চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মোঃ মঈন উদ্দিন। তিনি ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড: মো: জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ভোট। তৃণমূল বিএনপি মাইনুল হাসান সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪৩১৮ ভোট, জাতীয় পার্টি মো: রেজাউল ইসলাম ভূঞা লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪০৮ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৮ দশমিক ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ দশ হাজার ৭১ জন। আসনটির ১৩২ ভোট কেন্দ্রের ৮৫৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ২০২৩ উপলক্ষে সরাইলে প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভা আজ ৩০অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টায় সরাইল উপজেলা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিনসুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম তিনি বলেন, নির্বাচন শতভাগ অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।ভোটাররা নির্বিঘ্নে তার ভোট প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনের দিকে সারা দেশের নজর রয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম সব সময় সজাগ থাকবে। তিনি বলেন,১৭টি ইউনিয়নের ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।প্রার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে। আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বিতর্কিত করতে চান তাহলে আমরা হার্ড লাইনে থাকবো। এসময় প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন,আপনারা বলেছেন নির্বাচন ১৬ আনা’ না’ তিনি বলেন, ৩২ আনা সঠিক নির্বাচন হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এড: জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টি’র মনোনীত প্রার্থী মো: আব্দুল হামিদ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী রাজ্জাক হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, ইউপি সদস্য মো. সরুজ মিয়া প্রমুখ। জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মিসহ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে মো. আজি মাহমুদ (২৩) নামে এক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেনাসদস্যের কাছ থেকে নগদ টাকা মুঠোফোন, স্বর্ণালংকারসহ লুটে নিয়েছে ৪১ হাজার টাকার মালামাল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের ইসলামাবাদ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযানে নেমে পড়ে সরাইল থানা পুলিশ। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করে ২ সিএনজি চালককে। মহাসড়কে চলাচলকারী ৪০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সাও আটক করে থানায় আসে পুলিশ। এ ঘটনায় সেনা সদস্য নিজে বাদী হয়ে সরাইল থানায় গতকাল ভোরে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ, ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্র জানায়, সেনা সদস্য আজি মাহমুদ গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় থেকে চান্দুরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় ওঠেন। ওই সিএনজিতে আগেই আরো ২ জন যাত্রী বসা ছিল। চালকসহ ওই সিএনজিতে ৪ জন ছিল।
মুহূর্তের মধ্যে যাত্রীবেশে ডান পাশে বসা ডাকাত মাহমুদকে ছুরি ধরে। বাম পাশের ডাকাতও সেনা সদস্যের ওপর হামলা চালায়। ডাকাতদের সঙ্গে সেনা সদস্যের ধস্তাধস্তি চলে। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সেনা সদস্যের বাম হাতের ৪টি আঙ্গুলের অংশ বিশেষ কেটে যায়। এ সময় ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ ৭শ’ টাকা, আইডি কার্ড নং-১৬২০৮৬২, হাওয়াই ৬ প্রাইম মুঠোফোন সেট, নতুন কাপড় ভর্তি ২টি ব্যাগ ও একটি স্বর্ণের আংটিসহ প্রায় ৪১ হাজারেরও অধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। ঘটনার পরই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পুলিশ ৪০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা থানায় নেয়। ঘণ্টা খানেক পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক সেন্টু লাল দাস ও রিপন মিয়া নামের দুই সিএনজি চালককে আটক করে। বাদীর শনাক্ত মতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সেন্টু লালকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ-(২১) নামে এক যুুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়। নিহত পরশ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে।
আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত দুইদিন আগে পাশের বাড়ির আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউবওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদেবৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে পরশকে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
আহতবস্থায় পরিবারের লোকজন পরশকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরশ মারা যায়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার থেকে ৯৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকার হোটেল উজান-ভাটির সামনে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার থেকে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকার হোটেল উজান-ভাটির সামনে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিলেটগামী একটি অজ্ঞাতনামা ট্রাকের ধাক্কা লাগে।
প্রাইভেটকারে থাকা রাজিব মিয়া, স্বপন ও জাহাঙ্গীর আহত হয়। পরে স্থানীদের সহায়তায় আহতরা চিকিসৎসার কথা বলে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাইভেটকারের পেছনের ডালা থেকে ৯৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।