অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আগামী ২-৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯-১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুই পর্বে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি দুই পর্বে অনুষ্ঠিতব্য ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষের আয়োজকদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত তাবলীগের উভয়পক্ষের মুরুব্বিগণ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা ট্রাফিক বিভাগ এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ইজতেমার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, নৌ টহল, বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
সভায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি ও তাবলীগের মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ ১০ এপ্রিল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তা হলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে আমাদের দানাদার খাদ্যদ্রব্য যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন, বিতরণ সংক্রান্ত যেসব অপরাধ আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত করে সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
মাহবুব হোসেন আরো জানান, ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ এ দুটি আইনের সংমিশ্রণে নতুন আইনটি করা হয়েছে। আইনে মোট ২০টি ধারা আছে বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।
সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।
বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
অনলাইন ডেস্ক :
তরুণরা এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছে, তারা এটা মনের মতো করে গড়তে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে যে সৃজনশীলতা রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারবে। এখন আমাদের কাজ হলো তারা যে স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়ে এসেছে তা আমাদের রক্ষা করা।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এরা এ দেশকে রক্ষা করেছে। তরুণরা দেশকে পুর্নজন্ম দিয়েছে।’
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁধে আছে। আবু সাঈদের গুলি খাওয়ার পর থেকে আর কোন তরুণ হার মনেনি। তারা বুক পেতে গুলি খেতে ভয় করেনি।’
‘আমাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করতেই হবে। আর এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অর্থ হলো তার নিজের পরিবর্তন।’, বলেন তিনি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীর ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশের কোনো জায়গায় হামলা হবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠেছে ডাব। এজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১২টায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখের নেতৃত্বে শহরের চকবাজার, থানা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ডাবের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় প্রতিটি ডাব ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক্রয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডাব বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হওয়া প্রতিটি ডাব ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি শুরু করে দোকানিরা।
এ ছাড়াও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শহরের চকবাজারের সাপ্তাহিক হাটে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় রসুনের ক্রয় রশিদ দেখাতে না পাড়ায় ও বেশি দামে রসুন বিক্রির অপরাধে দুজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করে জেলা ভোক্তা অধিকার।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টার বজলুর রশিদ, বাজার বনিক সমিতির প্রতিনিধি ও পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর রোডে নান্দুরা অবস্থিত প্রভাতী ব্রিক্স। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গোকর্ণ হয়ে নবীনগর এর সঙ্গে মূল সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত এবং আশে পাশে জনবসতী ও লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, প্রভাতী ব্রিক্স এর নামে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র নিয়ে মালিক পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ২০১৮ ইং সনে তাদের অনুমোদিত সকল কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তারপর থেকে মালিক পক্ষ কোন রকম সরকারি অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই আজ অবদী নির্বিঘ্নে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দেখা যায় ব্রিক্স ফিল্ডের পার্শ্বে একাধিক জনবসতী যেখানে ছোট ছোট বাচ্ছা ও মহিলা বৃদ্ধসহ অনেক পরিবার বসবাস করে। কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হলে পরিবেশের উপর সরকারি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ এবং জলজ পরিবেশের ক্ষতি ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। যা আশে পাশে অবস্থিত জনবসতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে এবং নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিআরডি প্রধান সড়ক এর নিকটবর্তী হওয়ায় ব্রিক্স ফিল্ডের যাতায়াতকৃত যানবাহন এর দ্বারায় সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ছাড়পত্র বা সরকারি অনুমোদনের ব্যাপারে প্রভাতী ব্রিক্স এর একজন পরিচালক আমলগীর হোসেনের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের আগে অনুমোদন ছিল কিন্তু ২০১৮ইং সনের পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এখন কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করচেন অনুমোদন ছাড়া জানতে চাইলে তিনি অপর একজন পরিচালকের নাম এবং নাম্বার দিয়ে ওনার সাথে বিস্তারিত জানতে বলেন এবং পরবর্তী অপর একজন পরিচালক শাহিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ২০১৮ ইং সনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে পুণরায় ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে তারা দেয়নী। তার প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্ট একটি রিট করি তার প্রেক্ষিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিবেচনায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ব্রিক্স ফিল্ডের পরিচালনার ছাড়পত্র না দিলে হাইকোর্ট রিট করে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় কিনা এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
২০১৯ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে একটি গেজেট পাস হয়। যার ৩নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, ২০১৩ সনের ৫৯নং আইনের ধারা ৪এর প্রতিস্থাপন উক্ত আইনের ধারা ৪এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা প্রতিস্থাপন হইবে। যথা:- ৪। লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ:- আপাদত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন ও প্রস্তুত করিতে পারিবে না। এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নিবেন কী না?