চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম রুহন মিয়া (৫৩)। তিনি কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকার আলমাছ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহন মিয়া শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জামাল চৌধুরী বলেন, অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাঈদা সুলতানা প্রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ওই পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সাঈদা সুলতানা একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন।
কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার মঙ্গলবার বিকেলে জানান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় শুধু একজন প্রার্থী রয়ে গেলেন। যে কারণে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এরপরই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মা, বোন, ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনেয়ারা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শ্যামবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আহতরা হলেন হোসনেয়ারার মা নাদিরা বেগম, ছোট বোন ফাহিমা আক্তার (১২), ছোট ভাই নাজমুল ইসলাম (৯) ও নাহিদুল ইসলাম (৭)। তাঁরা কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাদিরা বেগম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজ বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের আগে তিন-চারজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে, আরো কয়েকজন বাইরে ছিল। তারা হোসনেয়ারাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে। আমার হাত কেটে যায়। আমার একটি মেয়ে ও ছোট দুই ছেলেকেও তারা মারধর করেছে।’
নাদিরা বেগম অভিযোগ করেন, গ্রামে দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে হোসনেয়ারাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মো. ইকরামউল্লাহ বলেন, হোসনেয়ারা নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার মাথায় কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ছুরিকাঘাতে হোসনেয়ারা আক্তার নামের এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিমবাড়ি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই গ্রামে আগেও দুটি খুন হয়েছিল। হোসনেয়ারাকে রাতের আঁধারে কে খুন করেছে কিংবা আগের বিরোধের জন্য খুন হয়েছে কি না-জেলা পুলিশসহ একাধিক বাহিনী তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এছাড়াও অপর এক অভিযানে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রানিয়ারা বিষ্ণপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৮.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. রুহুল আমীন (২৮), কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের (সর্দার বাড়ি) মো. সহিদ মিয়ার ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।