চলারপথে রিপোর্ট :
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চারটি কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন-শফিক এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
অভিযানে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর ছয়ঘড়িয়া, জীবনপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে চারটি কয়লা তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন শফিক বলেন, এর আগেও অভিযানে জরিমানা করা হলেও মানছেন না অসাধু কয়লার ব্যবসায়ীরা, তাই এবার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপর এই অবৈধ কয়লার কারখানাগুলো আবার চালু করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন। আজ ১২ জুন সোমবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের নিজ কুরুয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতের নাম জসিম (৩৫), তিনি পেশায় ট্রাক চালক। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাই থানার বাইনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, সিলেটগামী একটি ট্রাক উপজেলার নিজ কুরুয়া নামক স্থানে আসার পর টায়ার পানচার হলে চালক ও সহকারী মিলে চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে একই দিকে সিলেট গামী আরেকটি ট্রাক এসে পেছন থেকে তাদের ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক, চালকের সহকারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ওসমানীনগর স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক খন্দকার সানাউল হকের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হওয়ায় সেটিকে রাস্তার পাশে রেখে চালক ও সহকারী সেটি মেরামত করছিলেন।
চাকা খুলে সেটি পরিবর্তন করে শেষ পর্যায়ে আরেকটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি তবে আহতের নাম জসিম। তিনি বুকে মারাত্মকভাবে চাপ খেয়েছেন।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ তামাবিলের ইনচার্য আবুল কাশেমের সঙ্গে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিহত তিনজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।’
চলারপথে ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে। এমন কথা বলবো না, আইনটির কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। যদি দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন, সেটা করতেও আমরা পিছপা হবো না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেই কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
আজ ৬ মার্চ সোমবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘শেপিং অব থার্ড সেক্টরল’স এন্ড পলিসিস’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তিসঙ্গত সব পরামর্শ সরকার শুনতে চায়। সুশীল সমাজের বক্তব্য বন্ধ করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। সুশীল সমাজের পরামর্শগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিবে।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আবার বসা হবে, সেখানে যে কেউ মতামত দিতে পারবেন। কেন এই আইন করতে আমরা বাধ্য হয়েছি, তার প্রেক্ষাপট সকলেই জানেন। এটা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। অনেকেই বলেছেন, এই আইন করে কোন উপকার হয়নি, আমার মনে হয় কিছু উপকার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সব আইনেরই কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা থাকে। আবার কিছু বাস্তবায়নের সমস্যা থাকে। যখন বাস্তবায়নে সমস্যা হয়, তখন আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়। সেকারণেই বলছি, এই আইন নিয়ে আমরা আবারও বসবো। যদি বিধি পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা সেদিকে যাবো। যদি তারপরেও আমরা দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন আছে, সেটা করতেও আমরা পিছুপা হবো না। কিন্তু সম্পূর্ণ আইনটিকে বাতিল করে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। সেজন্য আসুন আমরা আইনটি নিয়ে আবার বসি এবং সেখানে আইনটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করি।
তিনি বলেন, এই বৈঠক রমজানের আগেই হতে পারে।
অনুষ্ঠানে ইউএসএইড-এর অ্যাক্টিং অফিস ডিরেক্টর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অধ্যাপক সি আর আবরার ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের পক্ষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজকর্মী খুশী কবিরসহ দেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে, মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো উচিত নয়।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী রমজানের সময় বিশেষ করে বড় মজুতদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীদের এই বিষয়ে নিয়মিত মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের প্রথমে তাদের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ দেন।
সালাউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় মন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওনা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছিলেন।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।
পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সফর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দিনের সফরে নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
তীব্র শীতে উষ্ণতা ছড়াতে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ড্রিম ফর ডিসএবিলেটির চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আজীজ মুন্না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম. শান্তনু চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকারের কল্যাণে প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরে আসছে।
বক্তারা শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে অতিথিরা ২০০ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার প্রতি বছরের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণসহ সারা দেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিনদিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জানা গেছে, বিশ্ব জুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক অর্থাৎ সুস্থ থাকতে মেডিটেশন বা ধ্যানের কার্যকারিতা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সুস্থতা ও সাফল্যের পথ দেখায় মেডিটেশন।
ছয় বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর তিনি এ সম্পর্কে আরো উত্সাহী হয়ে ওঠেন। তবে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চাকারীরা বিশ্বাস করেন, মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।