অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে । কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সারা দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমেই নিচের দিকে নামছে পারদের কাঁটা। ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ এলাকায়ই সূর্যের দেখা নেই কদিন থেকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে রাজধানীতেও।
কলকারখানা-গাড়ির ধোঁয়া, মানুষের কর্মচাঞ্চল্য, কোলাহল সবকিছুকে পেছনে ফেলে সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ছে ঢাকা শহর। তবে সুসংবাদ নেই। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এমন অবস্থায় শীত নিবারণে রাজধানীজুড়ে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিপণী বিতান, শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড়।
আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর রোডের গোল্ডেন গেট শপিং সেন্টার, খান প্লাজা, কাদের অর্কেড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নেহার ভবন, নুরজাহান সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর ম্যানশন সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটেই শীতের কাপড়ের ব্যাপক সমাহার। ব্যবসায়ী ও দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদা আর রুচির কথা মাথায় রেখে পসরা সাজিয়েছেন এসব পোশাকের। এরমধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, ফুল স্লিভ টি-শার্ট, ব্লেজার, স্লিভলেস কোট, কটি, জিন্সের মোটা শার্ট-জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, উইন্টার কোট, উলের তৈরি শাল, খাদির শাল, মাফলার, কানটুপি, হাত-পায়ের মোজা অন্যতম।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের অধিকাংশ ক্রেতাই তরুণ-তরুণী। সেজন্য তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে দোকানে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের কালেকশনই বেশি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে এবার জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে। এরমধ্যে জেন্টস লেদার জ্যাকেট, জেন্টস ফুল স্লিভ জ্যাকেট, লেডিস ফিট ফুল স্লিভ জ্যাকেট, জেনস কটন জ্যাকেট, ফুল স্লিভ জেন্টস ক্যাজুয়াল জ্যাকেট, জেন্টস হুডি জ্যাকেট অন্যতম। নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে এসব জ্যাকেটের প্যাটার্নেও এখন আনা হয়েছে বেশ নতুনত্ব। সিনথেটিক এবং মিক্সড লেদারের জ্যাকেটও রয়েছে দোকানগুলোতে। এছাড়াও ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্যাটার্ন স্টাইল এবং গুণগত মানের কাপড় দেখা গেছে দোকানগুলোতে।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী বাপ্পি হাওলাদার বলেন, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই মৌসুমভিত্তিক কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে অনুযায়ী এখন অধিকাংশ দোকানেই শীতের পোশাক। তবে এক্ষেত্রে আমরা তরুণ-তরুণীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেই। কারণ বয়স্ক মানুষজন একটি শীতের কাপড়ের একাধিক বছর চালালেও তরুণ-তরুণীদের প্রতি বছর নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা বেশি। সেজন্য আমরা তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শীতের পোশাক সংগ্রহ করে থাকি। এবছর বিক্রি খুবই ভালো হচ্ছে। সম্প্রতি শীত বাড়ার কারণে দোকানে ক্রেতার পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।
রবিউল হুসাইন নামের আরেক বিক্রেতা শীতের পোশাকের দাম সম্পর্কে বলেন, গুণগত মান এবং ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হচ্ছে। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভালো কোয়ালিটির জ্যাকেট ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি কিংবা চায়না জ্যাকেট দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি করছি। লেদার জ্যাকেটের দাম নির্ধারিত হচ্ছে গুণগত মানের উপর। সোয়েটার এবং হুডি ৮শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছি। মূলত, এবছর টেক্সটাইল এবং সব ধরনের গার্মেন্টস পণ্যের উপাদানের দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তবে বেশি বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে স্বল্প লাভেই বিক্রি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট ফুটপাতের বিক্রেতারাও। মেয়েদের ওলের ওড়না, জ্যাকেট, চাদর থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন শীতের পোশাকের পসরা নিউমার্কেটের ফুটপাতজুড়ে। দামেও কিছুটা কমের কারণে সেসব দোকান ঘিরে ভিড় করছেন মানুষজন। অনেক দোকানে আবার চাদর, হুডি, হাতাওয়ালা টিশার্ট তাল মিলিয়ে ‘বাইচ্ছা লন, তিনশ’, ‘দেইখা লন, তিনশ’ এভাবে ডেকে বিক্রি করতে দেখা যায়।
আব্দুল ওয়াহাব নামের ফুটপাতের এক বিক্রেতা বলেন, বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। কমদামে ভালো কাপড় দিচ্ছি। আমাদের তো দোকান ভাড়া দিতে হয়না। কর্মচারী বিল নাই। সেজন্য অল্প লাভেই মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারছি। আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি।
আবার নিউমার্কেটের ভেতরে দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন বেশি কেনাকাটা করছেন তাদের এলাকায় থাকা আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য। বাড়ির ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য শাল, মাফলার, হাত-পায়ের মোজার ক্রেতার পরিমাণ বেশি। ভেতরের দোকানগুলোতে শাল চাদর মানভেদে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, মাফলার ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বাচ্চাদের পোশাকও গুণগত মান ও বয়সভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
কেনাকাটা করতে আসা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার বাড়ি গাইবান্ধা। সেখানে প্রচুর শীত পড়েছে। বাবা-মায়ের জন্য শীতের পোশাক আগেই পাঠিয়েছি। তারপরও এখন আবার মোটা খাদি কাপড়ের শাল চাদর, মাফলার এবং হাত পায়ের মোজা বেশি করে কিনে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশিই। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে কেনাকাটা তো করতেই হচ্ছে।
ইউসুফ মিয়া নামের আরেকটা ক্রেতা বলেন, শীত একটু বেশি পড়েছে। সেজন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছে। ক্রেতা যেহেতু বেশি তাই দোকানিরা দাম একটু বেশি চাইছে। তবে নিউমার্কেটের ফুটপাতে সাশ্রয়ী মূল্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আর মার্কেটগুলোতে দাম কিছুটা বেশি। দেখেশুনে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।
কম্বল-লেপের বিকল্প হিসেবে চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের
শীতে আরামদায়ক ঘুমের জন্য উঞ্চতা বৃদ্ধিতে বর্তমানে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে কম্ফোর্টার। লেপ কিংবা কম্বলের তুলনায় দ্রুত উষ্ণতা পেতে এর জুড়ি নেই। তাইতো কম্বল ও লেপের তুলনায় এখন চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের। আবার বিদেশি কম্ফোর্টারের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার কারণে দামও হাতের নাগালে রয়েছে। কম্ফোর্টার তৈরিতে এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানিও। তাই স্বল্প দামে ভালো মানের কম্ফোর্টারের দিকে ঝুঁকেছেন মানুষজন।
বিক্রেতারা জানান, অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কারণে মানুষ এখন দোকানে এসেই কম্ফোর্টার খুঁজেন। স্থানীয়ভাবে তৈরি ফাইবারের এসব কম্ফোর্টার সিঙ্গেল, সেমি ডাবল ও ডাবল হিসেবে দাম ঠিক করা হয়। আবার কম্ফোর্টারের পুরুত্বের ওপরও নির্ভর করে গুণগত মান।
নীলক্ষেত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের বেডশিট ব্যবসায়ী ইলিয়াস খান বলেন, কম্বল ও লেপের তুলনায় কম্ফোর্টারের ওজন একেবারেই হালকা। তবে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুততম সময়ে উষ্ণতা পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন কমফি, বেক্সি ফেব্রিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করছে। এসব কম্ফোর্টার আকারভেদে এগারোশ টাকা থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোরিয়ান, চায়নাসহ অন্যান্য বিদেশি কম্ফোর্টার সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে কম্বলের বেচাকেনা আহামরি না হলেও অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
মাঘ সবে শুরু। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা কাঁপলেও তীব্র শীত পড়েছে মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যেই শীতের বিদায় ঘণ্টার পদধ্বনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কিছুদিন রাতের পারদ সামান্য নামতে পারে। জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা তেমন নেই। ফেব্রুয়ারিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বিদায় নিতে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বর্ষার মতো শীত নির্দিষ্ট নিয়মে বিদায় নেয় না। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার মতো পরিস্থিতি আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় তেঁতুলিয়ায় ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ২০টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ আজ রবিবার থেকে প্রশমিত হতে পারে। আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ১৭ দিন দেশে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে এক দিন ছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই এলাকায় শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আর না কমলে এ বছর শীতে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রির তাপমাত্রাই হবে রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানলে শীতের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। তবে এ বছর শীতের মেজাজ তেমন দুর্বল ছিল না। পৌষেই হিমেল হাওয়া আর ঠান্ডায় দেশ কেঁপেছে। ফলে আগেভাগেই শীত বিদায় নিচ্ছে। তবে শীতের চরিত্রে খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে। আচমকা দু’দিনের শীতে কাবু হচ্ছে দেশ, তার পরেই এক লাফে পারদ উঠছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, জানুয়ারির শেষেই বিদায় নেবে শীত। তবে ঢাকার বাইরের জেলা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আরও কিছু দিন ঠান্ডা থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শীতের অকাল বিদায়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় দায়ী। শীতকালে সাধারণভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। ফলে দিনে ঝকঝকে রোদ পাওয়া যায়। মাটি গরম হয়। রাত হলেই সেই তাপ দ্রুত কমে ঠান্ডা হয় মাটি। তার সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার যুগলবন্দিতে কনকনে ঠান্ডা পড়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় একজন খুন ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাইদুর রহমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির ফুফাতো ভাই ও কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং মনির হোসেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
আখাউড়া উপজেলায় মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সদরে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে খান আরিফুর রহমান এবং নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঝালকাঠি সদরে খান আরিফুর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান হোসেন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অ্যাডভোকেট জিকে মোস্তাফিজুর রহমান।
ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে দুই উপজেলার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইএম মাসুদ রেজা আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৭৯টি।
অপরদিকে, পাঁচবিবি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেকুন নাহার। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভিপতি আবু বকর সিদ্দিক আনারস প্রতীক পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৭ ভোট।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৫ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (পালকি প্রতীক) বুলবুল হাসান পিপুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রাজীবুল হাসান রাজু ১১ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (তীর ধুনুক প্রতীক) মোছা. নার্গিছ আক্তার মোট ৩৬ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (হাঁস প্রতীক) মোছা. ইন্দোনেশিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৬১ ভোট।
চৌগাছা (যশোর): যশোরের চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আখতারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
অন্যদিকে, বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে হামিদ লতিফ ভূঁইয়া ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪ ভোট।
বগুড়া: বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত রাজু বগুড়া-৩ (আদমদিঘী দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাধনের বাবা। এমপি বাধনের মা জেলা পরিষদের বগুড়া ৩নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামীমা আখতার মুক্তা।
চেয়ারম্যান পদে রাজু নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেসবাউল করিম। রাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের রাশেদুল ইসলাম রাজা।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আহম্মেদ বিপ্লব, কাহালুতে হাবিবুল হাসান কবিরাজ সরুজ এগিয়ে আছেন। দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার বগুড়া জেলার তিন উপজেলার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ২৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে কাহালু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পেদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাটি ও মানুষের নেতা এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি শিবপুর- রাধিকা সড়কের কনিকাড়া অংশের রাস্তার উন্নয়নের কাজ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে এম.পি-র গাড়ী বহর নবীনগর – কোম্পানীগঞ্জ রাস্তার জিনোদপুরে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রিপেয়ারিং এর কাজ উদ্বোধন করেন এবং বলিবাড়ি – বাঙ্গরার নতুন রাস্তা পরিদর্শন করে বাঙ্গরা বাজারের ব্যবসায়ীদের আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। আজ ১০ জুন কনিকাড়া গ্রামে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে জনগণের সমস্যা কথা শুনেন এবং জনস্বার্থে জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধান করেন এবং রাস্তাটি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি। এর পর বাঙ্গরা বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন। জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ প্যনেল চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনা উক্ত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ইয়াবের হাসান জামিল, সাবেক ত্রান সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, কার্যকরী সদস্য মো. সাইফুর রহমান সোহেল, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমেদ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বলেন- আমার কাজ হল প্রধানমন্ত্রীর সকল আদেশ, নির্দেশ উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণ নিকট পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং সাধারণ জনগণের দুঃখ কষ্ট লাগব করা সহ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনের আগে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনায় যারা হুকুম দিয়েছে, খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার হাতে মোবাইল ফোন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। যারা এই কাজগুলো (জ্বালাও-পোড়াও) করছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেফতার করছি। আর যেন কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে, এটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ, আমরা যে কাজগুলো করে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি, এটাকে আমাদের টেকসই করতে হবে। এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আপনারা জানেন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না, কাজেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, শক্ত একটি ঘাঁটি আছে বলেই যেকোনো ষড়যন্ত্র আমি মোকাবিলা করতে পারি। আপনারা আমার শক্তি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়ার মানুষই আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, এখন যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করব। গ্রামের মানুষ শহরের সব নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর, সেভাবে প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে তুলব। যাতে কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যাতে অভাব না হয়, সেই ব্যবস্থা আমাদের নিজেদের করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের মানুষ কাজ করলে এ দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না। যারা কখনো এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে দিতে চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, তারা বাংলাদেশের কখনো উন্নতি চায় না। সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।