অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পর শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চার উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
সারাদেশে এক যোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০ টার সারাদেশের নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। আর বাইরে অবস্থান নেন অভিভাবকরা। এ সময় দায়িত্ব শিক্ষকরা তাদের সহযোগিতা করেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকালে রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তবে বিকালে জানা যাবে কতজন পরীক্ষার্থী এতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের কেন্দ্রগুলোতে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
গত কয়েকবছর করোনার কারণে পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত করণ করা হলেও এবার সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে আগের মতোই। করোনা স্বাস্থ্যবিধিও এই পরীক্ষা নেই। তাই শিক্ষার্থীরা দলে দলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যোগ দেন।
জানা যায়, এবার মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এদিকে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।
গতবার এসএসসি ও সমমানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২১ হাজার। এ বছর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। আর এবার মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য এই পাবলিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে।
এবার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে শিক্ষা ও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে আরও তিনটি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ধরণের মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে।
দেশে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি অব্যাহত থাকবে।
এসব বিভাগ-জেলাসহ অন্য জায়গায়ও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। এমন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করা হলো।
আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পাঠদান কার্যক্রম। এ ছাড়া আগে মন্ত্রণালয় থেকে ১৬ জানুয়ারি জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে জানানো হয়, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি) একই সিদ্ধান্ত নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বর চন্দ্রপুর গ্রামে দিঘির পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ মে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- ওই গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে নূরানী মাদ্রাসার ছাত্র সিহাব (৭) ও একই এলাকার হবির ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হুসাইন (৮)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশে দিঘির পানিতে গোসল করতে যায় হুসাইন ও সিহাব। এ সময় তারা দু’জনই পানিতে লাফ দেয়। কিন্তু দিঘিটিতে পানি কম থাকায় কাদায় দেবে যায় শিশু দুটি। শিশু দু’টিকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
এস আলম গ্রুপকে অর্থপাচারে সহায়তা করার অভিযোগ থাকা সুজন কান্তি দে (৪৪) নামের এক ব্যক্তি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুজন কান্তি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মালঘর গ্রামের সঞ্জিত কান্তি দে’র ছেলে। তিনি ২৩ বছর যাবৎ এস আলম গ্রুপে চাকরি করছেন। তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে আনোয়ারা থানা পুলিশ রিকুইজিশন দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুজন কান্তি নামে ওই ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে তারা বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা রয়েছে। তাকে নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করাসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ ৩১মে বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনা আছে। কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা মোট ১ হাজার ১৫৮। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি ও মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি।
তিনি বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপন বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্য এ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ সরকারি কর, ৪ শতাংশ আয়কর ও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।