চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।
সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।
শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।
স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।
পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’
অনলাইন ডেস্ক :
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষের এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক নোটিশে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান সভায় উপস্থিত থাকবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী তার আবাসস্থলের ফ্যার্নান্দেস হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগেরও সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনে আবারও তার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে বলেছেন,‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ভোট কারচুপির কারণে যারা বিতাড়িত হয়েছে জনগণ তাদের ভোট দিতে যাবে কেন?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর কীভাবে তারা ভোট চায়?
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা তাদের কিছু বিদেশি প্রভুর পা চাটে এবং তারা চায় দেশের মানুষ তাদের (বিদেশি প্রভুদের) দ্বারা কষ্টভোগ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করিয়ে দেন, বিএনপি কখনো দেশবাসীর কল্যাণ চায় না। বরং তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হলো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তাই তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করা।’
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের দ্বারা আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করেছি। আমরা এর রহস্য বুঝতে পারছি না।’
যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন করেনি তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্নভাবে খেলা খেলতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নস্যাৎ করতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ করে আইসিটি খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদারদের সন্ধান করার জন্য তাদের অনুরোধ করেন।
তিনি প্রবাসীদের যে দেশে তারা থাকছে সে দেশের আইন মেনে চলার জন্য এবং বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রবাসীদের তাদের পরিবার এবং আত্মীয়দের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে উৎসাহিত করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, তার সরকার খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্য এবং ২০০৯ সাল থেকে দেশের অর্জিত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ২৪ মে শুক্রবার সকালে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি শুক্রবার মধ্যরাতের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি আগামীকাল শনিবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরবর্তীতে তা আরো শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আগামী রবিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ শুক্রবার রাতে বলেন, ‘আজ মধ্যরাতের দিকে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিমত্তা অর্জন করতে পারে।
রবিবার রাতে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির শক্তিশালী অংশ বাংলাদেশের সুন্দরবন ও পটুয়াখালীতে আঘাত করার আশঙ্কা বেশি।’
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আরবি রিমাল শব্দের অর্থ বালি।
এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া নাম।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরও (আইএমডি) জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। পরে এটি কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং শক্তি বাড়িয়ে শনিবার রাত ১২টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার রাত ১২টার দিকে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজও সারা দেশে বৃষ্টি কম থাকতে পারে।
ফলে তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকাল থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার থেকে বৃষ্টি অনেকটাই বাড়তে পারে। এদিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের নানা অঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নেতাদের আটক ও জামিন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এরমধ্যে কৃষিমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার উনার (কৃষিমন্ত্রীর) ব্যক্তিগত অভিমত। তা আমাদের দলের নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এটা দলের অভিমত নয়। আইনমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিএনপির নেতা যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার এবং তাদের জামিনের ব্যপারে শুধু আদালত কথা বলতে পারে। আর কেউ নয়।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সড়ক বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
‘গণভবনের নির্দেশে আইন চলে আদালতের নির্দেশে নয়’ বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী’র এমন অভিযাগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, উনি (রিজভী) কোথায় বসে বসে বাণী ছাড়েন। উনার বাণীগুলো সম্পূর্ণ অসত্য, তথ্যভিত্তিক নয়। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, যখন বিএনপি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারকে হত্যা করে এই দেশে স্বৈর শাসক চালাচ্ছিল তখন যেমন বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন আর নাই।
কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, কসবা-আখাউড়ার জনগণের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে, তাদের ভালোবাসা। আমি গত ১০ বছর তাদের সেবা করেছি। তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা কিছু করতে হয় তাই আমি করবো।
ষ্টেশনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, যুবলীরে যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী সড়ক বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ করে লিফলেট ও ফুল দেন। গণনসংযোগ শেষে সেখান থেকে মন্ত্রী খড়মপুর কল্লা শাহ (র.) মাজার জিয়ারত করেন।
এর আগে তিনি বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন।
এসময় ষ্টেশনে সহস্রাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগস অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীলা তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি অপেক্ষমান নেতাকর্মীদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের লোকসংগীতের জায়গাটি অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের বাউল ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুদিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগেরকার দিনে লোকসংগীত তথা বাউলদের অনেক কদর ছিল। যা হারিয়ে গিয়েছিল। নরওয়ের নাগরিক ওয়েরা সেথার আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে আবার উজ্জীবিত করেছেন। যা আবার আমাদের জগতে ফিরে এসেছে। তিনি লোকসংগীত চর্চায় প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের তরী। যা দেখতে এসেছি।
কিশোর বয়সের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে কিশোর বয়সে লোকসংগীতের আসর বসত। বসত গীতিকার সুরকার ও শিল্পীদের আড্ডা। তখন এসব আসরে ছুটে যেতাম। মাঝে এসব হারাতে বসেছিল। যা আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। সেই পুরনো বাদ্যযন্ত্র আজ এসেছে অনুষ্ঠানে। সেই তবলা, দোতরা, হারমোনিয়াম…। বাউলদের আসল জিনিস দোতরা। দোতারায় বাউলের সুর ওঠে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ তথা আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে তার উৎকর্ষ সাধনে যিনি কাজ করছেন। নরওয়ের নাগরিক সেই ওয়েরা সেথার চাইলে আমরা তাকে সানন্দে নাগরিকত্ব দেব ইনশাআল্লাহ।
৭ মার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের হৃদয়ের মাস। যে মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়, আমাদের মুক্তির ভাষণ দেন। আমাদের স্বাধিনতার মাস। কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালি একটি ভাষণ শুনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে হানাদার মুক্ত করেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ দিনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যা শুনে নিরস্ত্র বাঙালিরা দেশকে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৭ মার্চ শুধু ভাষণ নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাও। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষণ শুনে আমাদের আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
মায়ের তরীর প্রতিষ্ঠাতা নরওয়ের নাগরিক লোকসংগীত গবেষক ওয়েরা সেথারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির, বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান মানিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী ও কবি সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা বিউটিসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে দাঁড়ালেও এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।