অনলাইন ডেস্ক :
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজের সামর্থ্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন দলটির তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। রাজা টানা পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন অর্ধশত রানের বেশি ইনিংস। কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও সমান উজ্জ্বল ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। গত রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ওই হারের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে তিনি খেলেছেন ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। পাশাপাশি মাত্র ১৩ রানেই শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তবে তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও দলের হার ঠেকাতে পারেনি।
এর আগে খেলা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে রুয়ান্ডার বিপক্ষে তিনি প্রথম ফিফটি হাঁকান। ৩৬ বলে ৫৮ রানের পাশাপাশি ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৬৫ রান এবং ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। তৃতীয় ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ রান এবং ২১ রানে শিকার করেছেন ২ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৫ রান এবং ২৮ রানে ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন।
এর আগে সর্বোচ্চ টানা চার টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের টানা চার ম্যাচে রানের পরিসংখ্যান ছিল এরকম— ৫৯ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ৬১ (অস্ট্রেলিয়া), ৫৬* (ভারত) ও ৬৯* (ভারত)। এভাবে সমান চারটি করে টানা ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড আছে আরও পাঁচ ক্রিকেটারের। তারা হচ্ছেন— উইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইল, নামিবিয়ার ক্রেইগ উইলিয়ামস, কানাডার রায়ান পাঠান, ফ্রান্সের গুস্তাভ ম্যাককন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্সের। পাঁচটি অর্ধশতরান করে সবার ওপরে ওঠে গেলেন রাজা।
গত প্রায় দুই বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করছেন রাজা। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের জন্য এই সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দেশের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ সময়ে পথ হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আফ্রিকান অঞ্চলে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে ছিটকে পড়ে তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন যুগে পা রাখলো লঙ্কান ক্রিকেট। অবশেষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পেলো তারা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিধ্বংসী এক ডাবল হাঁকিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার কীর্তিও গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১৩৯ বলে তার ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৮টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নিশাঙ্কা। এই ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার তিনি।
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা আছে আজসহ ১২টি। এর মধ্যে ভারতের রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি।
নিশাঙ্কার চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১৮২ রান তুলে দেন নিশাঙ্কা। ফার্নান্ডো সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন বল সমান ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৪ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রয়ে যাওয়া রাজধানীবাসীর অনেকেই আষাঢ়ের প্রথম দিন মেতে উঠেছিলেন বর্ষা বন্দনায়। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শপথে আজ ১৫ জুন শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষা উৎসব। আয়োজনে ছিল বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদ। বাংলার পঞ্চকবির গান, কবিতার পাশাপাশি সম্মিলিত নৃত্যে সাজানো হয় এ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় বকুলতলার মঞ্চে মো. হাসান আলীর বাঁশির লোকজ সুরে শুরু হয় উৎসব।
উৎসবে শিল্পী সাজেদ আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এলো’; সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি শোনান নজরুলগীতি ‘বরষা ওই এল বরষা’। অনিমা রায় শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘নীল অম্বর ঘন কুঞ্জ ছায়ায়’। নবনীতা জাইদ চৌধুরী শোনান আধুনিক গান ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’। এদিন একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, স্নিগ্ধা অধিকারী, রত্না সরকার, ফেরদৌসী কাকলী।
দলীয় সংগীত পর্বে বৃষ্টি নামার গানের সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘গাঙ্গে যাইতাছে দেখো ভাই’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নজরুল সংগীত ‘রুমুঝুম রুমুঝুম কে বাজায়’। সুরবিহার পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। এদিন পঞ্চভাস্বর, সীমান্ত খেলাঘর আসর, সুরনন্দনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে বর্ষার গান শোনান।
আবৃত্তি পর্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’। ত্রপা মজুমদার পাঠ করেন ইন্দ্রানী সমাদ্দারের কবিতা ‘বৃষ্টি’। তিনি শোনান প্রদীপ বালার কবিতা ‘যে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে’। নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি শোনান জয় গোস্বামীর কবিতা ‘মেঘ বালিকা’। সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কথক নৃত্য সম্প্রদায়।
কথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নগরে বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, নবান্ন উৎসব আর বর্ষা উৎসব পালন করি আমরা। আমাদের শস্য, গাছপালা আর ফলন যেটির কথা বলি না কেন, তার সবটাই বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী নগরে বৃক্ষায়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাড়িঘর বানাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন তারা আরও বেশি করে গাছ লাগান। আমরা প্রকৃতির বন্ধু হতে চাই।
পরে এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী শিশুদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না-উদীচী : প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে। শহরে-বন্দরে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা চলবে না। অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান বক্তারা। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজন করে বর্ষা উৎসবের। সকাল ৭টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে বর্ষা কথনপর্বে আলোচক ছিলেন কৃষি ও কৃষকবন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা।
আলোচক ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ।
সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।
বিনোদন ডেস্ক :
আলিয়া ভাটের দাদু নরেন্দ্র নাথ রাজদান আর নেই। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার দাদুর মৃত্যুর খবর জানালেন। মৃত্যুর খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময় দাদুর ৯২তম জন্মদিনের কয়েকটি মুহূর্ত ভাগ করে নেন। দাদুর মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বলিউড সেনসেশন।
দাদুকে নিয়ে আলিয়ার আবেগঘন পোস্ট—
আলিয়া লেখেন, ‘আমার দাদু, আমার হিরো। ৯৩ বছর বয়সেও গলফ খেলেছেন। কাজ করেছেন ৯৩ বছর পর্যন্ত। সেরা অমলেট বানাতেন। আমাকে সেরা গল্প শোনাতেন, ভায়ালিন বাজাতেন। নিজের পপৌত্রী (রাহা)-র সঙ্গে খেলা করতেন। ক্রিকেট ভালোবাসতেন, আঁকতে ভালোবাসতেন আর সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবেসেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত…। জীবনকে ভালোবেসেছেন!
আমার হৃদয় বিষাদে ভরপুর, একই সঙ্গে আনন্দে…। কারণ আমার দাদু একটাই কাজ করেছেন, আমাদের আনন্দ জুগিয়েছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আর্শীবাদ ধন্য যে ওঁনার ছত্রছায়ায় বড় হতে পেরেছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত…’।
ভিডিওতে দেখা গেল, সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। এরপর তাঁর দাদুর বার্তা, ‘সব সময় হাসতে থাকো’।
আলিয়ার এই পোস্টে সহকর্মীদের সমবেদনা ভরা বার্তা- করণ জোহর লেখেন, তোমার জন্য একটা আলিঙ্গন পাঠালাম। মাসাবা গুপ্তা লেখেন, অনেক ভালোবাসা আলিয়া। অনুরাগীরা আলিয়ার দাদুর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আইফা-তে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আলিয়ার: আইফা অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবুধাবি যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিতে রওনাও দিয়েছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলিয়া।
বাবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বছর কয়েক আগে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রাম গোপালের ট্রুপের সঙ্গে সারা ইউরোপ ট্যুর করতেন তার বাবা নরেন্দ্র নাথ রাজদানে। ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তেমনই এক কনসার্টের ব্যাকস্টেজে সোনির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার, তারপর শুরু সেই প্রেম কাহিনি। নরেন্দ্র নাথ রাজদানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভাট ও রাজদান পরিবারে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
এই বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো ভারত। ব্যাটিংয়ে খারাপ দিনটা কি ফাইনালের জন্যই জমা ছিল? অস্ট্রেলিয়া যে ভারতীয় ব্যাটারদের সেভাবে দাঁড়াতেই দিলো না আজ।
ম্যাচে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল লড়াকু ফিফটি করলেন। না হয়, আরও বড় বিপদে পড়তে হতো ভারতকে। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেললেও ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের ইনিংস। ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা মানেই ভারতের ঝোড়ো সূচনা। ব্যত্যয় ঘটেনি ফাইনালেও। শুরুতে ওপেনার শুভমান গিলের (৭ বলে ৪) উইকেট হারিয়ে ফেললেও ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছে ভারত।
রোহিত মারকুটে ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। তবে ৩১ বলে ৪৭ করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপরই ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া।
১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল। এরপর টানা ১৬ ওভার কোনো বাউন্ডারি পায়নি ভারত। অবশেষে ২৭তম ওভারে এসে সেই বাউন্ডারিখরা কাটান লোকেশ রাহুল।
এর আগে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। পেস বোলিংয়ে কাজ না হওয়ায় তিনি দ্রুতই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। তিনি এসেই সাফল্য উপহার দেন অস্ট্রেলিয়াকে। নিজের দ্বিতীয় এবং দলের ১০ম ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। সাজঘরে ফিরিয়েছেন রোহিত শর্মাকে।
ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাক্সওয়েলকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি রোহিত। শট খেলতে গেলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় অফসাইডে। ট্রাভিস হেড কভার অঞ্চল থেকে পেছনে গিয়ে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরলেন। আউট হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। ৩১ বলে ৪৭ রান করলেন তিনি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর ব্যাট করতে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি বাউন্ডারি মেরে তিনিও ফিরে গেলেন। প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আয়ার। ৮১ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট।
৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল খোলসে ঢুকে পড়েন। দলকে এগিয়ে নিতে দাঁতে দাঁত চেপে ক্রিজে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বল খেলে তারা ধীরগতিতে যোগ করেন ৬৭ রান।
অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে দেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা বিরাট কোহলি তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৬৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে কোহলির দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল ৫৪ রানের।
রবীন্দ্র জাদেজা সুবিধা করতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন লোকেশ রাহুল। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে সাজঘরের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক।
৬৬ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ১০৭ বলের ইনিংসে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপর মোহাম্মদ শামিকেও (৬) সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। ২১১ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।
গত এক বছরের প্রচারিত সকল কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দীপ্ত অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’। মঙ্গলবার আয়োজনটির চতুর্থ আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তানজিন তিশা। ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’-এ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ দর্শকের ভোটে সেরা নির্বাচিত হন এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বছরের আলোচিত ওয়েব ফিল্ম হিসেবে দর্শক ভোটে সেরা হয়েছে ‘পয়জন’।
তানজিন তিশা এদিন পুরস্কার নিতে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার হাতে দর্শকদের এবং সিনেমার পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এ আসরে পুরস্কার নেওয়া ছাড়াও স্টেজ পারফর্ম করেছেন তানজিন তিশা। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশনা করেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী, দীঘি প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমি মৌ। অনুষ্ঠানটি আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দীপ্ত টিভিতে প্রচার করা হবে।