অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বার্ষিকীতে তার কবরের কাছে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৭৩ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম। খবর বিবিসি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম ইরিব বলেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরে সাহেব আল-জামান মসজিদের কাছে একটি মিছিলে ঘটানো বিস্ফোরণ আরও ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
কেরমানের ডেপুটি গভর্নরকে উদ্ধৃত করে এটি বলছে, এ হামলা একটি সন্ত্রাসী হামলা। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কে বেশ কয়েকটি মরদেহ পড়ে আছে।
জেনারেল সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার তার কবর অভিমুখে যাচ্ছিলেন শত শত লোক। ২০২০ সালে প্রতিবেশী ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন সোলাইনমানি।
ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর সোলাইমানিকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।
রেভল্যুশনারি গার্ডের বিদেশি অপারেশন শাখা কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তিনি সমগ্র অঞ্চলজুড়ে ইরানি নীতির একজন কারিগর ছিলেন। তিনি কুদস ফোর্সের গোপন মিশনের দায়িত্বে ছিলেন এবং হামাস এবং হিজবুল্লাহসহ মিত্র সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্দেশনা, অর্থায়ন, অস্ত্র, বুদ্ধিমত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার পর বুধবার রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশটি পাঁচটি পদক্ষেপ নেয়। ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়ে বুধবার মধ্যরাতে নয়াদিল্লিতে তলব করা হয় পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিককে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার মধ্যরাতে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় ভারতে থাকা পাকিস্তানি কূটনীতিক সাদ আহমেদ ওয়ারাইচকে। বুধবারই ভারত জানিয়েছিল, নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসে থাকা সে দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌ উপদেষ্টা, বিমান উপদেষ্টাকে ‘অবাঞ্ছিত’ (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির জানায়, এ সামরিক উপদেষ্টাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। এএনআই সূত্রে খবর, ওই পাক কূটনীতিককে তলব করে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার সরকারি নির্দেশনামা আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়। ভারতে তাদের উপস্থিতি যে কাম্য নয়, তা বুঝিয়ে দেওয়া।
বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক চলেছে। বৈঠকের পর রাত ৯টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিসিএসের কর্তারা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। যতোদিন দিন না পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করছে, তত দিন সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি।
বন্ধ করে দেওয়া হয় আট্টারি-ওয়াঘা সীমান্ত। উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে যাঁরা এই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের ১ মে-র মধ্যে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। ভারত জানায়, ‘সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্প’ (এসভিইএস)-এর অধীনে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে আর ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অতীতে এই ভিসায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানিদের যত অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হচ্ছে। এ-ও জানানো হয়, এই ভিসা প্রকল্পের অধীনে যে সমস্ত পাকিস্তানি এখন ভারতে আছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দেশ ছাড়তে হবে।
পাকিস্তানের সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করার পাশাপাশি সে দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সদস্য সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হচ্ছে বলে জানায় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ মস্কোর জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। শোনা যাচ্ছে, স্বামী বাশারের বিরুদ্ধে তালাকের মামলা দায়ের করেছেন আসমা। একইসাথে তিনি মস্কো ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে চান। আরব ও তুর্কি মিডিয়ার বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিক আসাদ-পত্নী আসমা, যিনি সিরিয়ান মা-বাবার সন্তান হিসেবে লন্ডনে বেড়ে ওঠেন। পরে আসমা ২০০০ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ওই বছরই বাশার আল-আসাদকে বিয়ে করেন। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর।
সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর বাশার আল-আসাদ মস্কোতে আশ্রয় লাভ করেন। সেখানে বসবাস করলেও তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তাকে মস্কো ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়নি বা রাজনৈতিক কোনো তৎপরতা চালানোর অনুমোদনও নেই।
এদিকে, বাশার আল-আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদকেও রাশিয়ায় আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়নি। তার অনুরোধ এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানায় সৌদি ও তুর্কি মিডিয়া। মাহের ও তার পরিবার রাশিয়ায় গৃহবন্দী রয়েছেন। যদিও এ নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল বর্বরতার সব জঘন্য রেকর্ড ভেঙেছে। প্রায় ৯ মাস ধরে অনবরত ফিলিস্তিনের গাজায় তারা বোমা ফেলছে। এরই মধ্যে নারী, শিশুসহ ৩৭ হাজার ৬০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে তারা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ক্ষুধা-অনাহারে ধুঁকছে অধিকাংশ বসতি।
এবার নৃশংসতার আরেক অধ্যায় দেখিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি এক নারীর ওপর লেলিয়ে দিয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর। এই হিংস্র জানোয়ারের হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ওই নারী। এমন একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজ অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত। খবর আল-জাজিরার।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ার এই বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা আসেন এবং তাঁর ওপর কুকুর লেলিয়ে দেন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি সেনারা। তারাও হামলায় চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেঁতলে দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষে গাজায় আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসাইন বলেন, গাজার অধিবাসীদের রক্ষায় বিশ্বকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে ২৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি ২০১১ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের উদাহরণ টেনে বলেন, সে সময় দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার অর্ধেকই মারা যায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার দেওয়ার আগেই। মঙ্গলবার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় যে শুধু খাবারের সংকট, তা নয়। এখানে পরিষ্কার পানি, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধেরও চরম সংকট রয়েছে।
তবে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেছে। সেখানে বাইরে থেকে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে পারছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সরবরাহও প্রবেশ করতে পারছে। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে কোনো প্রকার সহায়তা বা ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। এমনকি মিসর থেকে প্রবেশের প্রধান পথ রাফা ক্রসিংও বন্ধ আছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কানাডার স্থানীয় সময় ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুই দফা ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার যে সময়সীমা ছিল তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার ধার্য করেন। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপের আদেশ জারি করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে।
ইতোমধ্যে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছিল। এতেই নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত রবিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সোমবার ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই আলোকে গতকাল সোমবার সকাল ও মধ্যাহ্নের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে দুইদফা ফোন করে শুল্কারোপ স্থগিত করেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এক সফল ফোনালাপের অর্থ হল, আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি, যা সীমান্তের উভয় পাশে শ্রমিক এবং ব্যবসায়িকদের বড় অর্থনৈতিক যন্ত্রণা মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি করেছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি এখনও কানাডার সাথে কাজ করেননি, কানাডার সাথে এক ধরণের ‘চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চুক্তির’ পথ খুঁজছেন।
ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা ১.৩ বিলিয়ন-এর সীমান্ত সুরক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন হেলিকপ্টার, প্রযুক্তি, কর্মীদের সাথে শক্তিশালী করা এবং ক্র্যাক ডাউন করার জন্য আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে তার সমন্বয় বাড়ানো। কিন্ত ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ছিল অবৈধ মাদক এবং অভিবাসীরোধে পাশ্ববর্তী দেশের সাহায্য চাওয়া।
ট্রুডো বলেন, সীমান্তকে নিরাপদ করার জন্য ১০,০০০ ফ্রন্ট-লাইন কর্মী কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একাধিক নতুন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি নতুন ‘ফেন্টানাইল জার’ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এবং তিনি মেক্সিকান কার্টেলকে তালিকাভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের শীর্ষ বিক্রেতাদের একজন, যিনি কানাডার আইনের অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত ।
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডা-মার্কিন যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স’ চালু করছে, যাকে সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন অর্থায়ন শুরু করেছেন।
মধ্যাহ্নের পর ট্রাম্পের ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করার জন্য প্রস্তাবিত শুল্ক কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য বিরতি দেওয়া হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে, তিনি ‘খুব খুশি’ কানাডার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প এটিকে শুধুমাত্র একটি ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, প্রথম ফোনালাপের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে টুইট করে লিখেন, আমেরিকার ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডায় ব্যাপক হারে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন কথা বলেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন একটি দাবানল। এতে এরই মধ্যে প্রায় ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাস্টেইক লেক এলাকায় এই দাবানলের কারণে হাজারও বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ জরুরি আদেশ জারি করেছে।
দমকলকর্মীরা জানান, কাস্টেইক লেক এলাকায় শুরু হওয়া ‘বিশাল আগুন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছে। ওই এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ বসবাস করেন। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন সেখানে গাছপালা ও ঝোপঝাড় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের রবার্ট জেনসেন স্থানীয়দের দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর আগে পলিসেডস ও ইটন দাবানলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয় এই এলাকায় আমরা দেখতে চাই না। আপনাকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, দয়া করে এখনই চলে যান।
সান্তা আনা নামক শুকনো ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমির পাশাপাশি পানিবাহী উড়োজাহাজ থেকেও কাজ করছেন।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সময়ের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরিস্থিতি, অর্থাৎ শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে দাবানলের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলের ইটন ও পালিসেডস দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইটন দাবানল ৯১ শতাংশ এবং পালিসেডস দাবানল প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি।
পরিস্থিতি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস সফর করবেন বলে জানা গেছে।
বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা আকুওয়েদার জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা