চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীত পড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে প্রায় শতাধিক দোকানে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে হরেক রকমের পিঠা বিক্রির ধূম।
শহরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ ফুটপাত থেকে পিঠা কিনে খায়। আবার কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পিঠা তৈরী করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের বেশ কয়েকটি দোকানে সারা বছরই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে শীতকালে বেড়ে যায় পিঠার দোকানের সংখ্যা।
সরজমিনে দেখা গেছে, শীত পড়ার সাথে সাথে পৌর শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, লোকনাথ উদ্যানের সামনে (ট্যাংকের পাড়) শহরের কেন্দ্রস্থল কোর্ট রোডের পৌর সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টারের সামনে, আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে, মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার, কাজীপাড়া সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনের সামনে, কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড, কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ ময়দানের সামনে, ডাঃ ফরিদুল হুদা রোড, টি.এ. রোড আশিক প্লাজার সামনে, মৌড়াইল ডাক বাংলার মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, কাউতলী জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে, সড়ক বাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মহল্লার মোড়ের পিঠা বিক্রি করা হয়।
পিঠা ব্যবসায়ী সকাল ১০টার পর থেকেই মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা ও বাক্স নিয়ে বসে যান ফুটপাতে। এসব দোকানে চিতল পিঠা চিতই), চুয়া পিঠা (মেরা পিঠা), ভাঁপা পিঠা, পোয়া পিঠা (তেলের পিঠা) ও পাটিসাপটা পিঠা করা হয়। তবে ক্রেতাদের কাছে চিতল পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশী।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা-কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরী করা হয়। এ ছাড়া চিতল পিঠার সাথে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও সিদল শুটকির ভর্তা দেয়া হয়। ক্রেতারাও গরম গরম পিঠা পেয়ে খুশী।
প্রতিটি বড় সাইজের ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও ছোট সাইজের ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা, চিতল পিঠা ১০ টাকা, ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চুয়া পিঠা প্রতিটি ৫টাকা করে বিক্রি করা হয়।
শহরের শ্রমজীবী মানুষরাই মূলত এসব পিঠার ক্রেতা। এছাড়াও শহরে শপিং করতে আসা গৃহিনীরা চাহিদামতো পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন ফুটপাতে পিঠা কিনতে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা-বেচা-বিক্রি।
শহরের আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনের পিঠা বিক্রেতা আকবর আলী জানান, প্রতিদিন তিনি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হয়। তিনি বলেন, আগে তিনি প্রতিদিন ৫/৬ কেজির চালের গুঁড়ার পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ১১টার পর তিনি দোকান নিয়ে বসেন। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে তার বেচা-কেনা। তিনি বলেন, তার দোকানে চিতই ও ভাঁপা পিঠাই বেশী বিক্রি হয়। ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠা এবং নারকেল-খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী ভাঁপা পিঠার চাহিদাই বেশী। তিনি জানান, অনেকেই তার কাছ থেকে পিঠা কিনে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যান।
শহরের কাজীপাড়ার জেলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশের পিঠা বিক্রিতা আসমা বেগম বলেন, তিনি মূলত চিতই পিঠা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার কৃপায় বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, চিতই পিঠার সাথে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার পিঠা বিক্রি করতে পারেন।
আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে পিঠা কিনতে আসা রফিক ও জুয়েল নামের দুই বন্ধু জানান, তাদের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে। তারা হোস্টেলে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। তারা বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচীরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। হোস্টেলে থাকায় তারা এখন মা-চাচীর হাতে তৈরী পিঠা খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বলেন, সুযোগ পেলেই তারা ফুটপাত থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা কিনে নিয়ে যান হোষ্টেলে।
পৌর এলাকার মেড্ডার বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ইচ্ছে করলেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেন না। তাই তিনি ফুটপাত থেকেই হরেক রকমের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যান।
পুষ্প আক্তার নামে একজন মহিলা জানান, তিনি শপিং করতে মার্কেটে এসেছিলেন। শপিং শেষে বাসায় যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৫) নামের দুই মাদ্রাসার ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকার (২৬) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে।
মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত নাইমা আক্তার ও ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুইজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুইজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুইজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুইজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসার ছাত্রীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো My Road, My Responsibility নামক কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্যরা।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলীতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সড়কে নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহীদের ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা যানবাহন চালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করা হাইওয়ে পুলিশকে থ্যাংকইউ কার্ড এবং ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন, ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি সাদিয়া চৌধুরী, মানব সম্পদ কর্মকতা জসিম মিয়া, প্রকল্প কর্মকর্তা বায়েজিদ বিন বাশার, ভিবিডির সাকেব সহ-সভাপতি ও বর্তমান কমিটি মেম্বার টি.এম. একরাম, সাধারণ সদস্য ইমান হুসাইন, জয়নব আক্তার স্নেহা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানীসহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুন শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ এবং কৃষকদলের আহ্বায়ক ভিপি শামীম ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলায় চালায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ফের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে দুই দিন ধরে শহরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা হামলা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে শাহীন, সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় গেলে সেখানে হামলা করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ও সুুবিধাবঞ্চিত নারী পুরুষদের মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র চলতি মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। একই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে এবং সদর উপজেলার নির্ধারিত স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাউল এবং ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি ছোলা বুট দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী নারী পুরুষদের মাঝে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভায় ৪৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার পৌরসভার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে, মেড্ডা কালভৈরব, কালাইশ্রীপাড়া কারখানাঘাট- আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহসহ মাঠ চারটি স্থানে পণ্য বিক্রি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। মানুষ যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসংবর্ধনায় সংবর্ধিত জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, সাদেকপুর ইউনিয়নের আটটি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষের এই ভালবাসার কাছে আমি চিরঋনী হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতুলীর এই অবহেলিত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অবকাঠামো এবং যোগাযোগসহ শিক্ষার উন্নয়নে আমি আপনাদের সন্তানের মতো পাশে থেকে সহযোগীতা করে যাবো।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ অর্জন উপলক্ষে সাদেকপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে গতকাল দামচাইল বাজারে সাবেক সফল চেয়ারম্যান এডভোকেট হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ মোঃ শাহ আলম, কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুর রহমান শরীফ সহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবীলীগ, তাঁতিলীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় আবুল কাশেম মাষ্টার, মতিউর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, শাহআলম, আবুল কালাম আজাদ, এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শতশত নারী ও পুরুষ এলাকার কৃতি সন্তান হিসাবে জনাব আল-মামুন সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পাশর্^বর্তী বড়াইল ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।