চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া দিঘীর পাড়ে বেলাল হাউজে দারুল ফিকরিল ইসলামী তাহফীযুল কুরআন মাদ্রাসার উদ্বোধন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সবক প্রদান করেন শায়খুল ইসলাম কুতুবুল আলম আল্লামা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর সুয্যেগ্য দৌহিত্র আওলাদে রাসুল (সা.) ভারত দেওবন্দ এর আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানী দা. বা.।
সবক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসার মুফতী তোফায়েল আহমদ নোমান, হাফেজ মাও: মুফতী যাকারীয়া, হাফেজ মাও: এমদাদুল্লাহ, হাফেজ মাও: আবুল খায়ের, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুজাম্মেল হক (আজাদ মোল্লা), সহকারী পরিচালক মুফতি খোর্শেদ আলম, মুফতি রাব্বিকুল হাসান।
সবক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উক্ত মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মুফতী তাফাজ্জুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে আঁচ লেগেছে। এক সময় ঈদের আগে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকতো। কিন্তু এবারে দেখা মিলছে চিত্র ভিন্ন।
একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। সেইসঙ্গে যেটুকু কাজ মিলেছে, তাও করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ছোবল পহাতে হচ্ছে।
এদিকে, অটো মেশিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হাতে জুতা তৈরির আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে মজুরি না বাড়ায় হতাশ পাদুকা কারিগররা।
সরেজমিনে পাদুকা শিল্প পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঈদের আগে জুতা তৈরির যে ব্যস্ততা সচরাচর থাকতো সেটি আর আগের মতো নেই। হাতে তৈরির কারখানাগগুলোতে শ্রমিকের পরিমানও কমে গেছে। নেই কোনো কর্মচাঞ্চলতা। যে পরিমান অর্ডার পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পাদুকা তৈরির কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। চার বছর ধরে চায়না অটো মেশিনের কারণে আমাদের হাতে তৈরি জুতাগুলোর কদর কমে গেছে। আগে একটি কারখানাতে ২০/২৫ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন মাত্র চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক আছে। রমজান মাস যে আমাদের মৌসুম তা বুঝাই যাচ্ছে না। কাজ না থাকায় অনেক কারিগররা এখন অন্যান্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রবীণ কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে চাহিদা অনেক ভালো ছিল। অটোমেশিনের কোম্পানি বের হয়ে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। যে কাজ তা দিয়ে এখন আর কাঙ্খিত মুনাফা পাওয়া যায় না। পরিবার নিয়ে চলতে এখন কষ্ট হচ্ছে।
কারিগর বাদশা মিয়া বলেন, দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের মজুরির দাম আর বাড়ছে না। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
পাদুকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। আর যেটুকু জুতা তৈরির অর্ডার মিলেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে তাদের জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর জুতা তৈরির উপকরণগুলোর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই অনুপাতে জুতার মূল্য বাড়ে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার বেশ শুনাম। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই শিল্প খাতটি অনেকটাই দমে গেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ এর ঘরে। কোনোরকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরি হয় লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, জুতার উপকরণগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জুতা তৈরি করে বিক্রি করতে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। আজ ৭ জুন শুক্রবার বিকাল ৫ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো.হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,আওয়ামী লীগ নেতা তানজিন আহমেদ,মো.মনির হোসেন,সুজন দত্ত,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিদ সোহাগ,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম পিন্টু,জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মো আতিকুল ইসলামের মহাপ্রয়াণে তিনদিনের শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক মিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে শোক মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শিপনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, বিশিষ্ট কবি আবদুর রহিম,উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, কবি পরিষদ সভাপতি শৌমিক সাত্তার,সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মুহম্মদ ইদ্রিস,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আলী আজম, সাকিল মিয়া, সংস্কৃতি সংগঠক সোহেল রানা ভূঞা,মাহবুব আলম উজ্জ্বল, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর, আবৃত্তিশিল্পী ফাহিমা সুলতানা, কবি শাওন চৌধুরী।