাই’ করে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিলেন বাসিত আলি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বলেছিলেন,‘শুধু বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে। এছাড়া দুই দলের কোনো তুলনা চলে না। হোম কন্ডিশনের পুরো সুবিধা পাবে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে তাদের মাঠেই টেস্টে হারিয়েছে পাকিস্তান।’
তবে প্রথম টেস্ট শেষে ভিন্ন চিত্র দেখা দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আজ ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে সিরিজও জিতেছে।
অথচ, পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বাসিত বাংলাদেশের জন্য যারে আর্শীবাদ বলে জানিয়েছিলেন সেই বৃষ্টিও তার উত্তরসূরীদের বাঁচাতে পারল না। গতকাল অবশ্য নিজেই সুর পাল্টিয়েছেন বাসিত। তিনি জানান, ধবলধোলাই প্রাপ্য পাকিস্তানের।
বেরসিক বৃষ্টি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পুরো চার সেশন নষ্ট করে দিলেও ধবলধোলাইয়ের মুখ থেকে রক্ষা পায়নি পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথম কোনো দল হিসেবে তাদের মাঠে এমন তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিতে শেষ সেশন নষ্ট হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ অবশ্য গত দিনের সুরটা দীর্ঘ করতে পারেননি তারা। দলীয় খাতায় ১৬ রান যোগ করার পরেই ফিরতে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে মীর হামজার গুড লেন্থের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।
সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পাওয়ার পর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২৪ রান করে খুররম শেহজাদের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দ্বিতীয় সেশন শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। দারুণ শুরু করা মমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।
জয়ের বাকি কাজটুকু পরে সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেই যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে থেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন লিটন দাস। অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা লিটনের অবদান শুধু বললে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কথাও বলতে হবে। ৭ম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি না গড়লে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পাওয়াটা হয়তো হতো না। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে যা বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।
মিরাজ-লিটনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করে। প্রথমবারের মতো টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করার পথে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বাকি ৫ উইকেটের ৪ টি নাহিদ রানা এবং অন্যটি তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন সাদমান ও মুশফিকুর রহিম।
অনলাইন ডেস্ক :
গেল বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৮২ জন বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমী তাদের প্রিয় দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে। এই ছবিগুলো নিয়েই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে জার্সি পরিহিতদের নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। আর এতেই হয়ে যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও প্রথম আলো ডটকম।
ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা আর উন্মাদনা আরো একবার বিশ্বদরবারে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেকর্ড গড়ার জন্য দেশজুড়ে থাকা ফুটবল অনুরাগীরা ফিফা এবং প্রিয় দলের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে ছবি তুলে ‘ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ফ্যানস’-এর ওয়েবসাইটে আপলোড দেন। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা পর্যন্ত। গিনেস কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুসরণ করে এ রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশের অসংখ্য ফুটবলপ্রেমী। নানা যাচাই-বাছাইয়ের পর সম্প্রতি গিনেস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের, যেখানে ৫ হাজার ২৯৭ ব্যক্তি দেশটির ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল) এর বিভিন্ন দলের জার্সি পরে ছবি আপলোড দেন। যা দিয়ে তৈরি হয় অনলাইন ফটো অ্যালবাম। এই লিংকে দেখা যাবে বাংলাদেশের করা রেকর্ডটি।
অনলাইন ডেস্ক :
দেখতে দেখতে এসেই গেল মহেন্দ্রক্ষণ। অপেক্ষার পালা শেষে। এবার মাঠের খেলা শুরু। আজ থেকে ভারতের মাটিতে ১০ দেশের জাতীয় দলকে নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানাডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে স্বাগতিক ভারতসহ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। ভারতের ১০টি ভেন্যুতে ৪৬ দিনে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। লিগপর্বে প্রতিটি দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। লিগপর্ব শেষে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। দুই সেমিফাইনালের দুই জয়ী দল ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
আহমেদাবাদে আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের আসরের। লর্ডসে ২০১৯ সালের স্মরণীয় ফাইনালের সুখস্মৃতি যেন ফিরে আসবে এই ম্যাচের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে উদ্বোধনী ম্যাচটি। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি দেখা যাবে গাজী টিভি ও টি স্পোর্টসে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ অক্টোবর, ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে। ১০ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও বাংলাদেশ খেলবে এই ধর্মশালাতেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচ দুটি সামনে রেখে বাংলাদেশ দল আসামের গোহাটি থেকে এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় পৌঁছে গেছে।
এদিকে, গুঞ্জন ছিল ভারতে অনুষ্ঠেয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে হতে যাচ্ছে জমকালো উদ্বোধন। সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে সেই খবরও বাতাসে মিলিয়ে গেল! দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এবারের আসরে থাকছে না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যদিও সর্বশেষ ২০১১ সালে এই উপমহাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। যার জমকালো উদ্বোধন হয়েছিল ঢাকায়। এবার অবশ্য তেমন কিছু হচ্ছে না। তবে বুধবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হয়েছে ‘ক্যাপ্টেন্স ডে’ নামের পোশাকি ইভেন্ট। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের অধিনায়ক প্রেস কনফারেন্স ও ছবি তোলার আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। এদিকে, জশ বাটলারের ইংল্যান্ড ১০ দলের এই টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখার অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারকা অল-রাউন্ডার বেন স্টোকসের ফেরা ইংলিশদের বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। এ কারণেই এক লাখ ৩০ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশে^র সবচেয়ে বড় নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের প্রমাণে মুখিয়ে থাকবে।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারের বিশ্বাস, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া টানা তিনবার বিশ^কাপ শিরোপা জয়ের যে রেকর্ড গড়েছিল, এরপর একমাত্র ইংল্যান্ডই পরপর দুই আসরে শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার। সহজেই তারা এবারও ফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হবে। এ সম্পর্কে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টসে গাভাস্কার বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, তা অনেক দলেরই নেই। তাদের দলে দুই থেকে তিনজন বিশ্বমানের অল রাউন্ডার আছে, যারা ব্যাট ও বলহাতে যে কোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং লাইন আপে রয়েছে- রেসি টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড ও ক্রিস ওকস। তাদের সঙ্গে আরও রয়েছেন স্টোকস, যিনি সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণার পর আবারও ফিরে এসেছেন। তবে এবারের বিশ্বকাপে তিনি দলে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ২০১৯ সালে ইয়ন মরগানের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের আটজন এবারের দলে আছেন। মরগানের অবসরের পর বাটলারের জন্য অধিনায়কের আসনে আসীন হওয়াটা সহজ ছিল। গত বছর তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।
জশ বাটলার বলেন, বিশ্বকাপ শিরোপা অবশ্যই ধরে রাখতে চাই। যদিও আমরা নিজেদের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছি না। এটা একটি নতুন টুর্নামেন্ট এবং আমরা সবাই জানি, এই আসরটা অত্যন্ত কঠিন হতে যাচ্ছে। কারণ এখানে বেশ কিছু শীর্ষ দল আছে। কিন্তু আমাদের দলও ভালো, ইংল্যান্ড একটি বিপজ্জনক দল। এই দলে বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে, যাদের ওপর অনায়াসেই নির্ভর করা যায়।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ সালে লর্ডসের ফাইনাল ম্যাচটি টাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ম্যাচের ফলাফল নিষ্পত্তি না হওয়ায় বাউন্ডারি-কাউন্ট আইনে সেরা দল হিসেবে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। চার বছর আগে বিশ^চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে দারুণ এক বেঞ্চমার্ক সেট করে চলেছে ইংল্যান্ড। গত বছর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তারা ৪৯৮ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল।
সব সময়ের মতই এবারও আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। হাঁটুর ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে দলে থাকছেন না অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া সত্ত্বেও উইলিয়ামসন বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। কঠোর পরিশ্রম করে ফিট হয়ে দলে ফিরে আসার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ম্যাচজয়ী ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কিউই অধিনায়ক। ২০১৯ বিশ^কাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন উইলিয়ামসন। প্রস্তুতি ম্যাচের পর উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘পাকিস্তান অত্যন্ত ভালো একটি দল। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সবসময়ই আনন্দের। আমিও নিজেকে পরখ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবকিছুই ভালোভাবে এগুচ্ছে। এখন মূল আসরে নিজেদের প্রমাণের অপেক্ষায় আছি।’
উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে আজ নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিবেন টম লাথাম। এদিকে বুড়ো আঙুলের ইনজুরির কারণে বিশ^কাপের কয়েকটি ম্যাচ মিস করতে যাচ্ছেন ফাস্ট বোলার টিম সাউদি। দুই সপ্তাহ আগে তার আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন লাথাম।
এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১২টি বিশ্বকাপের আটটিতেই সেমিফাইনালে খেলা নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। ট্রেন্ট বোল্ট-সাউদির নেতৃত্বে বিশ্বমানের পেস আক্রমণের পাশাপাশি ভারতীয় টার্নিং পিচে মিচেল সান্টনার ও ইশ সোধির স্পিন ভালো সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। লাথামের নেতৃত্বে শেষ প্রস্তুত ম্যাচে নিউজিল্যান্ড সাত রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সেরে নিয়েছে। লাথাম বলেন, ‘বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে এখানে খেলতে হবে। প্রতি ম্যাচেই লক্ষ্য থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার। তবে আমরা ভারতে আগামী কয়েকটি দিন দারুণভাবে উপভোগ করতে চাই। আর ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’ সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট :
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে শোকজ করেছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বে থাকা মানিকগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ রেজমিন সুলতানা তাকে শোকজ করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, আপনি সংসদীয় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সমাবেশের মাধ্যমে নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পূর্বে হওয়ায় তা নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আপনি ওই কার্যক্রমের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন বরাবর অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রেরণ করা হবে না, তা ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা আপনার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।