চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীত পড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকানে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধূম।
শহরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ ফুটপাত থেকে পিঠা কিনে খায়। আবার কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পিঠা তৈরী করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের বেশ কয়েকটি দোকানে সারা বছরই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে বেড়ে যায় পিঠার দোকানের সংখ্যা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শীত পড়ার সাথে সাথে পৌর শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, লোকনাথ উদ্যানের সামনে (ট্যাংকের পাড়) শহরের কেন্দ্রস্থল কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টারের সামনে, আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে, মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার, কাজীপাড়া সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনের সামনে, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড, কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানের সামনে, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড, টি.এ. রোড আশিক প্লাজার সামনে, মৌড়াইল ডাক বাংলার মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, কাউতলী জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে, সড়ক বাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মহল্লার মোড়ের পিঠা বিক্রি করা হয়।
পিঠা ব্যবসায়ী সকাল ১০টার পর থেকেই মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা ও বাক্স নিয়ে বসে যান ফুটপাতে। এসব দোকানে চিতল পিঠা চিতই), চুয়া পিঠা (মেরা পিঠা), ভাঁপা পিঠা, পোয়া পিঠা (তেলের পিঠা) ও পাটিসাপটা পিঠা করা হয়। তবে ক্রেতাদের কাছে চিতল পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশী।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা-কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরী করা হয়। এ ছাড়া চিতল পিঠার সাথে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও সিদল শুটকির ভর্তা দেয়া হয়। ক্রেতারাও গরম গরম পিঠা পেয়ে খুশী।
প্রতিটি বড় সাইজের ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও ছোট সাইজের ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতল পিঠা ১০ টাকা, ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চুয়া পিঠা প্রতিটি ৫টাকা করে বিক্রি করা হয়।
শহরের শ্রমজীবী মানুষরাই মূলত এসব পিঠার ক্রেতা। এছাড়াও শহরে শপিং করতে আসা গৃহিনীরা চাহিদামতো পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন ফুটপাতে পিঠা কিনতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা-বেচা-বিক্রি।
শহরের আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা আকবর আলী জানান, প্রতিদিন তিনি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, আগে তিনি প্রতিদিন ৫/৬ কেজির চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১১টার পর তিনি দোকান নিয়ে বসেন। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে তার বেচা-কেনা। তিনি বলেন, তার দোকানে চিতই ও ভাঁপা পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠা এবং নারকেল-খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠার চাহিদাই বেশী। তিনি জানান, অনেকেই তার কাছ থেকে পিঠা কিনে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান।
শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশের পিঠা বিক্রিতা আসমা বেগম বলেন, তিনি মূলত চিতই পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, চিতই পিঠার সাথে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন।
আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা কিনতে আসা রফিক ও জুয়েল নামের দুই বন্ধু জানান, তাদের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তারা হোস্টেলে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তারা বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচীরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। হোস্টেলে থাকায় তারা এখন মা-চাচীর হাতে তৈরী পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বলেন, সুযোগ পেলেই তারা ফুটপাত থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা কিনে নিয়ে যান হোষ্টেলে।
পৌর এলাকার মেড্ডার বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ইচ্ছে করলেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন না। তাই তিনি ফুটপাত থেকেই হরেক রকমের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান।
পুষ্প আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, তিনি শপিং করতে মার্কেটে এসেছিলেন। শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট লোকমান হোসেন।
পরে দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন দলীয় অগ্রজ নেতৃবৃন্দ, বন্ধুজন, শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুবুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা শেখ মোঃ আনোয়ার, সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রভাষক মোঃ মনির হোসেন, আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা কৃষক লীগ আহবায়ক মোঃ সাদেকুর রহমান শরীফ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মাসুকুল কবীর, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ ভূইয়া, মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান, সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন, বুধল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুর রহমান শফিক, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম মোল্লা, নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আবু সাঈদ, তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি হাসান সারওয়ার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান ভূইয়া শিপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল হাসান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি এডভোকেট কামরুজ্জামান অপু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আরিফুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারিন্দ্র নাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ করিম, ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সানি শাহ্, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম অনিক, জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সানি শাহ্, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম অনিক।
এ সময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিষদ সুন্দর ও সাফল্যের সাথে যথাযথভাবে পরিচালনায় অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন সদর উপজেলার সকলস্তরের জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধু সভার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সহমর্মিতার ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঈদের সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, বন্ধু সভার সদস্যরা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন করে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক কিনেছেন। প্রতি বছরই বন্ধুসভার সদস্যরা এই কাজটি করে আসছেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তারা নতুন কাপড় পছন্দ করে কিনে বিতরণ করেন। এবছর বন্ধু সভার সদস্যরা ৩০ হাজার টাকায় ৬০জনের হাতে সহমর্মিতার ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সভাপতি তুলি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সদস্য মোঃ মাইনুদ্দিন রুবেল, ইকবাল হোসেন, সাদ হোসেন, অনন্যা সাহা, মাজহারুল করিম অভি, আরেফিন শোভন, তুহিন ইসলাম, শারমিন আক্তার, সবুজ মোল্লা, জয় ইসলাম, জারা জেনি, তানজিলা আক্তার, শাহরিয়ার তানজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৪জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার রেললাইন সংলগ্ন তুলা গাছের (গাছ তলা) কাছ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে রিয়াদুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (২২), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার খসরু মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন (২১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শ্যামবাড়ির মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ আকাশ মিয়া (২০), শহরের কান্দিপাড়ার শফিক মিয়ার ছেলে মোঃ সাইমন (১৮), একই এলাকার করিম মিয়ার ছেলে মোঃ বিজয় মিয়া-(১৮), একই এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস (১৯),শহরের শিমরাইল কান্দি গ্রামের মৃত শেখ বাবর আলীর ছেলে শেখ সরোয়ার আলম ওরফে হৃদয় (৩২), শহরের পাইকপাড়ার আবদু রউফের ছেলে রাকিব-(২৪), আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের মৃত সানি উদ্দিনের ছেলে তামাজ দেওয়ান (১৮), একই উপজেলার গাজীর বাজারের মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে মোঃ সজীব মিয়া (২৩), নাসিরনগর উপজেলার আলিয়ারা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দীন (১৮), একই উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ খায়রুল (১৮), নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) ও সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে রিংকন মিয়া (২০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দা, ১টি ডেগার, ১টি স্টিলের ছুরি, ২টি স্টীলের পাইপ, ২টি সুইচ গিয়ার, ৩টি লোহার রড, ৩টি কাঠের লাঠি, ১টি স্টিলের মাল্টি টোল প্লাস কাটার উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বুরহান উদ্দিন (২১) ও ফয়সাল আনুমানিক (২৭)। বুরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের শিক্ষার্থী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় পৌর শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ভেতরে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবস্থান নেওয়া শহর ও উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ ক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারধর শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। তবে গুরুতর হয়ে ফয়সাল জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি এবং বুরহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুতরভাবে দুই জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই পক্ষের কেউই থানায় অভিযোগ দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মহিলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় ছিলো পিঠা উৎসব, উদ্যোক্তা মেলা, বসন্ত বরণ, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (পিআরএল) প্রফেসর এ এস এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রমজান আলী, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, নারী উদ্যোক্তা রিফাত পারভীন রীনা, শাহজালাল হীরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর মো: মিজানুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিটিজিএর সভাপতি আল আমীন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, ফ্রনটিয়ার সম্পাদক আব্দুল মালেক, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কবি মুসলেম উদ্দিন সাগর ও উৎসব কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজেদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে চাকরির দিকে না তাকিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে বলেন।
পিঠা উৎসবে বিভিন্ন রকমের পিঠার ৮টি স্টল বসে। এছাড়া কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।