চলারপথে ডেস্ক :
মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
আজ ২৫ জানুয়ারি বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য এ. কে. এম. রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত এ প্রশ্নোত্তরে পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতা যে কোনো যুদ্ধকে ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখের বেশি মানুষের আত্মত্যাগ ও লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। যুদ্ধের সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংসতা বিশ্বের অন্য যে কোনো যুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি নৃশংসতাসহ ইতিহাসের সকল কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এত বেশিসংখ্যক মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের চিত্র ইতিহাসে আর একটিও পাওয়া যাবে না। এই ইতিহাসকে স্মরণ রেখে বিশ্বের যে কোন প্রান্তি সংগঠিত গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোরাল প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে নানান পদক্ষেপ চালিয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে চালানো হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত বছরের ১৪ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টিভস) একটি প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন ওহিও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান রো খান্না। পরবর্তীতে কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাটি পোর্টার এবং নিউজার্সির ট ম্যালিনোস্কি।
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ঐকান্তিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সফলতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই নয় বরং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ বিশেষত মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের ও বীরঙ্গনা মা-বোনদের সম্মানিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের মাছ বাজারে কেনাবেচা নিষিদ্ধ রাক্ষুসে মাছ ‘পিরানহা’ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১৫ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানা এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সোমবার সকালে উপজেলা সদরের মাছ বাজারে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে মাছ ‘পিরানহা’ বিক্রির সংবাদ শুনে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালায়। এসময় দোকানে রাখা ১৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রির দায়ে স্বপন চন্দ্র মন্ডল (৫৪) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেখানে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানা জরিমানা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
এ সময় তিনি দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। কারণ তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদেন ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশটি সবার, কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে; কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম. আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত দীপ্ত আলাউদ্দীন সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এএইচএম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচন অংশ নেন।
বিএনপির পাশাপাশি ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, এ নিয়ম তো নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে, তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসাবে আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে। কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেনদরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এখন দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ, বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে, অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। এটা তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিঃপ্রকাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নেত্রকোনা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ স্লোগানে দিবসটি পালিত হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা মূলক মহড়া প্রদর্শন করে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
সচেতনতা মহড়া প্রদর্শন পূর্বক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন খন্দকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আশিক নূর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ শিবলী সাদিক, ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান (ডিএডি), জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, রেড ক্রিসেন্টের সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু।
ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপক মহড়ার নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা ফায়ার স্টেশনের লিডার খানে আলম খান। মহড়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউটরা অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয়(১৪) এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী- জয়দেবপুর রেললাইনের উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী অপর একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। পড়নে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী ছিল। পোশাক দেখে ধারনা করা সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী লোকাল ট্রেন ৯৯ বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনের প্লাটর্ফমে এসে দাড়ায়। এ সময় ওই লোকাল ট্রেন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই কিশোর নামতেছিল। এ সময় ঢাকাগামী বনলতা এ·প্রেস নামের অপর একটি ট্রেন দ্রুতগতিতে ওই রেলষ্টেশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শাহীদ তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ছেলেটি স্টেশনে দাড়ানো লোকাল ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী চলন্ত বনলতা এ·প্রেসের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পোশাক দেখে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র হতে পারে।