চলারপথে রিপোর্ট :
মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৭ জানুয়ারি বুধবার বাদ আছর মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ১২তম ইসলামী মহাসম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া’র মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন শায়খুল ইসলাম কুতুবুল আলম আল্লামা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর সুয্যেগ্য দৌহিত্র আওলাদে রাসুল (সা.) ভারত দেওবন্দ এর আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানী দা. বা.।
সহ-সভাপতিত্ব করবেন শেরপুর মীর শাহবুদ্দীন রহ: মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক এবং মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদের খতিব মুফতী তাফাজ্জুল হক।
বিশেষ অতিথি থাকবেন নরসিংদী রায়পুরা জামিয়া ইসলামিয়া নুরুল উলুম পান্তশালা এর শায়খুল হাদিস ও ছদর আল্লামা হযরত মাওঃ হাফেজ এনায়েতুল্লাহ্ নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর।
প্রধান আকর্ষণ থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া উম্মুল কুরা এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ মুফতী উবায়দুল্লাহ মাদানী।
বিশেষ বক্তা থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসার মুফতী তোফায়েল আহমদ নোমান।
বিশেষ মেহমান থাকবেন মধ্যপাড়া দারুল ফিকরিল ইসলামী তাহ্ফিযুল কুরআন মাদ্রাসা (দিঘীরপাড়) এর প্রতিষ্ঠাতা মুজাম্মেল হক (আজাদ মোল্লা)।
মাহফিল পরিচালনা করবেন হা. মাও: খালেদ সাইফুল্লাহ, হা. তাহ্সিন আহমদ, হা. খালেদ সাইফুল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পৌর শহরস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন স্কাউটসদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকল স্কাউট্স দের পরিচয় প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্কাউটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রাক্তন স্কাউটস সদস্য আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ সাধারন সভায় কার্যবিবরনী পাঠ করেন শাহ আলমগীর।
বিগত সাধারণ সভা আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শাহীন, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন স্মৃতি সাবোন, মোর্শেদ আমিনী মিলি ও ঘোষ। এর পর গঠনতন্ত্রের বিষয়বস্তুর উপর সকল স্কাউটরা আলোচনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপচার্য সাদমান সাদিক রকি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস যুগ্ন সম্পাদক-১ খশরুজ্জামান খান বাপ্পী, স্কাউটস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিশনার মোঃ সাহিদুল ইসলাম, স্কাউটাস এস কে শাহীন মাহমুদ, স্কাউটাস রেজাউল কাইউম স্বপনসহ প্রাক্তন স্কাউটস সদস্যবৃন্দ।
উক্ত সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন, নতুন প্রজন্মের স্কাউটদের উৎসাহ, স্কাউটিং আন্দোলন বিকশিত, প্রাক্তন স্কাউটসদের যুক্ত করা এবং সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ও কার্যবিবরণী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। প্রাক্তন স্কাউটস সমাজিক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর বক্তারা জোড় দেন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যদি বাধা আছে তাহলে বাধাদানকারীদের বুঝিয়ে ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাক্তন স্কাউটসদের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে অবহিতকরন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রদান ও সংগঠনের নতুন নামকরণে সাধারন সম্পাদকের নাম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সদ্য ঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিল করে সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির একাংশের নেতা- কর্মীরা।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে শহরের কান্দিপাড়ায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড: গোলাম সারোয়ার ভূইয়া খোকনের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য মইনুল হোসেন চপল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৪ নভেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ঘোষিত কমিটিতে এমন কিছু নাম এসেছে, যাদের নাম দেখে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতাশ।
এই কমিটিতে আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত এবং যাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামে কখনো দেখা যায়নি এরকম অনেক বিতর্কিত নাম এসেছে। তারা ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও পরিবারতান্ত্রিক এবং পকেট কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে পুনরায় নতুন আহবায়ক কমিটি করার দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ঘোষিত কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম মমিুনুল হক ও আলী আজম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নিয়ামুল হকসহ জেলা বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মীগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদের উপর হামলা করে টিকেট কালোবাজারিরা। এ ঘটনায় চার ছাত্র আহত হয়। আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ফ্ল্যাটফরমে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহান নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটক শাহজাহানের বাড়ি পৌর এলাকার পুনিয়াউট মহল্লায়। একাধিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১টার সময় “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্ররা চলে যাওয়ার সময় তিতাস কমিউনিটার টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট কালোবাজারি নাজমুল হক সানি ও শাহজাহানের নেতৃত্বে টিকেট কালোবাজারিরা ছাত্রদের উপর হামলা করে। হামলায় ৪ ছাত্র আহত হয়। আহতদের মধ্যে সৌরভ ও তারভীরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। নাজমুল হক সানি পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে। নাজমুল হক সানিসহ অন্যান্য টিকেট কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে টিকেট কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টায় রেল স্টেশনের প্লাটফরর্মে “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি মোঃ বোরহান সিয়াম, মোঃ মোহাইমিনুল আজমিন, মোঃ আবু বক্কর, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মারুফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই মানববন্ধন। তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে প্রকাশ্যে টিকেট কালোবাজারি হলেও প্রশাসন নিরব। আমরা টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত (মাষ্টার) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অনলাইনে কেটে বেশি দামে বিক্রি করে সেটাতো রোধ করা যাবেনা। টিকেট কালোবাজারির সাথে স্টেশনের কেউ জড়িত না বলে তিনি দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জেলাব্যাপী পরিচালনা করবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিনকে কো-চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটিতে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, দলীয়ভাবে নির্বাচিত সকল পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পর্যায়ের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ সদস্য হিসাবে থাকবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর পরিচালনায় সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন সহ সাবেক কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা এক ভাগ ভোটারের প্রায় ২৫০ স্বাক্ষরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি (ফিরোজুর রহমান) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে ফিরোজুর রহমানকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এখন পর্যন্ত একক এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনস্বরূপ সাক্ষরিত একটি তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটারদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের খালকাটা এলাকায় আমার কর্মী মহিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা ছিনতাই করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারির মদদে ভোটার তালিকা ছিনতাই করা হয়েছে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
ফিরোজুর রহমানের কর্মী মহিবুর রহমান বলেন, আমরা ভোটারদের তালিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খালকাটা মোড়ের সেতুর ওপর অবুঝ নামের এক যুবকসহ সাত-আটজন আমাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারি বলেন, উনি (ফিরোজুর রহমান) একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন খালকাটার লোকজন ছিনতাই করেছে, আবার বলছেন চিনাইরের লোকজন করেছে। আরেকবার বলছেন আমার লোক নিয়েছে। আমি কেন ছিনতাই করাব? উনার কথাবার্তা অসংলগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার কয়েকটি পাতা ছিনতাই হয়েছে বলে মৌখিকভাবে ফিরোজুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। তবে তার কাছে তালিকার অতিরিক্ত কপি আছে। এছাড়া তিনি নিজেই ছিনতাই হওয়া তালিকা উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।