অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এবার নির্বাচন হতেই দেবে না। তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের কিছু মুরুব্বি আছে তারাও সেই পরামর্শ দেয়। এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে নির্বাচন না হয় কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে তারা চিনে নাই। ’৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের মানুষ এটাই প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, ’৭৫ এর পর থেকে যত নির্বাচন আমরা দেখেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এবং অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ ১২ মার্চ বুধবার এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, গণজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও বেনজির আহমদ।
এ ছাড়া অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর বুড়িঘাটের চিংড়ি খালের ছোট দ্বীপে চির নিন্দ্রায় শায়িত থাকা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের শাহাদাৎ বার্ষিকী।
বাঙ্গালী জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের এই দিনে বুড়িঘাটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যে ৮ ই এপ্রিল থাকলেও মূলত তারিখটি হবে ২০ এপ্রিল ১৯৭১।এই দিনটি নানিয়ারচরবাসীর জন্য রক্তে ঝরা দিন।
এ মহান বীর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২০শে এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন । ২৬মার্চ যুদ্ধ শুরু হলে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও ছুটে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে শত্রু বাহিনীর নৌযান একাই ধ্বংস করেন ।
বাঙালীর এই মহান যোদ্ধা ১৯৪৩ সালের পহেলা মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পিতা ইমাম মুন্সি মেহেদি হাসান এবং মাতা মুকিদুন্নেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ২নং কমান্ডো ব্যাটেলিয়ানের দুই কোম্পানি সৈনিক ৭টি স্পিড বোট ও ২টি লঞ্চ রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথের আশেপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণ করে। ৬টি লঞ্চে অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ ও মর্টার সজ্জিত ছিলো। পাকিস্তানী বাহিনী মুক্তিবাহিনীর অবস্থান টের পাওয়া মাত্রই তাদের অবস্থানের উপর মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এই সুযোগে হঠাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানি সৈন্য, বেশ কয়েকটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য আক্রমন করে। মর্টার আর ভারী অস্ত্র দিয়ে চালানো আক্রমণে প্রতিহতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ। এই লড়াকু সৈনিকের একসময় পাকবাহিনীর মর্টারের গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ।
বাংলার অসীম সাহসী বীর মুন্সি আব্দুর রউফ এর দেহ পরবর্তীতে বীরমুক্তি যোদ্ধা দয়ালকৃষ্ণ চাকমা উদ্ধার করে বুড়িঘাটের চিংড়ি খাল সংলগ্ন টিলায় সমাহিত করেন।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর উদ্যোগে সমাহিত স্থানটিতে নির্মিত করেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ।
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করেন এবং বাংলাদেশ রাইফেলস ১৯৭৩ সালে সিপাহী মুন্সি আব্দুর রউফকে ল্যান্স নায়েক পদে মরোণোত্তর পদবিতে পদোন্নতি প্রদান করেন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ তার জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করেন সহযোদ্ধার জীবন এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বহু সৈন্যকে প্রতিহত করেছেন।
পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম নানিয়ারচর বুড়িঘাটে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া এই মহান বীরকে নিয়ে নানিয়ারচরবাসী গর্ববোধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের তুলশীগঙ্গা নদীর তীরের সন্যাসীতলা মন্দিরের পাশে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা। গ্রামীণ এ মেলাটি সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি রয়েছে, সন্যাসী পূজাকে ঘিরে ২০০ বছরের বেশি সময় আগে মেলাটির শুরু। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ আজ ১৪ জুন শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষের আগমন ঘটে।
সন্যাসতলীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। বিকেলের পর থেকেই মেলায় মানুষের ঢল নামে। এই মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে জামাই ও স্বজনদের আপ্যায়ন চলে।
রং-বেঙের ঘুড়ি মেলার মূল আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে দর্শকদের। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র এবং নারীদের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্সের দোকানও বসে দুই দিনের এ মেলায়।
স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের এরশাদ আলী ও দেওগ্রামের জেমিয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাব-দাদারা এই মেলায় আসতেন। তাদের দেখাদেখি এখন আমরাও এই মেলাতে আসি। এই মেলা আমাদের এখানকার একটি ঐতিহ্য।
মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার আক্কাস আলী, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আসলাম হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সন্যাসতলী মেলাতে আসি। এখানে ঘুড়ি ছাড়াও প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয় যায়।
সন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাসতলী মেলা। এই মেলা প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন। মেলাটি হিন্দু- মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায় আসেন।
ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই সন্যাসতলী মেলার মূল আর্কষণ ঘুড়ি। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাটি মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
যেসব বাংলাদেশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করতে এ ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনে সরকারি ও বিরোধী দলের রাজনীতিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জায়গা সম্পর্কে জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, সব বাংলাদেশি যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রেরও একই চাওয়া। সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পরিষ্কার করেছেন, বাংলাদেশে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশি যাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, তারাও একই মত প্রকাশ করেছেন। ফলে আমি কোনো মতানৈক্য দেখি না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস থাকেলে নতুন ভিসানীতির কারণ জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন যা বলেছেন তা হলো, এ ঘোষণা বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে সহযোগিতা করার জন্য। সেই সহযোগিতা আমরা আমাদের পন্থায় ভিসানীতি ব্যবহার করে করেছি।
নতুন ভিসানীতি সাধারণ মানুষের ওপরও ব্যবহার হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসানীতি সব শ্রেণিপেশার মানুষের ওপর ব্যবহার করা হবে। তবে যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা প্রায়ই দুই দেশের ৫০ বছরের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি। তবে সেই সম্পর্ক ছবিতে দেখতে অভূতপূর্ব লাগছে। এ প্রদর্শনী দেখতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্টের মধ্যকার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলোর পরিবর্তে আমি ইতিবাচক দিকগুলো দেখতে চাই। এ ছবির প্রদর্শনী আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের বেশ শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। বর্তমানে আমরা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে (ইএমকে) ‘বন্ধুত্বের শেকড়: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, এই ৬৫ দিন দেশি-বিদেশি মৎস্য আহরণকারীদের অবৈধ মৎস্য আহরণ যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলের জন্য প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ টন ভিজিএফের চাল এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং অবৈধ আহরণ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। কাউকে আইনের বাইরে কিছু করতে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে যে কোনো চাপ মোকাবিলা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য দেখা গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন নৌবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি, নৌ পুলিশের ডিআইজি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেশ কয়েকজন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা।