চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মা, বোন, ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনেয়ারা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শ্যামবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আহতরা হলেন হোসনেয়ারার মা নাদিরা বেগম, ছোট বোন ফাহিমা আক্তার (১২), ছোট ভাই নাজমুল ইসলাম (৯) ও নাহিদুল ইসলাম (৭)। তাঁরা কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাদিরা বেগম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজ বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের আগে তিন-চারজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে, আরো কয়েকজন বাইরে ছিল। তারা হোসনেয়ারাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে। আমার হাত কেটে যায়। আমার একটি মেয়ে ও ছোট দুই ছেলেকেও তারা মারধর করেছে।’
নাদিরা বেগম অভিযোগ করেন, গ্রামে দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে হোসনেয়ারাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মো. ইকরামউল্লাহ বলেন, হোসনেয়ারা নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার মাথায় কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ছুরিকাঘাতে হোসনেয়ারা আক্তার নামের এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিমবাড়ি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই গ্রামে আগেও দুটি খুন হয়েছিল। হোসনেয়ারাকে রাতের আঁধারে কে খুন করেছে কিংবা আগের বিরোধের জন্য খুন হয়েছে কি না-জেলা পুলিশসহ একাধিক বাহিনী তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিমবাড়ী গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রী হোসনে আরা রত্মা ( ১৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি রতন ভূইয়াকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ।
১৪ জানুয়ারি রবিবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থানা পুলিশ পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রতন মিয়া উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ী গ্রামের মৃত সুদন ভূঁইয়ার ছেলে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে মাদ্রাসাকৃত রতন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ জানুয়ারি মাদরাসা ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা হওয়ার পর পলাতক আসামীদের খুঁজতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নেয়া হয়। রবিবার রাত প্রায় নয়টার দিকে পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় তার অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী রতন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মেদ জানান, মাদরাসা ছাত্রী হোসনে আরা হত্যাকান্ডে মামলার প্রধান আসামী রতন ভূইয়াকে মাদ্রাসা করতে সক্ষম হয়েছি।
সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মূল ঘটনা উৎঘাটন করতে আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতি বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষ সব ক্ষমতার উৎস।
গণতান্ত্রিক ধারায় তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপি তাদের সময়ে নির্বাচন করত ভোটারবিহীন হ্যাঁ-না ভোটে। বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দিতে নিষেধ করছে।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার চানপুর খেলার মাঠে নিজের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, তারা দেশকে কতটা ভালোবাসে। পরে তিনি সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ধ্বজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আরজান আলী ভুঁইয়া (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত লোকমান ভুঁইয়ার ছেলে ইকবাল ভূঁইয়া (৪৫)।
সুলতানপুর ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশেক হাসান উল্লাহ বলেন, সকালে ওই দুই কৃষক ধ্বজনগর সীমান্তের সীমারেখার পাশে গরু চড়াচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটাগুলি নিক্ষেপ করে। এতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে দুইজনই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির পরপর বিষয়টি বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাইরের কোনো দেশকে চাপ দিয়ে বাংলাদেশকে কোনো কিছুই করানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বাংলাদেশের এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় এবং এখানে নির্বাচনে যাতে সহিংসতা না হয় সেটাই তাদের কাম্য। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা বলেছেন, র্যাব অনেক ভালো কাজ করছে। তারা র্যাবের বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন, আপনারা শান্তি দেখতে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এমপি।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবড়িয়া জেলা কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল এই বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা না হলে এই দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানতো না। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক করতেন। কখনো নিয়মের বাইরে রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতা রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রের। সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতা আদায় করতে কিভাবে প্রস্তুত দিতে হবে সেই দিক নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যখন এই ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এই ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিলো, এ ভাষণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে যাওয়ার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। তারা বাংলাদেশকে শেষ করতে দিতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মুস্তাক, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা। তারা বাংলাদেশের উপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযোগ্য চালায়। জিয়া এই দেশে রাজাকার ও আলবদর দিয়ে সরকার গঠন করেছিলো। আজ তারা বড় বড় কথা বলে, তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা সব সময় হত্যাতন্তের জন্য যুদ্ধ করেছে। তারা বাঙালি ও বাঙালির জাতির পিতা কে হত্যা করেছে। মন্ত্রী বলেন, তাদের এই ভাওতাবাজি ভুলবেন না। তাদের আর কখনো ভাওতাবাজি দেওয়ার সুযোগ দিবেন না। মন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের আমাদের শপথ হবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। ২০৪১ সালে আমরা তার স্বপ্ন মতে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব উন্নত দেশ হিসেবে মর্যাদা এনে দিব। আমরা সকলে শেখ হাসিনার সাথে থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো।
মতবিনিময় সভায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজল হোসেন রিমনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।