ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শহরের টেংকের পাড় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে জেলা নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোঃ হাবিব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন আইনজীবী এ,একে,এম মোঃ শাহদাৎ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কুমিল্লা সমিতিরি সহসভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম,এম জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ খাইরুল নোমান, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক মজুমদার প্রমুখসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণ কালে বক্তারা, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ড. মুুহম্মদ শহীদুল্লাহ গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড (২০২৩) পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার প্যানেল মেয়র, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত শনিবার ঢাকার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মীর মোঃ শাহীনের হাতে এই সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন এম.এ আউয়াল।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার মোঃ মাসুদুর রহমান মিলকী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সহ-সভাপতি লায়ন খন্দকার রেজাউল করিম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এম. এইচ আরমান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে সম্মাননা পাওয়া মীর মোঃ শাহীন বলেন, জাতীয়ভাবে সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আমার আরো বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, এর আগেও আমি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির বলেন, আজকে কোটা থাকার কথা ছিল অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠীর। অথচ আজকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ ভাগ নিয়োগ হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নেয়া হচ্ছে তারা কি অনগ্রসর জাতি? যদি মেধাবীদেরকে দেশে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই এই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন ২০১৮ সালে কোটা প্রথা নিয়ে যে পরিপত্র জারি হয়েছিলো, সেটি বহাল করতে হবে। কোটা বিষয়ে দাবি না মানা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহৎ পরিসরে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এশিয়া ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার করে যোগ্য ও মেধাবীদেরকে যোগ্য জায়গায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। উপজাতি কোটা ও প্রতিবন্ধীদের কোটায় কোন সমস্যা নেই। কোটার হার কেন শতভাগের অর্ধেকের বেশি হবে?
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। শতকরা ৫৬ শতাংশ কোটার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথাও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই দ্রুত কোটার সংস্কার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেচ্ছাসেবি সংগঠন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিগ্রেডের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলেই যারা নৌকার বিরোধিতা করে নৌকার দল আওয়ামী লীগে তাদের জায়গা নেই। এমন বিরোধিতাকারীদের সনাক্ত করে তাদরে সরিয়ে প্রকৃত নিবেদিত তরুণ নেতাকর্মীদের পদায়ন করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে ৫ বছর পর। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আগামী নির্বাচনে তারা দলকে সহজে জেতাতে পারবেন।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জামাল খান, রফিকুল ইসলাম, হানিফ মিয়া, আবুল বাশার, খবির উদ্দিন আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা), বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা এর স্মারক নং- সলিসিটর/ জিপি-পিপি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)-১৯/২০২৪ (অংশ-১)-২১০, তারিখ-১৮/১১/২০২৪খ্রি. মূলে উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মোঃ মাহ্রূফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়। এতে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) (জেলা জজ আদালত) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির প্রবীন আইনজীবী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (আবিদ)। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার সাবেক জিপি অ্যাড. মোঃ ওয়াসেক আলী এর নিকট থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
দায়িত্বভার গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ ফারুক, মোঃ জাকির হোসেন (৪), মোঃ ইউনুস সরকার, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম, মোহাম্মদুল্লাহ্ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. তাছলিমুল হক, অ্যাড. রেজাউল ইসলামসহ জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীগণ।
তিনি এই দায়িত্ব পালনে সকল আইনজীবীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।