চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯- এর সদস্যরা। আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শেখ অবুজ (২৫) একই এলাকার শেখ সবুজ (২৮), হৃদয় মিয়া (২৩), আওয়াল মিয়া (৪০), শহরের কান্দিপাড়ার শিপন মিয়া (২৮) ও পিয়াস (৩০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৯- এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার দুপুর ১ টার দিকে সুলতানপুর চৌধুরী মার্কেটের সামনে থেকে ২০ বস্তা চিনি পিকআপ ভ্যানে ভরে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ভিআইপি বেকারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন পিকআপ চালক দোলোয়ার হোসেন (২২)। পথিমধ্যে সুলতানপুর বড় মসজিদের রাস্তার উপর ৬ ব্যক্তি ৩টি মোটর সাইকেলযোগে এসে পিকআপভ্যান গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে দোলোয়ার হোসেনের কাছে পরিচয় দেয়।
পরে কৌশলে পিকআপসহ দোলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা দোলোয়ারকে মারধোর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৯ হাজার ২২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় চালকের ভগ্নিপতি বোরহান উদ্দিন (৫৫) বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের জের ধরে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮-১০ জন আহত হয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
আহবায়ক কমিটির অপর ৩জন সদস্য হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড (কান্দিপাড়া আখড়ার মোড়) এলাকায় আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন।
একই সময়ে শহরের শিমরাইল কান্দি বিএডিসি (শেখ হাসিনা সড়ক) মোড় থেকে সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে নব-ঘোষিত কমিটির পক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে আসার পথে পাওয়ার হাউজ রোডের আখড়ার মোড়ে পৌছলে হঠাৎ করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাটিসোটা ও বাঁশ নিয়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট চলে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল বিনিময়। এ সময় হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের অনুসারীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা (এই কমিটি ঘোষণার মূলহোতা) কবির আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের ৮-১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান সানি লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সানির বড় ভাই এক সময়ের আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ ভূঁইয়া (বর্তমানে বিএনপি নেতা) এই বিতর্কিত কমিটি করেছেন।
এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। নতুন কমিটি দেয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা পাওয়ার হাউজ রোডে কেক কাটার আয়োজন করে। সেখানে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আসেনি। আহবায়ক কমিটির ঘোষণা করায় একটি পক্ষ আনন্দ মিছিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করে। আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত “সৌধ হিরন্ময়” চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে সৌধ হিরন্ময়ে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পুষ্পস্তক অর্পন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতিকে মেধা শুন্য করার নীল নকসা বাস্তবায়নের জন্যে বিজয়ের আগ মুহুর্তে সারা দেশে বুদ্ধিজীবীদেরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ইতিহাসের বর্বর হত্যাকান্ড চালানো হয়। আমি আজকের দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের দায়ে দুটি ক্লিনিককে ৮০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে হালদারপাড়ার দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা ও মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মোঃ আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডেঙ্গু টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগে দি গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মৌলভীপাড়ার আধুনিক শিশু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ন সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের ডা. আরিফুল ইসলাম, ডা. রাফিয়াতুর রাফা এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ভবনের চারতলা থেকে দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলিসহ মো. ইউসুফ (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
১৭ মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের কালাইশ্রীপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউসুফ ওই ভবনের মালিক মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সূত্র্যের তথ্যের ভিত্তিতে শহরের কালাইশ্রীপাড়া এলাকায় মৃত শহীদের বহুতল ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ভবনের চতুর্থ তলায় ইউসুফের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইউসুফকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইউসুফ জানায়, উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রসফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জ্বলের। সে মারা যাওয়ার আগে এগুলো ইউসুফের কাছে রেখে গিয়েছিল বলে দাবি করে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির বলেন, আজকে কোটা থাকার কথা ছিল অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠীর। অথচ আজকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ ভাগ নিয়োগ হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নেয়া হচ্ছে তারা কি অনগ্রসর জাতি? যদি মেধাবীদেরকে দেশে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন ২০১৮ সালে কোটা প্রথা নিয়ে যে পরিপত্র জারি হয়েছিলো, সেটি বহাল করতে হবে। কোটা বিষয়ে দাবি না মানা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহৎ পরিসরে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এশিয়া ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার করে যোগ্য ও মেধাবীদেরকে যোগ্য জায়গায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। উপজাতি কোটা ও প্রতিবন্ধীদের কোটায় কোন সমস্যা নেই। কোটার হার কেন শতভাগের অর্ধেকের বেশি হবে?
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। শতকরা ৫৬ শতাংশ কোটার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথাও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই দ্রুত কোটার সংস্কার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেচ্ছাসেবি সংগঠন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিগ্রেডের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।