চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। তিনি এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির আমজাদ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৭ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৭৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৩ জন। আসনটির ৯১টি ভোট কেন্দ্রের ৫৬৬টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আজ ২৪ আগস্ট শনিবার শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে ওই ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বন্যা দুর্গত এলাকায় সহযোগিতা করার জন্য সবাই মিলে টাকা উঠাচ্ছিল। এসময় একজন দোকানদার তাদের চ্যালেঞ্জ করে কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে। তখন কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ওরা তার কলেজের শিক্ষার্থী না, তারা চাঁদাবাজ, তাদেরকে পুলিশে দেওয়ার জন্য বলেন। যদিও শিক্ষার্থীদের গলায় ওই কলেজের কার্ড ঝুলানো ছিল।
তারা জানায়, অধ্যক্ষ অস্বীকার করার পর তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হোস্টেল সুপার ফোন করে দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে কলেজের সব শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
শিক্ষার্থী মুশফিক সরওয়ার বলেন, আমর বাড়ি থেকেও বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। মানবিক কাজে সাড়া দেয়ার লক্ষ্যে বন্যায় কষ্ট পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দোকানে দোকানে অর্থ সহায়তা নিতে গিয়েছিল। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা সহায়তা দিয়েছেন, যারা দিতে চাননি তাদের জোর করা হয়নি। অধ্যক্ষের এমন আচরণ মেনে নেয়ার মতো না। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি ১৫ নভেম্বর এমপি হিসেবে শপথ নেন। একইদিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাই শপথ নেওয়ার পরও তিনি সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন আগামীকাল ১০ জানুয়ারি বুধবার। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়ায় তাঁর বাবা সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামীকাল সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ১২ টায় আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে বিকেলে পার্লামেন্টারি পার্টির সিদ্ধান্তের আলোকে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের জন্য বলা হবে। সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আজ গেজেট হওয়ার পর শপথ অনুষ্ঠিত হবে। শপথ হওয়ার পর সরকার গঠন করার জন্য রাষ্ট্রপতি যখন সম্মতি দেবে তারপর কেবিনেট।’
সংসদে বিরোধী দলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চীফ হুইপ বলেন, ‘বিরোধী দলের ব্যাপারে সরকারি দলের করণীয় কিছু নাই। বিরোধী দলের যারা আছেন তারা মিলে সংবিধানের আলোকে ঠিক করবেন।
এসময় মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জসিম মিয়া (২২) নামক এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশ্রাফবাদ মাদরাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম শিরন মিয়া।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে জসিম একই গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়াসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমন মিয়া তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এসময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জসিমের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন পর সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহত জসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, ক্রিকেট খেলার সময় হঠাৎ করে ইমন আমার ভাইকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটাতে থাকে। সে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে আমার ভাই মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
নিহত জসিমের ভাতিজা রিপন মিয়া বলেন, আমরা ক্রিকেট খেলার সময় আমার চাচার ওপর কোনো কারণ ছাড়া ব্যাট দিয়ে পেটায়। চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চাচা মারা যান।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহমত উল্লাহ পাভেল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে পেটায় ইমন। হাসপাতালে আনার পর জসিম মারা যায়। ইমনকে গ্রেফতার করতে অভিযানে আছি।
খবর বিজ্ঞপ্তির:
বিএনপির নৈরাজমূলক কর্মসূচির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন। জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাহাদত হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সম্পাদক উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, কার্যকরী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মশিউর রহমান লিটন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী আজম।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মোঃ মুসলিম মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন দুলাল, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিজয়নগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, শহর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুস সাত্তার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মিয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা প্রমুখ।