বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 2 January 2024, 493 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এ নৌকাই পারবে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে, শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে। এই নৌকায় আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দেবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই আজকের নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনার ভোট আপনি রক্ষা করবেন আর অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেবল নিজে নয়, পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ফরিদপুর, মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলার নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আপনাদের দিয়ে গেলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, আসনবাসীর সেবা করবে। আপনারা তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন। এসময় টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না, টাকা দিয়ে মানুষকে কেনা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘তরুণ সমাজ বা তারুণ্যই হচ্ছে উন্নয়নের অগ্রদূত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ভোট প্রত্যাশা করেন এবং অন্যান্য নির্বাচনী জনসভার মতো প্রথমবারের মতো ভোটারদের নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী সাকিব আল হাসান, রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থী ঝিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

মদ ও গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩

জাতীয়, 6 September 2023, 597 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ ও ১০ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর নাটালের মোড় ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় অভিযানটি চালায়।

জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিরস্ত্র) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ভোর সোয়া ৫টার দিকে অভিযান চালায়। এ সময় ৪৮ বোতল বিদেশি মদ ও ১০ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের রোছমত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২০), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বদুলিয়া গ্রামের মৃত অলি মিয়ার ছেলে জহির মিয়া (২৮) ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পূর্ব সাহেবনগর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৮)।

এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কুল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছে ১০ বেকার যুবক

জাতীয়, 5 January 2024, 490 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজিখোলা এলাকায় কুল চাষে স্বাবলম্বী ওরা ১০ বেকার যুবক। ১ হাজার ৫ শত কুলগাছ রোপণ করে মৌসুমে আয় করছেন প্রায় লাখ লাখ টাকা।

এক সময়ের বেকার ১০ যুবকদের এমন সাফল্য সাড়া ফেলেছে এলাকায়। তাদের এ সাফল্য দেখে অন্যরাও ঝুঁকছেন কুল চাষে।

বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে ইউটিউব দেখে কৃষি ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কিনা ভাবতে থাকেন সাজোয়ার, কামাল,নেজাম উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর,শাহ আলম,সাদেক ও ওমর ফারুকসহ বেকার ১০ যুবক।

তৎকালীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেন এবং তার পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন কুল চাষে। নিজেদের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ২০২০ সালে ৫ একর জমি ইজারা নিয়ে কাশ্মীরি কুল,ভারতী সুন্দরী কুল ও বল সুন্দরী কুল চারা নিয়ে শুরু করেন কুল চাষ। ২০২০ সালের শুরুতে রামু ঈদগড় এলাকার এক বাগান থেকে সংগ্রহ করেন ৩ প্রজাতির কুল গাছ।

গত ২ বছর তেমন লাভবান না হলেও গত বছরের চেয়ে এবছর ফল ধরেছে সব গাছে। গাছে গাছে দুলছে থোকায় থোকায় কুল। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশ। প্রথমে ১২০ টাকা কেজি করে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। এখন বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার কুল বিক্রি হচ্ছে।

সাজোয়ার, কামাল জানান বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩ মাস( কুল) বড়ই বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন সরকারী ভাবে যদি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা থেকে সহযোগিতা বা পরামর্শ পাওয়া যেত তাহলে বছরের ৫০ লাখ টাকার উপরে কুল বিক্রি করা সম্ভব হত। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের কোন সহযোগিতা পরামর্শ তারা পাচ্ছেন না বলে জানালেন।

নেজাম উদ্দিন বলেন,৫ একর জমি বার্ষিক ১ লাখ টাকা ইজারা নিয়ে এই কুলবাগান গড়ে তুলেছি। এখানে ৩ ধরনের কাশ্মীরি কুল, বনসুন্দরী কুল ও ভারতী সুন্দরী কুল আছে। ফলন দেখে তিনি অনেক খুশি।

তিনি আরও জানান, প্রথমে মাছ চাষ করতে গিয়ে লোকসান হলেও এখন কুল চাষ করে তা পুষিয়ে নেওয়া গেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই কুল কিনে নিয়ে যান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পর্যটকেরা প্রতিদিন বাগান থেকে কুল নিয়ে যায়। এই বাগানের বাউকুল খুবই মিষ্টি। তাই চাহিদাও বেশি। জেলার চাহিদা পূরণ করে এই বাগানের কাশ্মীরি কুল সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। লাভবান হওয়ায় গ্রামের অনেকে বিষাক্ত তামাক চাষ ছেড়ে বাউ কুল চাষে এগিয়ে আসছেন।

এসব দেখে এলাকার কয়েকজন বেকার যুবকদের নিয়ে শুরু করেছেন নতুন করে কুল চাষ। তাদের বাগানে আগামী বছর থেকে কুল উৎপাদন শুরু হবে বলে জানালেন।

বর্তমানে নেজামসহ ৩ শ্রমিক নিয়ে পুরো বাগানের পরিচর্যা করেন। কুল চাষীরা জানান, আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবছর বাগানে পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে বেশী আয়করা সম্বভ। পাশাপাশি উক্ত জায়গার কুল গুলু রসালু ও সুস্বাধু। তাই এফলের চাহিদা ও বেশী।

এবিষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, বিষয়টি তাদের নয়। তাই কুল চাষীদের কে আমাদের পক্ষ থেকে কি করে সহযোগীতা করব। তার পরেও সরজমিনে পরিদর্শন করে কৃষককদের সাথে পরামর্শ করে আরো যাতে ভালো করা যায় সেটির বিষয়ে খেয়াল করবো।

কুল চাষীদের দাবী সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা না পেলে ও কৃষি অফিসারদের সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে আমরা আরো এগিয়ে যেতাম।

কুমিল্লায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ৬ জেলার ৫০ করদাতাকে রাজস্ব বোর্ডের সম্মাননা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 29 December 2022, 2108 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
২০২১-২২ করবর্ষে সর্বোচ্চ, দীর্ঘমেয়াদি, নারী ও তরুণ ক্যাটাগরিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৯ জন করদাতা এবং একজন ট্যাক্স কার্ডধারীসহ মোট ৫০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) কুমিল্লা করভবন প্রাঙ্গণে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার কমিশনার খালেদ মোহাম্মাদ আবু হোসেন। কর অঞ্চল কুমিল্লার কমিশনার খন্দকার খুরশীদ কামালের সভাপতিত্বে এ সময় কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফানুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা কর অঞ্চল অফিস সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, এ কে সামাদ সাগর, ডা. দিলীপ কুমার রায়। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান শাহ মো. আলমগীর খান, ডা. মো. বদরুল আলম। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে সম্মাননা পান নাছিমা আক্তার চৌধুরী এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. আবুল কাশেম পাটোয়ারী। এছাড়া কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. খোরশেদ আলম, মো. সরফরাজ হাসান। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান হাজি মো. জানু মিয়া, মো. আবদুস ছাত্তার। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে জেসমিন আক্তার এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন সাইফুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মো. খায়রুল হাসান, এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম। দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী হিসেবে সম্মাননা পান অসিত কুমার বণিক, আবু জাহের মৃধা। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে ঝুমা সাহা এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন আওলাদ আলী।

ফেনী থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন শুসেন চন্দ্র শীল, বেলায়েত হোসেন, মো. ফারুক হারুন। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে দিল আফরোজ বেগম ও বিলাস চন্দ্র সাহা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা মোসা. আলেয়া আক্তার ঝুমুর এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন মো. হেলাল উদ্দিন। নোয়াখালী থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. আবু তাহের, আমিরুল হায়দার চৌধুরী ও মো. হুমায়ুন কবির। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে আরাধনা সাহা এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেছেন মো. ফিরোজুজ্জামান।
লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. রিয়াসাত হোসেন, সঞ্জীব মজুমদার, খোরশেদ আলম। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে মিলন কান্তি পাল, ফজলুল কাদের দুলাল, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে সুলতানা রাবেয়া খানম এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেন মো. রাসেল রায়হান। চাঁদপুরে থেকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন মো. সেলিম খান, মো. লতিফ তরফদার, ফারুক আহমদ আখন্দ। দীর্ঘসময় কর প্রদানকারী হিসেবে প্রদীপ কুমার সাহা, জীবন কৃষ্ণ সাহা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হিসেবে পিংকী আক্তার এবং ৪০ বছরের নিচে তরুণ করদাতার সম্মাননা লাভ করেন শান্ত খান।

দেশ গড়ার সুযোগ সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়, 8 September 2024, 115 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশ গড়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে হবে।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।

ড. ইউনূস বলেন, একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি? কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কী নৃশংসতা ছিল।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শাপলা হলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মতবিনিময় সভা চলে।

ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লেখার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করলেন মমতা

জাতীয়, 5 August 2024, 140 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নেতারা এমন অনেক কিছু সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন, যা লেখা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ ৫ আগস্ট সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক মিনিটের আলাপে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনায় সবাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু সেটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু বলবেন না বা লিখবেন না, যা বাংলাদেশ বা ভারতের জন্য সমস্যা হতে পারে। কারণ, বিজেপির লোকেরা এমন কিছু কথা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, যা করা উচিত নয় বলে মনে করি।’

একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের নেতা-কর্মীদেরও বাংলাদেশ নিয়ে কিছু লেখার বিষয়ে সাবধান করে দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাদেরও বলব, কেউ কিছু লিখতে যাবেন না। আপনাদেরও (সাংবাদিকদের) বলব। সমাজের প্রত্যেক মানুষকে বলব। প্রতিবেশীর কিছু হলে পাশের রাজ্যে তার প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে শান্ত থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে এবং তাঁদেরও এমন কিছু লেখা উচিত নয়, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য সমস্যার হয়ে উঠতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা দেশের ওপর ছেড়ে দিন। দেশে সরকার আছে। কোনো রকম প্ররোচনামূলক বা হিংসাত্মক মন্তব্য করবেন না।

সাধারণ মানুষের কাছে মমতার আবেদন, তাঁরা যেন কোনো অবস্থাতেই সাম্প্রদায়িক কোনো আচরণ না করেন এবং আইন নিজের হাতে না নেন।

তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেকে ওখানে রয়েছেন। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই তাঁদের দেখে রাখবে। আমাদের (রাজ্য সরকারকে) ভারত সরকার যা বলবে, আমরা সেইভাবে কাজ করব।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে সপ্তাহ দু-এক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলাদেশে বড় কোনো সমস্যা হলে এবং সেখানকার মানুষ পশ্চিমবঙ্গে এলে তাঁদের এখানে অবশ্যই আশ্রয় দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের উল্লেখ তিনি করেছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আপত্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক আচরণ কী হবে, এ প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলার অধিকার একমাত্র ভারত সরকারের রয়েছে, রাজ্যের নেই।

রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন ৫ আগস্ট সোমবার বলেন, ‘সোমবারের ঘটনা দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। তিনি হয়তো আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, সোমবার যে ঘটনা বাংলাদেশে ঘটল, তা ঘটতে চলেছে। অনেক সময় মুখ্যমন্ত্রী সব কথা চেপে রাখতে পারেন না এবং প্রকাশ্যে বলে ফেলেন। সেটাই হয়তো তিনি জুলাইয়ের সভায় বলে ফেলেছিলেন।’

রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সূত্র এই দিন জানায়, বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথমে আগরতলা নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তিনি দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে আগরতলায় সরকারি স্তরে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পশ্চিমবঙ্গও সরকারি স্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।

ভবিষ্যতে দিল্লিতে শেখ হাসিনার স্থান হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ভারতের এক সাবেক রাজ্যপাল বলেন, তিনি মনে করেন, ভারতে হাসিনার স্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর আশা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সব দিক বিবেচনা করেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।