চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন ঠাকুর অলক, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন দিলু, সদস্য দেলোয়ার হোসেন মনা, সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সদস্য মাহফুজ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরো বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত করে বলেন, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ যে বিজয় অর্জন করেছিল তা এই দিন পূর্ণতা পেয়েছিল। পাকিস্তানের মিনওয়ালী কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শত অত্যাচার নির্যাতনের মুখেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোন আপোষ করেন নি। পরিশেষে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষনে, বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে অনুসারে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, সমতাভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে এক যোগে কাজ করবার আহ্বান জানান।
সরাইলে সিরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি রায়হান উদ্দিন, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আল মাহদি, মুফতি মুর্শিদ চৌধুরী, মুফতি মনিরুজ্জামান, মুফতি সালমান কাশেমী, মুফতি ইয়াছিন, মুফতি বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা এহসান উল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি সুলাইমান, মাওলানা সাইফুর রহমান হাবিবী ও মাওলানা সিফাত জামিল।
উক্ত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, রাসুলের (সা.) শাণে যদি বাংলার মাটিতে কোন নাস্তিক মুর্তাদ কটূক্তি করে, রাসুলকে গালি দেয় তবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করব। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। রাসুলকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরূদ্ধে সর্বোচ্চ বিচারের আইন পাস করতে হবে। রাসুলের দুশমনদের ফাঁসি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আল্লাহ এক, রাসুল সবার এক, আমাদের কাবা কেবলা এক, শরীয়ত এক। অতএব দ্বন্দ্ব ভুলে যান। আমরা সবাই এক। ধর্মের ব্যাপারে আমরা ওলামায়ে কেরামদের নেতা মানব। কোন বিষয়ে কোন ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ সরাইল উপজেলা শাখাসহ হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও তৌহিদি জনতা উক্ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার সোনালী ব্রিকস এবং ভি, আই, পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিনের নেতৃত্বে সরাইল উপজেলায় অবৈধ দুই ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সোনালী ব্রিকস এবং ভি আই পি ব্রিকসকে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও ফাইয়ার বিগ্রেড এর মাধ্যমে ব্রিকস এর আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। অভিযানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিন।
এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কায়ছার আলম, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডাকাতি করাকালে দূর্ধূষ তিন সড়ক ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বাবলু, মাসুদ আহমেদ শিপন (২২) ও আনোয়ার হোসেন আনার (৩৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত গভীররাতে এস আই নুরুন্নবী সংগীয় ফোর্স সড়কের ফায়ার সার্ভিসে সামনে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ মাসুদ ও আনোয়ার নামের দুই ডাকাতকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
মাসুদ কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে। আনোয়ার একই ইউনিয়নের লস্কর পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি রামদা সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত আনোয়ারের কাছ থেকে সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে ইফাজ উদ্দিন আহমেদের ডাকাতি হওয়া ১২ শত টাকা ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে ডাকাত বাবলুকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরাইল ও পার্শ্ববর্তী থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। ডাকাত মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৫) ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১২) এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭)।
তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে।
তারা ঢাকার মগবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সৈয়দ মোবারক হোসেন ইতালির সাবুনা শহরে ব্যবসা করতেন। সেখানে ৪টি কসমেটিক দোকান পরিচালনা করতেন। তার বড় মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর ইস্পাহানী স্কুলে এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ মগবাজারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার তাদের গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা লাশ হয়ে একে একে এ্যাম্বুলেন্স করে গ্রামের নিজ বাড়ির উঠোনে ফিরলেন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মগবাজারে থাকতেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে বেইলী রোডে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হওয়া ভবনটিতে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আসার পর বাদ আসর খন্দকার মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে বাড়ির পাশে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। তাদের মৃত্যুর খবরে শাহবাজপুর ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার। পরিবারের সবাই ভিসাও হয়েছিল। চলতি মাসে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুরো পরিবার আর ইতালিতে পাড়ি জমানো হলো না। সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
নিহত মোবারকের খালাতো ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মোবারক প্রথমে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইতালি পাড়ি দেন। তার দেশে আসা যাওয়া ছিল। গত দেড় মাস আগে প্রায় দুই বছর পর ইতালি থেকে দেশে ফিরেন মোবারক। স্ত্রী-সন্তানদের ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন। আগামী ২০ মার্চ ইতালিতে যাওয়ার দিন নির্ধারিত করেছি।
নিহত মোবারের স্বজন মো. ফয়সাল বলেন, ইতালিতে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। ভিসাও হয়েছিল। পরিবারের সকলে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন অপূরণীয় রয়ে গেলো। ওই পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।
নিহত সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের শ্বশুর একই গ্রামের মুন্সী বাহার উদ্দিন জানান, তার মেয়ের জামাই মোবারক ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। তার মেয়ে স্বপ্না আক্তার, দুই নাতনি সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া ও সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর এবং একমাত্র নাতি সৈয়দ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে রাতের খাবার খেতে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সবাই পুড়ে মারা গেছেন। পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ূন মিয়া (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত হুমায়ূন মিয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামের ভোলা সরদারের বাড়ির মরহুম লাল মিয়ার ছেলে। আজ ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে নিহত হুমায়ূন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া ও একই এলাকার এজামতের বাড়ির মিজান মিয়ার মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ধদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। দুইপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে সালিশ বসে। সালিশের মধ্যেই দুইপক্ষ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে সালিশসভা পন্ড হয়।
এ ঘটনার জেরে ২ ফেব্রুয়ারি এজামতের বাড়ির মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা হুমায়ূন মিয়ার জমিতে সীমানা পিলার বসায়। এ নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের প্রথমে মধ্যে হাতাহাতি ও পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে ভোলা সরদারের বাড়ির হুমায়ূন মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে হুমায়ূন মিয়া মারা যায়।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চত্বরে নিহত হুমায়ূন মিয়ার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়া বলেন, মিজান মিয়া ও তার অনুসারীরা আমার ভাই হুমায়ূন মিয়াকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমি আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের ফাঁসির দাবি করি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আগে একটি মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।