অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষকদের দাবির মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটি ১৬ দিন বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। সংশোধিত এ ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত কয়েক দিন আগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর ৬০ দিন ছুটি রেখে প্রাথমিকের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির বৈষম্য থাকায় তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংশোধিত ছুটির তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
সংশোধিত তালিকায় দেখা যায়, পবিত্র রমজানসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, জুমাতুল বিদা, হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, বৈষবি, চৈত্র সংক্রান্তি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ দিন বন্ধ থাকবে। আগে যা ছিল ২১ দিন।
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৩ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিন, আগে যা ছিল ৭ দিন।
দুর্গাপূজা, ফাতেহা ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৯ থেকে ১৭ অক্টোবর ৭ দিন, আগে যা ছিল ৫ দিন।
শীতকালীন অবকাশ ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) উপলক্ষে ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ১১ দিন, আগে যা ছিল ১০ দিন।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া মোট ৭৬ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চাঁদ দেখার ওপর ধর্মীয় উৎসবের ছুটি নির্ভর করবে। জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় বিদ্যালয় পর্যায়ে পালন করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত ছুটি থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদনক্রমে ভোগ করতে হবে।
বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সূচি অনুযায়ী, এক সিফটের বিদ্যালয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা; দুই শিফটের বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা (প্রথম শিফট সকাল ৯টা থেকে সোয়া ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফট ১২টা থেকে সোয়া ৪টা)।
মূল্যায়নের সময়সূচি- প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন ৫ থেকে ১৪ মে; দ্বিতীয় প্রান্তিকের মূল্যায়ন ১৮ থেকে ২৮ আগস্ট এবং তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে আখাউড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রামে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কৃষকরা বছরের পর বছর বাদম চাষ করে আসছেন। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের প্রতি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির কর্মমঠ, হারকোট, মিনারকোট, ধর্মসগর, ঘাঘুটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু হওয়ায় জমিতে সবজি চাষ করা হতো। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন চাষিরা বাদাম চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদাম আবাদ করতে প্রতি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ বাদাম। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ সরকার বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করি। হালচাষ, বীজ রোপণসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি বিঘা প্রায় ৭ হাজার টাকা। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কুমিল্লা, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা এসে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হবে।
কৃষক মো. মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আবাদ করছি। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর থেকে এবার তুলনামূলক ফলন ভালো হয়েছে। গ্রামের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদাম তোলার পর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে চাষাবাদ করা হবে। বাদাম বপন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত তিন মাস সময় লাগে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সময় অনেক কম লাগছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মো. হামদু মিয়া বলেন, এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছে। বাদাম মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, জায়গা উঁচু হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয় না। আমাদের গ্রামটি বাদামের গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে একটি ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুর রহমানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকটি ফার্মেসির মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি কার্যালয়ে আপনারা তালা মেরে রেখেছেন, ঢুকতে দিচ্ছেন না, ঘিরে রেখেছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনো সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিবহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
গতকাল সোমবার খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অবরোধে বেশিরভাগ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে– এ বিষয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে এ চার বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
গতকাল ১২ আগস্ট সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের এই চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি।
এদিন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলম ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক
মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক
এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব হারিয়ে এখন শোক সাগরে নিমজ্জিত। তারা এখন সরকার বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর বাংলাদেশে তারা বিষয়টিকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। তারা মনে করছে আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর শিশিরবিন্দু, সহজেই পড়ে যাবে। সেটা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। বিএনপির রাজনীতির ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। তারা যত সরকারের পতনের কথা বলবে, সরকারের তত উত্থান হবে। বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতো, তাহলে হঠাৎ করে তাদের এমন পতন হতো না। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে নিজেরাই খাদে পড়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধীদল। স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই আছেন। দল যদি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টি। উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।