চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯- এর সদস্যরা। আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শেখ অবুজ (২৫) একই এলাকার শেখ সবুজ (২৮), হৃদয় মিয়া (২৩), আওয়াল মিয়া (৪০), শহরের কান্দিপাড়ার শিপন মিয়া (২৮) ও পিয়াস (৩০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৯- এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার দুপুর ১ টার দিকে সুলতানপুর চৌধুরী মার্কেটের সামনে থেকে ২০ বস্তা চিনি পিকআপ ভ্যানে ভরে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ভিআইপি বেকারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন পিকআপ চালক দোলোয়ার হোসেন (২২)। পথিমধ্যে সুলতানপুর বড় মসজিদের রাস্তার উপর ৬ ব্যক্তি ৩টি মোটর সাইকেলযোগে এসে পিকআপভ্যান গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে দোলোয়ার হোসেনের কাছে পরিচয় দেয়।
পরে কৌশলে পিকআপসহ দোলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা দোলোয়ারকে মারধোর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৯ হাজার ২২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় চালকের ভগ্নিপতি বোরহান উদ্দিন (৫৫) বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
গত সোমবার রাত ৮টায় দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদকের অফিস কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সরোদ’র সম্পাদক পীযুষ কান্তি আচার্য্য, নির্বাহী সদস্য দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন’র সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক দেওয়ান ফয়জুন নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক একুশে আলো’র বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু’র প্রকাশক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, নির্বাহী সদস্য দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন।
সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সভা ও সকল সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে একটি সাংবাদিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রডশিট ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার জন্য প্রতিটি ৫ (পাঁচ) টাকা ও ট্যাবলয়েড ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার প্রতিটি ৩ (তিন) টাকা মূল্যমান স্থির করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমান ডিগ্রী (পাস কোর্স) করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ ৩ মে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। দুপুরে নার্সিং শিক্ষার্থীরা “এইচএসসির পর ডিপ্লোমা নাই, ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি (সম্মান) সমমান চাই” শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিং ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন।
জেলা ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিগ্রি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অবস্থান নেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বক্তারা জানান, এইচএসসি পাসের পর তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপও শেষ করেছেন তারা। শিক্ষার মান, কঠিন সিলেবাস ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা সত্ত্বেও এই কোর্সকে এখনও এইচএসসি সমমান ধরা হচ্ছে—যা অবিচার।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন, ‘চার বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আমরা যেখানে পৌঁছেছি, সেখানে আবার আমাদেরকে এইচএসসি সমমান বলা হচ্ছে। এটা আমাদের সঙ্গে চরম বৈষম্য।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজা সুলতানা বলেন, ‘যেখানে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই বলা হচ্ছে, সেখানে আমাদের শিক্ষাকে কেন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না?’
আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু বলেন, ‘এই বৈষম্য আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবি করছি।’
এ সময় নাসিং ইনস্টিটিউটের অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা দাবি বাস্তবায়নে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্নভাবে প্রকাশ করা না পর্যন্ত তারা সম্মেলনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছাড়া আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি. এম মোমিনুল হক,অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তারেকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জহিরুল হক খোকন সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার দাবিগুলো পড়েন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বার বার কারাগারে গিয়েছি। দীর্ঘদিন জেল খেটেছি আমরা। বিভিন্ন সময় আমাদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির রাজনীতি বেশিদিন চলতে পারে না। আমাদের দাবি পরিস্কার, স্বচ্ছ ভোটার তালিকার মাধ্যমে গোপন ব্যালটে কাউন্সিল হোক। এখানে কোনো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নেই। জননেতা তারেক রহমানের কাছে দাবি তুলে আসছি, একটা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা আপনার নজরে নিয়ে কাউন্সিল হোক। কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাদের বলেছে আজ বিকেলে তারেক রহমানের সাথে তাদের বৈঠক আছে। আমরা আশা করি তিনি এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান দিবেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেই সম্মেলনে জেলার ১৪টি ইউনিটের মধ্যে ৮টি ইউনিটের ভোটার তালিকা করা হয়েছে। সেখানেও জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। বাকি ৬টি ইউনিটকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার অধিকার তাদের নাই। দলের কাছে তাদের কোনো গ্রহনযোগ্যতা নাই। আমরা একটা জিনিসই চাই, ১ হাজার ৪১৪ ভোটের সংস্কার করে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্মেলন যাতে না করতে পারে আমরা রাজপথে প্রস্তুত থাকব। আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা ন্যায়ের পথে আছি। ন্যায়ের কার্যক্রমে আগামীদিনের সম্মেলনে প্রমাণ করে দিব আমরাই আসল, তারা নকল। আমরা কোনো অন্যায়, দুঃশাসন, স্বৈরাচার চাই না। আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত পাঠক নন্দিত দৈনিক সংবাদপত্র সমতট বার্তা’র ৩৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক সমতট বার্তার আয়োজনে ৭ পর্বের সমতট উৎসবের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুধী সমাবেশ, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
দৈনিক সমতট বার্তার উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও কবি জয়্দুল হোসেন। প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ছোটবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতাম তখন কুসুমকুমার চক্রবর্তী নামে একজন বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি আমাকে কালো মেঘ ঔষধ খাওয়াতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে দিনে দিনে গ্রামে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতো না। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ পার্কে আমার ফুফুর বাসায় রাত্রিযাপন করতে হতো। তখন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আমি শুনতে পেতাম ঘরে ঘরে সুরের মূর্ছনা, ঝংকার। প্রায় সবার বাড়ি থেকে হারমোনিয়াম এর আওয়াজ ভেসে আসতো ওই সময়টাতে। এটি ছিল নিতান্তই তখন সুরের শহর। আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন নামে যেখানে আমরা আজকে দাঁড়িয়ে আছি এই বাড়িটি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ক্রয়কৃত বাড়ি। এ বাড়িটিতে তিনি নিজে এই সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগের যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা দেখেছি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন আর নেই। কিন্তু আমি আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে খুঁজে পেতে চাই। আমি যখন এখানে রাজনীতি করতে এসেছি তখন আমি এই শহরকে ভালোবাসি বলেই এসেছি। কারণ, সমৃদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণীজনদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম ছিল অনেক উপরে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আরও ছিলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্যারিস্টার এ রসুল, নবাব শামসুল হুদা, মলয়া সংগীতের মনমোহন দত্ত, আফতাব উদ্দিন খাঁ, লব পাল এর মত অনেক গুণীজন। এখন আর সেই দিন নেই। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে এসে এখানে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি সহমর্মিতা পেয়েছি। তাঁদের কথাতো আমি ভুলতে পারবো না। এরমধ্যে রয়েছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। আর সেই জন্যেই এখানে আসার ব্যাপারে তার যে আহ্বান সেটাকে আমি উপেক্ষা করতে পারিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর এসব প্রচার যখন উপর মহলে যায় তখন আমরা অবহেলার শিকার হই। করোনাকালীন সময়ে একজন জনপ্রিয় মাওলানার মৃত্যুতে তাঁর জানাজায় অনেক মানুষ হয়েছিল। এটি নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই চট্টগ্রামে শফি নামে একজন আলেম সাহেবের মৃত্যু হয়। তার জানাজায়ও আরো অনেক বেশি মানুষ হয়েছিল। সেটিও ছিল করোনাকালেই। অথচ চট্টগ্রামের এ বিষয়টি নিয়ে কোন বিরূপ প্রচারণা কেউ করেনি। উপরন্ত চট্টগ্রামবাসীরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পর্কে নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একজন মহিলা দু’দুবারে মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কথাটা কেউ বলে না। কিছু লোক সংঘবদ্ধ হয়ে, অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এই আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কিছু স্থানে বর্বর হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করলো, এ ব্যাপারে কেউ কিন্তু আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে এত এত সাংস্কৃতিক সংগঠন, বড় বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন’ তারা কিন্তু এই তান্ডবের বিপক্ষে একটি মানববন্ধন করেননি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র আড়াই ঘণ্টার পথ। এ সত্যেও এখানে কেউ আসেননি। আমি এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। তাও হলোনা। এখানেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে নেতিবাচকতা হয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বাড়ি, এমন সাংবাদিকও ওই ঘটনা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিপক্ষে লিখেছেন। তাদের কেউ একবার এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, মিউনিসিপ্যালিটি সহ অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসরূপ দেখে যাননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি তাদের বিরূপ ধারণা রয়েছে। এখানে রাজনীতিতে এসে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি, এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার এ প্রচেষ্টায় আমার পাশে আছে দৈনিক সমতট বার্তা এবং এর সম্পাদক মনজুরুল আলম। এখানকার অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে দৈনিক সমতট বার্তা কিছুটা ব্যতিক্রম। জেলার শিল্প সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রগতিশীল ভাবনাগুলোকে মর্যাদা দিয়ে তাঁরা পত্রিকাটি চালাচ্ছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ, একদিন অতীতের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমরা অবশ্যই ফিরে পাবো। এ ব্যাপারে আমি আবারো আপনারা সকলের সহযোগিতা চাই।’ অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, মুখ্য আলোচক বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দৈনিক সমতট বার্তা পাঠক ফোরাম এর সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাফিরউদ্দিন চৌধুরী রনি। এর আগে মোরশেদুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের জীবনচরিত ও কর্মকৃতি পাঠ করেন ফারিয়া বিনতে আলম ও ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা। সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নুসরাত জুহুরী প্রান্তি, পাপিয়া চৌধুরী, ডাঃ ইশতি বিনতে আলম হৃদিলা, মায়া চক্রবর্তী। নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক যে আমিন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগীত সংগঠক আনিসুল হক রিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়া দুধের অপকারিতা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা আজ ১০ জুন শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ডাঃ মিলন সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর প্রফেসর মিজানুর রহমান হেলাল। সভায় মাতৃদুগ্ধ, বিকল্প শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অবহিতকরণ সভায় উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মনিরুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মিজানুর রহমান হেলাল বলেন, বাচ্চা জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করবে। যদি কোন কারনে বাচ্চা মায়ের দুধ পান না করতে পারে তাহলে, নির্দিষ্ট ডাক্তার দিয়ে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ওষুধের দোকান থেকে বাচ্চার জন্য বিকল্প খাদ্য কিনে নিতে হবে।
কোন ওষুধের দোকান ছাড়া মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদির আমদানি, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় বা বিতরণের উদ্দেশ্যে কোন বিজ্ঞাপন মুদ্রণ, প্রদর্শন, প্রচার বা প্রকাশ করতে পারবে না।
প্রদর্শন বা প্রচার করলে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করেন। অবহিতকরণ সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ৬০ জন অংশ নেন।