চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন। আসনটির ১৪৯ ভোট কেন্দ্রের ৯৭৭টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গ্যাসের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার ডিলার সহ বিভিন্ন দোকান ও হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান। এতে সহযোগিতা করেন নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সঙ্গীয় ফোর্স।
জানা যায়, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ হাজার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় ২টি হোটেল ও ১ টি রেস্টুরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা সহ গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারের গোডাউনে বাজারদরে রশিদের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া হেমলেট বিহীন মোটর সাইকেল চালানো সময় দুইজন মোটর সাইকেল চালককে সড়ক পরিবহন মোটরযান আইনে ৪ শত টাকা সহ সর্বমোট ২০ হাজার ৪ শত টাকা অর্থদন্ড করে।
এ বিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রশিদ বিহীন বাজারদরের অধিক মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, জনস্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাগরিক সংগঠন নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে৷
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র অডিটোরিয়ামে নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঞা, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকারিয়া সরকার তসলিম, কোষাধ্যক্ষ সামসুদ্দোহা (সারোয়ার), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইমাউল হক সরকার টিটু, সদস্য এডভোকেট মোর্শেদ হোসেন কামাল, মেজর জেনারেল (অবঃ) কামরুজ্জামান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন সরকারের প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
বৈঠকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী তার তরফ থেকে মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির ওপর উনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়েছেন তা হলো মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষত, আগামী রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল, সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইশতেহারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে যেন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান কৃষি উৎপাদনের কথা বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আরও সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ। এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে যে মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
‘যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রকল্প থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবে সেগুলো দ্রুত নিতে বলেছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথাও। সব মন্ত্রণালয়কে একই নীতি অনুসরণ করতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন।
‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করে সেখানে প্রবেশে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য; গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল- এই তিনটি ক্ষেত্রেও যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সে নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর (আইসিটি) শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, সেটি যেন কর্মমুখী হয়। ফিল্যান্সিং যেন আরও বাড়তে পারে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। যুব সমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন, যেন তারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটি লাঘবের জন্য তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হলো। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখেন কাল থেকে কী হয়, কাল থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি।
দুর্নীতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট করে কী বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন আরএমজিকে (তৈরি পোশাকশিল্পে) আমরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম বলেই এ খাতে এত ভালো করেছি। চামড়া ও পাট এ দুটি কাঁচামাল আমাদের দেশেই হয়। এ দুটিকেও গার্মেন্টসের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য উনি বলেছেন। যেন এই তিনটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রীতি হচ্ছে- প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক যখন হয় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তখন তার কলিগদের অফিসিয়ালি একত্রে পান। তিনি তখন তার পক্ষ থেকে একটি প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন। যেহেতু প্রথম মিটিং সে উপলক্ষে তিনি তার তরফ থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি যে বিষয়গুলোতে জোর দিয়েছেন সেগুলো আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৪ মার্চ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলায় ৬টি সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের প্রত্যাশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীরা হলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বিউটি কানিজ ওরফে এমবি কানিজ, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপিকা নুরুন্নাহার বেগম, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) ফারহানা মিলি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপনের আহমেদের স্ত্রী সাবিহা হক মৌসুমী।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ : শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
মিনারা বেগম : মিনারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ভ‚মিকা রাখেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিউটি কানিজ : বিউটি কানিজ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রক্ষিশন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শামীমা চৌধুরী বিথি : শামীমা চৌধুরী বিথি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-১৯৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত : অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
রুমা বেগম : রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র- সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী : নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান ওরফে মুকাই আলীর স্ত্রী।
সাবিহা হক মৌসুমী : সাবিহা হক মৌসুমী একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপন আহমেদের স্ত্রী।
নূরুন্নাহার বেগম : অধ্যাপিকা নূরুন্নাহার নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খরমপুর কেল্লা শহীদের মাজার জিয়ারতকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কিছু বলার থাকলে তারা ইলেকশন কমিশনকে বলুক। কমিশন সেটি বিবেচনা করবে।
মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় আমরা তাদের সব সময় অভিনন্দন জানাই। ধ্বংসাত্মক কাজ ছেড়ে সাংবিধানিক পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা থাকবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, কসবা-আখাউড়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বাহার মালদার প্রমুখ।